হাসপাতালের ব্যবহৃত মাস্ক ধুয়ে বিক্রির অভিযোগে আটক ২
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসগাজীপুরের টঙ্গীতে হাসপাতালের ব্যবহৃত মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস সংগ্রহ করে ধুয়ে বিক্রির অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে টঙ্গীর মাছিমপুর এলাকার চম্পাকলি সিনেমা হলের পেছনের আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ব্যবহৃত মেডিকেল সামগ্রী উদ্ধার ও দু’জনককে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ইমরান (৪৫) ও লাল মিয়া (৪৫)। তাদের স্থায়ী ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ।
তারা দুই মাস আগে আবেদ আলীর বাড়ির একটি ঘর ভাড়া নেন। সেখানে পরিত্যক্ত মেডিকেল সামগ্রী রাখার একটি গোডাউন রয়েছে। এটির মূল মালিক গোপালগঞ্জের মোকছেদপুর থানার মন্ডলগাছি এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে মো. নাসির মিয়া (৪০)। তার ঘরের তালা ভেঙে এসব সামগ্রী উদ্ধার করা হলেও তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ মণ্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, এ চক্রটি টঙ্গী, গাজীপুর ও উত্তরাসহ আশপাশের অঞ্চলের সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালের অসাধু নার্স ও কর্মচারীদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে ব্যবহৃত মাস্ক, সিরিঞ্জ, হ্যান্ড গ্লাভস ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল সংগ্রহ করত। এরপর মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকানো হত। সবশেষ আয়রন করে তা টঙ্গী, উত্তরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন বলে চড়া দামে বিক্রি করা হতো।
তিনি আরও বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রায় আড়াই বস্তা মাস্ক, বিপুল সিরিঞ্জ উপাদান, স্যালাইন পুশের সরঞ্জাম, রক্তমাখা হ্যান্ড গ্লাভস ও ছয় বোতল মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিত্যক্ত মেডিকেল সামগ্রীর ব্যবসাটি মূলত নাছিরের। অন্য দু’জন সেখানে কাজ করেন। করোনাভাইরাসের কারণে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের চাহিদা বাড়ায় তারা বেশি সক্রিয় হয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে ভেজাল দ্রব্য বিক্রি করে মানুষের ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হচ্ছে।