স্বাদে সুস্বাস্থ্যে তুলনাহীন তিলের ভর্তা

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তিলের ভর্তা।

তিলের ভর্তা।

গরম ভাত কিংবা খিচুরির সাথে নানান ধরণের মুখরোচক ভর্তার আবেদন কখনোই কমে না।

পরিচিত আলু-বেগুন ভর্তার পাশাপাশি শুটকি ভর্তা, মরিচ ভর্তা, কালিজিরা ভর্তা কিংবা লাউপাতা ভর্তা যেন ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। এতো সকল ভর্তার মাঝে তিলের ভর্তা তেমনভাবে পরিচিত নয়। সহজেই প্রস্তুত করা এই ভর্তাটি খেতে যেমন স্বাদু, তেমনই দারুণ স্বাস্থ্যকর।

বৃষ্টির দুপুরে কিংবা রাতে ঝাল ঝাল তিলের ভর্তা খাবারের আমেজটাই পাল্টে দেবে একদম। কীভাবে তৈরি করবেন মজাদার এই ভর্তাটি? চোখ বুলিয়ে নিন রেসিপিতে।

বিজ্ঞাপন
আরো পড়ুন: ঘরেই তৈরি হবে রসমালাই

উপকরণ সমূহ:

১. টেলে নেওয়া ও খোসা ছাড়ানো সাদা তিল আধা কাপ।

২. ৩-৪ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুঁচি।

বিজ্ঞাপন

৩. ৩-৪ টি রসুনের কোয়া।

৪. ভেজে নেওয়া শুকনো মরিচ ৪-৫ টি।

৫. কোরানো নারিকেল আধা কাপ।

৬. সরিষার তেল পরিমাণমতো।

৭. লবণ স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালী:

সরিষার তেল বাদে বাকি সকল উপকরণ একসাথে পাটায় বেটে নিতে হবে। ভালোভাবে বাটা হয়ে গেলে একটি পাত্রে নিয়ে পরিমাণমতো সরিষার তেল যোগ করে মথে নিতে হবে। ব্যস ঝটপট তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদু তিলের ভর্তা।

কারোর যদি পাটায় বেটে ভর্তা তৈরিতে সমস্যা হয় তবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করেও ভর্তা তৈরি করা যাবে। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করার ক্ষেত্রে কিছুটা পানি যোগ করতে হয়, ফলে স্বাদ কিছুটা কমে যায়।

আরো পড়ুন: ইটালিয়ান স্বাদে শ্রিম্প আলফ্রেডো পাস্তা

কেন খাবেন তিল?

তিলের খাজাতেই সাধারণত তিল খাওয়া হয়। এছাড়া তিল খাওয়ার প্রচলন খুব একটা নেই বললেই চলে। অথচ স্বাস্থ্যকর গুণে ভরপুর এই খাদ্য উপাদানটির উপকারিতা অসংখ্য। তাইতো প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন বার তিলের ভর্তা খাওয়া উচিৎ সকলের। সকলের সুবিধার্থে তিলের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা উল্লেখ করা হলো।

১. তিলে থাকা ওমেগা-৩, ওমেগা-৯ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী।

২. অ্যান্টি-ক্যান্সার খ্যাত ম্যাগনেসিয়াম পূর্ণ তিল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

৩. ম্যাগনেসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে ডায়বেটিস থাকে নিয়ন্ত্রণে।

৪. তিলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি তিলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৫. প্রচুর আয়রনে ভরপুর তিল রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে খুবই উপকারী।

৬. খাদ্য আঁশের অন্যতম ভালো উৎস তিল, খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে থাকে।

৭. আয়রনের সাথে তিলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিংক। যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে কাজ করে।