করোনায় বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য ব্যাহত

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল(যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দর

বেনাপোল বন্দর

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ভারতে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে মারাত্মকভাবে বাণিজ্য ব্যাহতের পাশাপাশি বন্ধেরও শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এখন পর্যন্ত বাণিজ্য সচল রয়েছে।

এদিকে ভারত থেকে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানিতে ঢাকার খামারবাড়ি থেকে আমদানিকারকদের আইপি না দেওয়ায় পেঁয়াজের নতুন এলসি বন্ধ রয়েছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় এ দ্রব্যের আমদানি বন্ধের পথে।

বিজ্ঞাপন

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পণ্য আমদানি বা ভারতে রফতানি বাণিজ্যে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আসা যাওয়া করতে হয়। কিন্তু সে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্য চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দেশে স্থলপথে যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে পণ্য আদান প্রদানে দুই দেশের মধ্যে আসা যাওয়া করতে হয়। কিন্তু ভারত সরকার সাধারণ বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কেউ আসা-যাওয়া করতে পারছে না। এ নিষেধাজ্ঞা যদি দীর্ঘায়িত হয় তবে নতুন এলসিতে যে কোনো পণ্য আমদানি হওয়ার সম্ভবনা কম। এ সংকটের মধ্যে আমদানি বন্ধ হলে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বাজার মূল্য বেড়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজল বলেন, ভারত ও চায়না বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বড় কেন্দ্র। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এড়াতে মাস দেড়েক আগে চীন সরকার বাংলাদেশের সাথে পণ্য আদান-প্রদান বন্ধ করেছে। ভারতের সাথে চলছিল বাণিজ্য। এখন ভারত যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় বাণিজ্যক ভিসা চালু রাখলে এ সংকট কিছুটা নিরসন হবে।

বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালক অসিম দে বলেন, অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে তাদের বাংলাদেশে আসতে হয়েছে। পরিবারের লোকজন করোনার কারণে আসতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু না আসলেতো সংসার চলবে না । তাই বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে। তবে যেখান থেকে তারা পণ্য নিয়ে এসেছেন করোনা আতঙ্কের কারণে তারা এরপর আর অফিস খোলা রাখবেন না জানিয়েছেন। এতে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

খুলনার সবচেয়ে বড় কাঁচামাল আমদানিকারক হামিদ এন্টারপ্রাইজের এলসি বিভাগের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজের এলসি করার জন্য ঢাকার খামারবাড়ি থেকে নতুন আইপি দিচ্ছে না। কেন দিচ্ছেন না তাও স্পষ্ট করে বলছেন না। তবে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মৌখিক নির্দেশনা রয়েছে। এতে সামনের সপ্তাহ থেকে ভারত হতে পেঁয়াজ আমদানি হয়তো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমদানি বন্ধ হলে আবারও এ পণ্যটির বাজার ঊর্ধ্বগতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক(প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, বর্তমানে বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা সচল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রুত খালাস নিতে পারেন তার জন্য বন্দরে সব ধরনের জনবল রয়েছে।