সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ির দুই পাশেই অন্তত আট কিলোমিটার যানজট দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে।
‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অবরোধে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে সরকারের জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার প্রতিবাদে ও পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, যানজটে আটকে আছে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী বাস, ট্রাকসহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গাড়িও। তবে শিক্ষার্থীরা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, বিদেশগামী প্রবাসীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুযোগ করে দিচ্ছে।
কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী দাউদকান্দি এক্সপ্রেস বাসের চালক শাহজাহান মিয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবারও অবরোধে আটকে ছিলাম। আজকেও আটকে আছি। যাত্রীরা সব নেমে যাচ্ছে, কয়েক ঘণ্টা হলো তবুও অবরোধ শেষ হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মারসা পরিবহন নামের বাসের চালক মো. জলিল বলেন, অনেক দূরের পথ চট্রগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছি মাঝপথে আটকে গেলাম। অনেকক্ষণ থেমে আছে আর কতক্ষণ থাকে কে জানে?
বাসযাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা যাচ্ছিলাম গুরুত্বপূর্ণ কাজে, আড়াই ঘণ্টা ধরে এক জায়গায় আটকে আছি। প্রশাসনের কোন ভূমিকাও দেখছি না। খুব ভোগান্তিতে আছি আমরা।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, অবরোধের কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধ সরে গেলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে যানজট নিরসনের চেষ্টা করবো।