কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করা ঈদ স্পেশাল ট্রেনে ১৮ দিনে সরকার রাজস্ব আয় করেছে ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। যেটি শুধু কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের আয়। এই রেলস্টেশন থেকে ঈদ স্পেশাল ট্রেনে যাতায়াত করেছে ১১ হাজার ৪০০ জন যাত্রী।
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর গেল ১২ জুন থেকে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু করে। এই ট্রেনটিতে ১২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার যাত্রী পরিবহন করেছে। এই ১৮ দিনে শুধুমাত্র কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে আয় হয়েছে ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
তিনি জানান, ঈদ স্পেশাল ট্রেনটিতে রামু থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত অন্যান্য স্টেশনেও যাত্রী উঠানামা করেছে। সেখানেও আলাদা রাজস্ব আদায় করেছে সরকার। এই রুটে ট্রেন চলাচল করায় সরকার খুবই লাভবান হচ্ছে। সুতরাং লাভজনক ট্রেনটি স্থায়ী করার দাবি জানান এই স্টেশন মাস্টার।
এদিকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস এবং পর্যটক এক্সপ্রেস নিয়ে জানতে চাইলে স্টেশন মাস্টার জানান, এই দুটি ট্রেনে কোনদিন সিট খালি থাকে না। ১০ দিন আগে থেকেই সবগুলো টিকিট বুকিং হয়ে যায়। এতোই চাহিদা যে ছাড়ার সাথে সাথেই সব টিকিট সোল্ডআউট।
আন্তঃনগর ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একদিনে আয় করে ৬ লাখ ১১ হাজার ৯৮৫ টাকা। আরেক আন্তঃনগর ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেসের একদিনে আয় ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭০০ টাকা। এ হিসাবে গত ১৮ দিনে এই দু'টি ট্রেনে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে আনুমানিক ২ কোটি টাকা আয় করেছে সরকার।
লিবিয়ায় আটকে মুক্তিপণ আদায় চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
লিবিয়ায় আটকে মুক্তিপণ আদায় চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার
জাতীয়
চাকরি দেওয়ার নামে লিবিয়ায় নিয়ে দুই ভাইকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পর জিম্মি দুই ভাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার একথা জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর গ্রামের আয়েন উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে পান্নু মিয়া (৩৫) ও একই উপজেলার নওদাবগা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে শিপলু সরকার (৪০)।
পান্নুর ভাই লিবিয়া প্রবাসী পায়েল অপহণ করে মুক্তিপণ আদায় চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশ জানায়।
এর আগে, গত ৮ জুন ওই ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া হতে গ্রেফতার এবং জিম্মি হওয়া দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ৮ জুন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানায় মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ওই উপজেলার বাসিন্দা রাব্বী খন্দকার। তিনি অভিযোগ করেন, তার দুই ভাই পাপ্পু খন্দকার(২৭) ও সাঈদ খন্দকারকে (২৪) ভালো বেতনে লিবিয়ায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেন উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোন্তাহা স্টোরের সত্ত্বাধিকারী উজ্জল হোসেন। পরে তার কথা মতো ১১ লাখ টাকা দিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাপ্পু খন্দকারকে এবং চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি সাঈদ খন্দকারকে লিবিয়ায় পাঠিয়ে দেয়। লিবিয়ায় অবস্থানরত উজ্জলের পূর্ব পরিচিত সাব্বির হোসেন ওই দু’জনকে লিবিয়ার হাসপাতালে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা ছিলো। লিবিয়ায় পৌঁছার পর ওই দুই ভাইকে কোন চাকরি না দিয়ে বসিয়ে রাখে সাব্বির। পরে চাকরির ব্যবস্থা হয়েছে বলে গত ২৫ মার্চ তাদের দুই ভাইকে পৃথক দুই শহরে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর তাদের মাধ্যমে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
তিনি জানান, ওই ঘটনায় ৮ জুন মামলা দায়েরের পরপরই ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে উজ্জল হোসেন (৩৫) ও সফাত মণ্ডল (৩২) নামের দু’জনকে আটক করে। তাদের আটকের পর সাঈদ খন্দকারকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। গত ২৩ জুন সাঈদকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ওই চক্রের হাতে আটক অপর ভাইয়ের কোন সন্ধান মিলছিলো না। সম্প্রতি অপহরণকারী চক্র পাপ্পু খন্দকারকে মুক্তি দিতে ৪ লাখ টাকা দাবি করে যোগাযোগ করে। এজন্য তারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি একাউন্ট নম্বর দেয়। বাদি ওই নম্বরে এক লাখ টাকা নেওয়ার পর অবশিষ্ট টাকা দিতে চাপ দেয় ওই চক্র। তখন পুলিশের পরামর্শে নগদ টাকা দিতে সম্মত হয় পাপ্পুর পরিবার। গত সোমবার সন্ধ্যায় সেই টাকা নিতে এলে পুলিশের হাতে আটক হয় সোনাতলা উপজেলার পান্নু ও শিপলু। তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে পরে অপহৃত পাপ্পুকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, দ্রুতই পাপ্পু খন্দকারকে দেশে ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাপ্পুর ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় আটক পান্নু ও শিপলুকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশে মোট বনভূমির মধ্যে শুধু বন বিভাগের ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সংসদে মন্ত্রী বলেন, বনভূমি অবৈধ দখলদারের কাছ থেকে উদ্ধার করে বন বিভাগের আওতায় এনে বনায়ন করা হচ্ছে। তাছাড়া অবশিষ্ট জবরদখল করা বনভূমি উদ্ধারে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া ১০০ কর্মদিবস অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে ৫ হাজার একর জবরদখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।
