যমুনার পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল | 2024-07-07 19:27:56

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিকারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের প্রায় শতাধিক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলসহ হাজার হাজার মানুষ।

পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলসহ কৃষকের প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে ভাসছে ও তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এরমধ্যে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, নিকরাইল ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় , চলমান বন্যায় অর্জিত ৮৯০ হেক্টর জমির আউশ ধানের মধ্যে তলিয়ে ও পচে গেছে ৫৮০ হেক্টর জমি, অর্জিত পাট ২ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমির মধ্যে তলিয়ে গেছে ২৮০ হেক্টর জমি, অর্জিত ১ হাজার ৬১০ হেক্টর তিলের মধ্যে তলিয়ে গেছে ১০ হেক্টর, অর্জিত ৩২০ হেক্টর জমির মধ্যে তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর ও অর্জিত ৫১০ হেক্টর বোনা আমনের মধ্যে তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর জমির ফসল।

কৃষক সফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি বন্যা হয়েছে। আমাদের চরাঞ্চলের তিল, পাট, আউশ ধানসহ বিভিন্ন সবজি পানিতে তলিয়ে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছি’।

কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, এবছর ১ বিঘা জমিতে ঢেঁড়শ, মরিচ, পুঁইশাক ও পাটশাকসহ আরও সবজি চাষ করছিলাম। পানিতে আমার সব তলিয়ে গেছে। এসব ফসল তলিয়ে যাওয়ার কারণে অবশিষ্ট আর কিছু রইল না। এই ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি’।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান জানান,উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বর্ষণে চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান, তিল, পাট ও বোনা আমনসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর