ঈশ্বরগঞ্জ যুদ্ধ দিবস আজ

  • রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আজ ১৩ অক্টোবর, ঈশ্বরগঞ্জ যুদ্ধ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন সাতজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। শহীদ হওয়া সাতজনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ ও চারজনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলায়।

১৯৭১ সালের অক্টোবর মাস। দেশজুড়ে তখন তুমুল যুদ্ধ। ১২ই অক্টোবর রাতে কাজী আলম, আলতাব ও হাবিবুল্লাহ খান ওই তিন কোম্পানির (গেরিলা ট্রেনিংপ্রাপ্ত) মুক্তিসেনারা ময়মনসিংহ, ভৈরব রেললাইনের মাইজহাটি ব্রিজটি ডিনামাইট ছুড়ে বিধ্বস্তসহ টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। তারপর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের রামগোপালপুর ও কটিয়াপুরি ব্রিজটি বিধ্বস্ত করতেই ভোর হয়ে যায়। ১৩ অক্টোবর ভোরে মুক্তিসেনারা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হাসিম উদ্দিন আহাম্মদ দিনের বেলাতেই পাকিস্তানি সেনাদের ঘাঁটি ঈশ্বরগঞ্জ থানা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর ওই তিন কোম্পানির মুক্তিসেনারা সড়কপথে অগ্রসর হয়ে ঈশ্বরগঞ্জের দওপাড়া শ্মশানঘাট (মরাখলায়) এসে তিনভাবে ভাগ হয়ে যান। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্লাটুন কমান্ডার কাজী হাসানুজ্জামান হীরুর গ্রুপ সোনালি ব্যাংক সম্মুখে, হাবিবুর রহমান হলুদের গ্রুপ চরহোসেনপুর নলুয়া পাড়া মসজিদের পাশ থেকে, আবদুস ছাওার ও মতিউর রহমানের গ্রুপ থানার পেছন থেকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা আক্রমণ শুরু করেন। পাক হানাদারদের সঙ্গে শুরু হয় তুমুলযুদ্ধ।

মুক্তিযোদ্ধাদের পরিকল্পনায় ত্রুটির কারণে যুদ্ধের মাঝপথে চেইন অব কমান্ড ভেঙে যায়। ফলে তাদের যুদ্ধ অভিযান ব্যর্থ হয়। ওই সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকার-আল শামসদের হাতে প্রাণ দেন সাত মুক্তিযোদ্ধা। ওই সম্মুখযুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জের রোকনপুর গ্রামের সামসুল হক, ছোট তারাকান্দি গ্রামের আবদুল মান্নান, হরিপুর গ্রামের আবদুল খালেক, গৌরীপুরের কয়রাকান্দা গ্রামের দুলাল, আহাম্মদপুর গ্রামের মতিউর রহমান, ভাংনামারী গ্রামের আবু তাহের ও সহনাটি ইউনিয়নের হাতেম পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হন।

বিজ্ঞাপন