সৌন্দর্যচর্চায় মধুর চমৎকার চার ব্যবহার
প্রাকৃতিক উপাদান মধুর গুণের মতোই তার বহুবিধ ব্যবহারেরও শেষ নেই।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এই উপাদানটির ব্যবহার হয়ে আসছে প্রায় ৫০০০ বছর আগে থেকে। ক্ষত সারাতে, শরীর নিরোগ রাখতে ও সৌন্দর্যচর্চার বিবিধ ব্যবহারে মধুকে এগিয়ে রাখা হয় সবসময়।
সাধারণত মধুর ফেসপ্যাক কিংবা মধুর হেয়ার মাস্কের ব্যবহার নিয়ে কথা বলা হয়। তবে আজকের ফিচারে সৌন্দর্যচর্চায় মধুর চারটি ভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে লেখা হলো। যা উপকারে আসবে সবার।
তৈলাক্ত ভাব কমাতে
মুখের তৈলাক্তভাব বেড়ে গেলে বারংবার পানি দিয়ে মুখ ধোয়া কোন সমাধান নয়। আবহাওয়ার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ত্বকের তৈলাক্ততাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই তৈলাক্তভাব কমিয়ে আনার জন্য ব্যবহার করতে শুধু দুইটি উপাদান প্রয়োজন হবে, মধু ও ওটস। পরিমাণমতো মধুতে ওটস মিশিয়ে মিশ্রণটি পুরো মুখে ম্যাসাজ করে মিনিট পনের রেখে দিতে হবে। এরপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ওটস ত্বকের বাড়তি তেল নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে এবং মধু ত্বককে কোমল রাখবে।
গরম তাপে ত্বক পুড়ে গেলে
হেয়ার স্ট্রেইটনার কিংবা হেয়ার কার্লার ব্যবহারের সময় অসাবধানবশত কান, গলায়, চোয়ালের পাশে কিংবা হাতে গরম তাপের দরুন পুড়ে যায়। এই পোড়া খুব গুরুত্বর না হলেও জ্বালাপোড়া থাকে বেশ ভালোই এবং বেশ অনেকদিন পর্যন্ত ত্বকে দাগ থেকে যায়। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলবে মধুতে। হুট করে এমন দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত আক্রান্ত স্থানে মধু মাখিয়ে রেখে দিতে হবে ২০ মিনিটের মতো। এরপর কুসুম গরম পানিতে ভেজানো কাপড়ের সাহায্যে ত্বক মুছে নিতে হবে। এতে জ্বালাপোড়াভাব কমার সাথে দাগও দেখা দিবে না। পোড়াভাব বেশি হলে দিনে দুইবার এইভাবে মধু ব্যবহার করতে হবে।
চুলের আগার রুক্ষভাব দূর করতে
গ্রীষ্মে স্বাভাবিকভাবেই চুলের আগা খুব অতিরিক্ত শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। এই শুষ্কতা চুলের আগা ফাটা, আগা ভাঙা সহ চুলের বৃদ্ধির হাড়ও কমিয়ে দেয় কিছুক্ষেত্রে। চুলের আগার শুষ্কভাব দূর করতে ব্যবহার করতে হবে মধু ও অলিভ অয়েল। সমপরিমাণ মধু ও অলিভ অয়েল চুলের মাঝের অংশ থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে মাখিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এরপর হারবাল শ্যাম্পুতে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই উপাদান দুইটি চুল নরম করতে ও চুলের শুষ্কভাব দূর করতে কাজ করবে।
ব্রণের উপদ্রব কমাতে
গরমে হুটহাট ব্রণের সমস্যাটি উঁকিঝুঁকি দিবে। বিশেষ করে কোন অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণের কথা থাকলে তো কথাই নেই। কপালে, মুখের সম্মুখভাবে বিশালাকার ব্রণ দেখা দিবে। ব্রণের আকার ছোট করতে, ব্রণের ব্যথাভাব কমাতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে মধু ও দারুচিনি গুঁড়া। দুইটি উপাদানের মিশ্রণে ঘন পেস্ট তৈরি করে সরাসরি ব্রণের উপরে মিশ্রণটির পুরু প্রলেপ দিয়ে পনের মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান ব্রণের সমস্যাটি তাৎক্ষণিকভাবে প্রশমিত করে।
আরও পড়ুন: ত্বকের যত্নে আলুর তিন ফেস প্যাক
আরও পড়ুন: দুই উপাদানেই প্রাণবন্ত ত্বক