বিশ্ব এইডস দিবস: এইচআইভি পরীক্ষায় জোর দেওয়ার তাগিদ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব এইডস দিবসে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেমিনার /ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব এইডস দিবসে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেমিনার /ছবি: সংগৃহীত

এইচআইভি বা এইডস প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করার কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে সামাজিক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে সবাইকে এইচআইভি ভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে।

বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে শনিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আয়োজিত সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন। ‘নো ইউর স্ট্যাটাস’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে এবারের বিশ্ব এইডস দিবস।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা: আফজালন্নেছা বিনতে লুৎফর। এছাড়াও আলোচক হিসেবে অংশ নেন প্রফেসর ডা: এম এন নাগ, হাসপাতালের পরিচালক ডা: নাহিদ ইয়াসমিন, ডা: নাজমুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: আফিকুল রহমান।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, এইডস এর জীবাণু মানুষের মধ্যেই বেঁচে থাকে এবং মানুষের মাধ্যমেই ছড়ায়। এ কারণে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে গর্ভবতী মা, বিদেশ থেকে যারা আসছেন, বিদেশে যারা কাজ করেন তাদের স্বেচ্ছায় এইচআইভি পরীক্ষা করাতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এইডসের ভাইরাস আছে কিনা সেটা অন্তত বছরে একবার পরীক্ষা করাতে হবে। বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা কত সেটা জানা গেলেও কতজন এই জীবাণু বহন করছেন সেটা পরীক্ষা করা হয় না বলে জানা সম্ভব হয় না। এ কারণে সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে পরীক্ষা করাতে হবে।

ডা: নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, ‘কোনো গর্ভবর্তী মাকে যদি আগেই সনাক্ত করা যায় তাহলে একটি এইচআইভি আক্রান্ত শিশুর জন্ম রোধ করা সম্ভব। কিন্তু সামাজিক বাধার কারণে অনেকেই এই পরীক্ষা করতে চান না। অথচ ৩০ থেকে ৪০ মিনিটেই এই পরীক্ষা করা সম্ভব। সরকার যদি এটাকে বাধ্যতামূলক করে তাহলে মানুষ খুবই উপকৃত হবে।’