ভোটার নিবন্ধনে চট্টগ্রামের স্থানীয়দের ‘রোহিঙ্গা’ ক্যাটাগরিতে ফেলা যাবে না

, জাতীয়

জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-06-23 21:37:56

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদের কারণে নতুন ভোটার হতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল চট্টগ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের। ভোগান্তি লাঘবে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন- ইসি।

এখন থেকে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের ভোটার নিবন্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বৈধ কাগজ থাকলে তাদের ‘রোহিঙ্গা ক্যাটাগরি’তে না ফেলে নিবন্ধন সহজ করার তাগিদ দিয়েছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।

চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলায় ২০১৮ সালে রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে সাধারণ মানুষ যথাযথ কাগজপত্র দিয়েও বিশেষ কমিটির ছাড়পত্র ছাড়া ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারতেন না। ফলে, অনেক নাগরিক তাদের জরুরি কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়ে ভোগান্তিতে পড়তে শুরু করেন।

সম্প্রতি, ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা যারা নতুন ভোটার হতে চান, তাদের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নতুন সচিব শফিউল আজিম।

এর আগে রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩২টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশন। এসব উপজেলায় নিবন্ধন কার্যক্রম যাচাই-বাচাই করার জন্য একটি ১৫ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়। ফলে, চট্টগ্রামের অনেক বাসিন্দা চাইলেই ভোটার তালিকায় তাদের নাম সংযুক্ত করতে ভোগান্তিতে পড়তেন। ভোগান্তি কমাতে প্রয়োজনে এসংক্রান্ত নীতিমালা পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে ইসি।

সমন্বয় সভা সূত্রে জানা যায়, ইসি সচিব শফিউল আজিম কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে একাধিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

এই সময় তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে ইসির বিশেষ এলাকার যে সব নাগরিকের একাডেমিক সনদ বা বৈধ কাগজপত্র আছে, তাদের সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাদের মতো একই ক্যাটাগরিতে না ফেলে তাদের ভোটার নিবন্ধন সহজ করার নির্দেশনা দেন।

শফিউল আজিম বলেন, এই অঞ্চলের বিশেষ এলাকায় ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমে যে কমিটি রয়েছে, তা পুনর্গঠন ও তাদের কার্যপরিধি হালনাগাদ করা প্রয়োজন। এজন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে হালনাগাদের সুপারিশসহ দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।

সেই সঙ্গে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) সংশোধনে হয়রানির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর