চাঁপাইনবাবগঞ্জের পোশাক ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
সারা বছরের মধ্যে রোজার ঈদকে ব্যবসার মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পোশাক ব্যবসায়ীরা। সে হিসেবে রমজানের আগ থেকেই প্রস্ততি নিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দেশ-বিদেশের বাহারি রকমের পোশাক আমদানি করেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। ধার দেনা এমনকি বিভিন্ন ব্যাংক হতে লোন নিয়ে তারা বিপুল পরিমাণ টাকার গার্মেন্টসের পোশাক ক্রয় করেন।
তাদের দাবি, অন্য মৌসুমগুলোতে ভালো ব্যবসা হয়েছে। তবে এবার চিত্র ভিন্ন। বেচা কেনা করতে না পেরে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। অনেক দোকানি ও কর্মচারীকে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্লাব সুপার মার্কেটের নিউ লুকস দোকানের মালিক জমসেদ আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, ঈদকে মাথায় রেখে দেশের প্রধান মার্কেটগুলো থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকার গার্মেন্টসের পোশাক ক্রয় করা হয়। কিন্তু রমজানের এক মাস পার হয়ে গেলেও মাত্র ৩ লাখ টাকার মাল বিক্রি হয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন দেয়া হবে না।
একই কথা জানান শিবগঞ্জ বাজারের আরকে ফ্যাশন ফেয়ারের মালিক মো. রানাউল ইসলাম। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা রোজার ঈদের জন্য অপেক্ষায় থাকি। ঈদ উপলক্ষে দেশ ও বিদেশ হতে ৩০ লাখ টাকার গার্মেন্টস পণ্য মজুদ করা হয়েছিল। যার মধ্যে প্রায় ৫ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। হাতে আর মাত্র দু-এক দিন সময় আছে। এ সময়ের মধ্যে বিক্রি করতে না পারলে পথে বসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অধিকাংশ টাকাই ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হয়েছে। টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে না।’
গার্মেন্টস ব্যবসায় মান্দার কারণ হিসেবে কানসাট এলাকার দোকানি আক্তার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে আমের বাজার খারাপ। এছাড়া বর্তমান সময়ে ধানের দাম না পাওয়ায় অনেকে বাজার করতে আসছে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের প্রধান আয়রে উৎস হল আম। মানুষ আম বিক্রি করে সারা বছর চলে। কিন্তু আমের দাম না পাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের হাতে টাকা নাই। যার প্রভাব পড়েছে জেলার সকল ব্যবসার উপর।’