৪৮ ঘণ্টা পর বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য সচল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর/ছবি: বার্তা২৪.কম

বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর/ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএসএফ কর্তৃক সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের বন্দরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দুইদিন পর বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে সন্তোষজনক আলোচনা শেষে বাণিজ্য সচল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বেনাপোল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত পূ্র্বের নিয়মে দুই পাশের স্টাফ সদস্যরা কাস্টমস পারমিট নিয়ে যাতায়াত করবে। এর মধ্যে দুই পক্ষ আরও একবার আলোচনায় বসে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, দুই দিন আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ে ব্যাহত হয়েছে। আর ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়েছে ১০ কোটি টাকা।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বাণিজ্যিক কার্য সম্পাদনে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে কাস্টমস পারমিট নিয়ে যাতায়াত করা সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এতে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।

প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৪শ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং দেড়শ থেকে ২শ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য উল্লেখযোগ্য। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে।

আরও পড়ুন- বিএসএফের হয়রানিতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