ওয়ার্ল্ড ডায়বেটিস ডে: প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ওয়ার্ল্ড ডায়বেটিস ডে।

ওয়ার্ল্ড ডায়বেটিস ডে।

  • Font increase
  • Font Decrease

অন্যতম কমন শারীরিক সমস্যার মাঝে ডায়বেটিস প্রথম দিকেই থাকবে।

মূলত ডায়বেটিস হলো ‘মেটাবলিক ডিসঅর্ডার’ যার ফলে রক্তে চিনির মাত্রা অনিয়ন্ত্রত হয়ে যায়। শরীরে ইনস্যুলিন ইনসেন্সেটিভ অথবা শরীরে ইনস্যুলিনের প্রোডাকশন কমে গেলেই ডায়বেটিসের সমস্যাটি দেখা দেয়। অনেকেই হয়তো জানেন না, ডায়বেটিস দুই প্রকারের হয়। প্রথমটি হলো টাইপ-১ ডায়বেটিস, যা নিরাময়যোগ্য নয়। দ্বিতীয়টি হলো টাইপ-২ ডায়বেটিস, যা নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে সহজেই নিরাময়যোগ্য।

পুরো পৃথিবী জুড়ে ডায়বেটিসের বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে ইন্টারন্যাশনাল ডায়বেটিস ফেডারেশন (IDF) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ১৯৯১ সালের ১৪ নভেম্বর ‘ওয়ার্ল্ড ডায়বেটিস ডে’ গড়ে তোলে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/14/1542177709997.jpg

ডায়বেটিস হবার কারণ কী?

জন্ম থেকেই শরীরে ডায়বেটিসের সমস্যা দেখা দিলে সেটাকে টাইপ-১ ডায়বেটিস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে টাইপ-২ ডায়বেটিস হবার নানাবিধ কারণ রয়েছে। তার মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ হলো-

১. বংশগত কারণ।

২. বয়স।

৩. ওবেসিটি বা বাড়তি ওজন।

৪. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস।

৫. শরীরচর্চার অভাব ও

৬. হরমোনের সমস্যা।

ডায়বেটিসের লক্ষণগুলো কী?

হুট করেই ডায়বেটিসের প্রভাব দেখা দিতে পারে শরীরে। শারীরিক এই সমস্যাটির লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন নন অনেকেই। ফলে দেরীতে ডায়বেটিস ধরা পড়ে। ডায়বেটিসের একেবারেই প্রথমিক কিছু লক্ষণ তুলে ধরা হলো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/14/1542177757224.jpg

১. ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া।

২. ক্ষত ভালো হতে প্রয়োজনের চাইতে বেশি সময় লাগা।

৩. ইষ্ট ইনফেকশন হওয়া।

৪. ঘনঘন মাথা হালকাবোধ হওয়া।

৫. ঘনঘন মুড পরিবর্তিত হওয়া।

কীভাবে ডায়বেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব?

ডায়বেটিসকে ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’ ও বলা হয়ে থাকে। কারণ সঠিক ও নিয়ন্ত্রিত জীবনব্যবস্থার মাধ্যমে খুব সহজেই এই রোগটিকে দূরে রাখা সম্ভব ও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়বেটিস প্রতিরোধে যে নিয়মগুলো নিজের আয়ত্তে আনা প্রয়োজন সেগুলো জেনে রাখুন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/14/1542177662149.jpg

শরীরচর্চা

প্রতিদিনের নানাবিধা কাজের মাঝে তিরিশ মিনিট বরাদ্দ রাখুন শরিরচর্চা কিংবা হাঁটার জন্য। শরীরকে একটিভ রাখার মাধ্যমে রক্তে চিনির মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। এমনকি শরীরে ইনস্যুলিনের সেনসিটিভিটি বৃদ্ধি পায় শরীরচর্চার ফলে। এছাড়া শরীরচর্চার ফলে এন্ড্রোফিন হরমোনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়, যা আনন্দে থাকতে সাহায্য করে ও ডিপ্রেশনকে দূরে রাখে।

দানাদার খাদ্য গ্রহণ

দানাদার কিংবা হোল গ্রেইন খাবারে থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, যা রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করে খুব ধীরে। যেখানে সিম্পল কার্বোহাইড্রেট হুট করেই রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে রিফাইন্ড গ্রেইন (সাদা ভাত) গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/14/1542177846661.jpg

টাইপ-২ ডায়বেটিস এড়াতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার রাখতে হবে। আঁশ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে না। এছাড়া আঁশযুক্ত খাবার পরিপাক হতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়। ফলে পেট ভরা থাকে এবং ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

বাড়তি ওজন সবসময়ই ডায়বেটিসের আশঙ্কা বহন করে। শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ও ডায়বেটিসমুক্ত থাকতে চাইলে অবশ্যই ওজনকে নিয়ন্ত্রণের মাপকাঠিতে আনতে হবে।

চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে যাওয়া

মাত্র ১২ আউন্স পরিমাণ বোতলজাত কোমল পানীয়তে থাকে ১০ চা চামচ চিনি। কোমলপানীয় পানের ফলে রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া ও হৃদরোগ পাওয়ার মতো সমস্যাগুলোও দেখা দেয়।

মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা

অতিরিক্ত মানসিক ও শারীরিক চাপের ফলে রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এইনেফ্রিন ও কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করে এনার্জি বৃদ্ধির জন্য। যে কারণে যথাসম্ভব স্ট্রেস ফ্রি জীবনযাপন করার চেষ্টা করতে হবে।

আরো পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অস্টিওপরোসিস ডে: হাড় থাকুক মজবুত

আরো পড়ুন: অ্যাসিডিটির সমস্যা: কারণ ও পরিত্রাণের উপায়

   

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;