পরিবহন ঘুরলেই দিতে হয় ৫০টাকা!

বঙ্গবন্ধু সেতু



অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
টেন্ডার ছাড়াই বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাড়তি ওজনের টাকা আদায় /ছবি: বার্তা২৪.কম

টেন্ডার ছাড়াই বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাড়তি ওজনের টাকা আদায় /ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন স্কেলে গাড়ির ওজন একটু বেশি হলেই পাঠিয়ে দেয়া হয় স্টক ইয়ার্ডে। সেখানে গাড়ি প্রতি আদায় করা হয় ৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতুতে এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে টাকা আদায়ের নিয়ম না থাকলেও কেবল সড়ক সংস্কারের অজুহাতে টেন্ডার ছাড়াই পরিবহন থেকে টাকা আদায় করছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

স্কেলে অনেক সময় পরিবহনের ওজন অনেক বেশি দেখায়। তবে গাড়ি ঘুরে স্কেলে এলে সেটির পরিমাপ সঠিক হয়। অথচ ঘুরে যাওয়ার জন্য ৫০ টাকা বাড়তি দিতে হয়।   

অনুসন্ধানে জানা গেছে, টাকা আদায়ের ব্যবস্থাপনায় স্টক ইয়ার্ডে নিয়োগ করা হয়েছে ৩০ জনকে। যদিও ২০১১ সালের আগে সেতুতে এ ধরনের কোনো টাকা আদায় হতো না। ২০১১ সালের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সেতু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওজন বেশি হওয়ার পরিবহন থেকে এমন টাকা আদায়ের উদ্যোগ নেয়া হয়।

সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, সেতুতে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া সেতু এলাকায় কোনো ধরনের ছবি তোলা নিষেধ রয়েছে। এমনকি কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে সেতুর কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী কথা বললে তার নিয়োগ বাতিল করারও অভিযোগ রয়েছে।

টেন্ডার ছাড়াই বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাড়তি ওজনের টাকা আদায় 

সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে গিয়ে জানা গেছে, সেতু পার হতে ভারী পরিবহনগুলোকে ওজন স্টেশন অতিক্রম করতে হয়। মেশিনে ওজন বেশি হলে পরিবহনটিকে পাঠিয়ে দেয়া হয় স্টক ইয়ার্ডে। আর এতে গাড়ি প্রতি আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা করে। পরে গাড়িগুলো ৫০ টাকা পরিশোধ করে স্টক ইয়ার্ড পার হচ্ছে। এই স্টক ইয়ার্ড পরিচালনার জন্য ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

আরও জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর উভয় প্রান্তে প্রতিদিন গড়ে ৩-৪শ গাড়ি ওজন বেশি হওয়ার জন্য ঘুরে স্টক ইয়ার্ডে যায়। পরিবহনের পেছনের চাকায় (স্কেলে) সর্বোচ্চ ১৬ টন ৪০০ কেজির উপরে হলেই সেটিকে স্টক ইয়ার্ডে পাঠানো হয়। আর এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা আদায় করা হয়। আদায়কৃত এই টাকা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করে বাকি টাকা সেতুর ব্যাংক একাউন্টে জমা করা হয়।   

এ ছাড়া বেশি ওজনের গাড়ি হতে মালামাল স্থানান্তরের জন্য সেতুর উভয় প্রান্তে ১২০ জন লেবার (শ্রমিক) নিয়োজিত রয়েছেন। গাড়িতে ১ টন ওজন মালামাল সরানোর জন্য তাদের ৩০০ টাকা করে দিতে হয় চালকদের।

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ওজন স্কেলে গাড়ির ওজন একটু বেশি হলেই পাঠিয়ে দেয়া হয় স্টক ইয়ার্ডে

চালকদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু সেতুতে স্থাপিত ওজন স্টেশনের যন্ত্র প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে। এতে অনেক সময় পরিবহনের ওজন অনেক বেশি দেখায়। এতে গাড়ি ঘুরে এসে আবার ওজন স্টেশনে এলে সেটির পরিমাপ সঠিক হয়। অথচ ঘুরে যাওয়ার জন্য ৫০ টাকা বাড়তি দিতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টক ইয়ার্ডে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, গাড়ি ঘুরলেই টাকা দিতে হবে। টাকা পরিশোধ ছাড়া চালকরা স্টক ইয়ার্ড পার হতে পারবে না। অনেক গাড়ির ওজন ঠিক থাকলেও সেগুলো ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে শুধুমাত্র টাকা আদায়ের জন্য। 

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) বঙ্গবন্ধু সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সেতু এলাকায় যেসব পরিবহনের ওজন বেশি হচ্ছে, সেগুলো থেকে রশিদের মাধ্যমে ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। টাকাগুলো নিয়মিত বিবিএ প্রধান কার্যালয়ের একাউন্টে জমা দেয়া হচ্ছে। এর জন্য ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ওজন স্টেশনের সড়কে খানাখন্দ, চালকদের ভোগান্তি

অনিয়মে সাড়ে ৭ হাজার গাছ বেচল সেতু কর্তৃপক্ষ!

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;