একই প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ রোধ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সড়ক ও মহাসড়ক ছাড়া সব সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ইটের বিকল্প হিসাবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতর বা সংস্থাগুলো ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে পরিবেশমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তারা এ আলোচনা করেন।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আগামী বছর ইউএনএফসিসিসিতে (UNFCCC) জাতীয় নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) জমা প্রদান করবে। এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুই মন্ত্রীই এ বিষয়ে গভীর আলোচনা করেন এবং সরকারের পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং নির্গমন কমাতে আমাদের সঠিক ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করা হবে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। দেশের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দুই মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও সমন্বয় আরও জোরদার করার লক্ষ্যে সময়ে সময়ে এধরনের বৈঠক অব্যাহত থাকবে।
উজানের ঢল আর ভারী বর্ষণে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জেলা সদরের যাত্রাপুর ও উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।
পাশাপাশি বাড়ছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। এ অবস্থায় এসব নদ-নদীর নিম্নাঞ্চলের স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবো, কুড়িগ্রামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার অববাহিকার পাটেশ্বরী পয়েন্টে ১৪১ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে ধরলার পানি কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
এর আগে, সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে পাউবো বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চল ও এর উজানে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী ধেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই সময়ে উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তা নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
ব্রহ্মপুত্রে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে এর নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সাথে চলছে তীব্র ভাঙন। উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চর বালাডোবা, বতুয়াতলি মূসার চর, ব্যাপারিপাড়া নতুন চর এবং পূর্ব ও পশ্চিম মশালের চরের অর্ধশতাধিক পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। বাধ্য হয়ে এসব পরিবারের অনেকে নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছেন। ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মোল্লাহাট বাজার এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। বাজার রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বতুয়াতলি মূসার চরের বাসিন্দা শরিফুল বলেন, ‘আমাদের গ্রামে ৪০টিরও বেশি পরিবারের বসবাস। সবকটি পরিবারের ঘরের ভেতর পানি। বাইরে চারপাশে পানি।’
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতিতে পানিবন্দি পরিবারে খাদ্য সহায়তা দেওয়া জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও দুর্গত পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
এদিকে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে যাত্রাপুরের রলাকাটা চরে একের পর এক বসতভিটা বিলীন হচ্ছে। চরের উত্তর দিকে অব্যাহত ভাঙনে গত এক সপ্তাহে অন্তত ১৫ পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা বেলাল বলেন, ‘বন্যার পানি এখনও বাড়িঘরে প্রবেশ করে নাই। তবে ভাঙনে এলাকার মানুষ দিশেহারা। রলাকাটার পশ্চিমে মাঝের চর ও চিড়াখাওয়ার চরের আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বাড়তে থাকলে দুই একদিনের মধ্যে বাড়িঘরে ঢুকবে।’
যাত্রাপুরের কালির আলগা ও গোয়াইলপুরির চরে গত দুই দিনে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেখানকার বেশ কিছু পরিবারের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বেশিরভাগ পরিবারের বসতবাড়ির চারপাশে পানি।
গোয়াইলপুরির চরের বাসিন্দা মাহবুব বলেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ। বন্যার কবলে পইড়া গেছি। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকতাছে। আইজ কাইলের মধ্যে সব ঘরবাড়িতে পানি ঢুইকা পড়বো।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। জেলা জুড়ে ৪ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবারও পানি বৃদ্ধির ফলে যেসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে আমরা সেদিকে বাড়তি নজর রাখছি।’