করোনায় নিয়ম শুধু দিনমজুরদের!

  • হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রামগতি উপজেলার বড়খেরি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ

রামগতি উপজেলার বড়খেরি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ

করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ বন্ধ রেখে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) থাকা দিনমজুরদের জন্য চালের বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। লক্ষ্মীপুরে ৪টি পৌরসভা ও ৫৮টি ইউনিয়নের জন্যও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পৌরসভা ও ইউনিয়ন প্রতি ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু এসব বিতরণ করতে গিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জনসমাগম সৃষ্টি করছে। ঠিক এমনই দৃশ্য দেখা গেছে রামগতি উপজেলার বড়খেরি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে।

রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে বড়খেরী ইউনিয়নে দিনমজুরদের মাঝে সরকারি বরাদ্দের চাল ও টাকা বিতরণ করা হয়। এসময় সামাজিক দূরত্বের জন্য গোলাবৃত্তে দিনমজুরদের দাঁড় করোনা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতারা দূরত্ব বজায় রাখেননি। তারা একজন আরেকজনের গায়ে গা লাগিয়ে (গা ঘেঁষে) দাঁড়িয়েছেন। এতে মনে হচ্ছে নিয়ম শুধু দিনমজুরদের জন্য, প্রশাসনিক-জনপ্রতিনিধি কিংবা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য নয়।

বিজ্ঞাপন

চাল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল মোমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুচিত্র রঞ্জন দাস, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. রাহিদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম পাঠান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন ও বড়খেরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাকসুদ মিজানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও গ্রাম পুলিশরা। এসময় সবই ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরমধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতে গ্লাভস থাকলেও অন্যদের হাতে ছিল না। তবে সবাই মাস্ক ব্যবহার করেছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রামগতিতে পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের জন্য ৯ টন চাল ও ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল দিনমজুরদের জন্য ১ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মোমিন বলেন, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বাধ্যতামূলক। কিন্তু দিনমজুররা তা পড়ে আসেনি। এজন্য তাদেরকে সামাজিক দূরত্বে গোলবৃত্তে দাঁড় করানো হয়েছে। তবে আমাদের আশপাশের সবার মুখে মাস্ক ছিল। হ্যান্ড গ্লাভসের দিকে লক্ষ্য করিনি। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবো।