টাঙ্গাইলে সাবেক সেনা সদস্যের বসতবাড়ীতে হামলা ও চাঁদা দাবি

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল | 2024-10-05 22:07:40

টাঙ্গাইলে গোপালপুরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট নজরুল ইসলামের বসত-বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুস্কৃতিকারীরা সেনা সদস্যের বসতবাড়ীতে হামলা করে তাকে আহত করে ও চাঁদা দাবি করে। এঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুই দফায় গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের রাজ গোলাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘনটনায় থানায় একটি অভিযোগও দেয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন সুমি খাতুন, নাজিম উদ্দিন, সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আতিকুর রহমান আতিক।

জানা যায়, মৃত শুকুর মাহমুদের দুই ছেলে সরকারিভাবে বন্দোবস্ত জমি নেন। ১৯৭৫-৭৬ সালে ৪৩ শতাংশ জমি নেন মৃত মজিবর রহমান তালুকদার ও ১৯৭৭-৭৮ সালে ৪১ শতাংশ জমি সরকারিভাবে বন্দোবস্ত নেয় আবুল হোসেন তালুকদার। ২০০৭ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ খারিজ আছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ থেকে ১ বছরের জন্য সরকারিভাবে কোন লীজ যাতে না দিতে পারে এরকম একটি রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর থেকে ওই পুকুর দখল করার চেষ্টা করে প্রতিবেশী আপন ও এরশাদরা। গত শুক্রবার সকালে আবুল হোসেন তালুকদার ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেলে তাকে বাঁধা প্রদান করে ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আপন ও এরশাদরা শুক্রবার সকালে জোরপূর্বকভাবে মাছ ধরে হেমনগর আড়তে নিয়ে যায় বিক্রি করার জন্য। পরে পুলিশের খবর দিলে তারা উদ্ধার করে আবুল হোসেন তালুকদারদের কাছে ফেরত দেয়।

আহত সুমি খাতুন বলেন, আমার পেঁপে গাছ থেকে পেঁপে পেড়ে নিয়ে যাচ্ছি তখন আপন আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। পরে এক পর্যায়ে আমার হাত থেকে পেঁপে থাপ্পড় দিয়ে ফেলে দেয়। পরে আমাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। আমাদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

আহত নাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা পুকুরে মাছ ধরতে গেলে আপন ও এরশাদরা মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। তারা আমাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা মাছ ধরতে দিবে না। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। আপন ও এরশাদরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে ও আমাদের লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে। এসময় আমিসহ তিনজন আহত হয়।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট নজরুল ইসলাম বলেন, আমার চাচা আবুল হোসেন পুকুরে মাছ ধরতে গেলে দৃষ্কৃতকরীরা বাঁধা প্রদান করেন ও চাদাঁ দাবি করেন। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিপন, সজীব, সবুজ, শিল্পী, বেলাল, আপন সুরুজ, রহিম বাদশাহ ও জীবন বাড়ীতে ভাংচুর করে । আমার ছোট ভাই আতিকুর রহমান চাকুরি থেকে ছুটিতে আসে বাঁধা দিতে গেলে বাশঁ দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে তাকেও মারধর করে।

অভিযুক্ত সুরুজ মিয়া বলেন, আমি বাড়ীতে ছিলাম না, তাদের বাড়ীতে হামলা হয়েছে আমি শুনেছি।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাপ মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, হেমনগর ফাঁড়ি এসআই লুৎফরকে তদন্তকারী হিসেবে দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর