মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার অভিযোগ, স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা ও কটুক্তির প্রতিবাদে এবং অবমাননাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে এ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমরা কখনই আমাদের বাবা এবং দাদা যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের অবদানকে অস্বীকার এবং তাদেরকে অবমাননা ও কটুক্তি মেনে নেব না। আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে সেই অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো এবং শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।

তিনি আরও বলেন, যারা কোটা সংস্কার আন্দোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা নই। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি। যারা পাকিস্তানের দোসর, যাদের শরীরে বইছে রাজাকার, পাকিস্তানদের রক্ত, তারাই মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অবমাননা করতে পারে। আমাদের অবস্থান তাদের বিরুদ্ধে। আমরা সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে তাদেরকে সেই ম্যাসেজটা দিতে চাই।

জাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আহ্বায়ক আরিফ সোহেল ও সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ

আহ্বায়ক আরিফ সোহেল ও সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহাল রাখাসহ ৪ দফা দাবিতে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগমান করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেলকে আহ্বায়ক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘকে সদস্য সচিব করে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে সংশপ্তক ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু, ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন, ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম।

এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা (৫০তম ব্যাচ), জেবা হামিরা (৫০তম ব্যাচ), নাদিয়া রহমান (৫১তম ব্যাচ), সোহেল (৪৭তম ব্যাচ), নাসিম আল তারিক (৪৯তম ব্যাচ), সাগর (৪৯তম ব্যাচ), অন্তর (৪৯তম ব্যাচ), স্বপন (৪৯ তম ব্যাচ), আরিফ হোসাইন (৫১তম ব্যাচ), নিয়াজ মোর্শেদ নাহিদ (৫২তম ব্যাচ)৷ তবে ছয়টি সদস্য পদ কো-অপ্ট হিসেবে রাখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিটির আহ্বায়ক আরিফ সোহেল বলেন, প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি আইন গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা থেকে উদ্ভূত। গণমানুষের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই আইনের কাঠামোগুলোর পরিবর্তন হয়। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিটি যে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের দাবি তা আমরা হয়ত কাজের মাধ্যমে বিচারপতিকে উপলব্ধি করাতে পারিনি। আমরা আমাদের সংগ্রামের ভিতর দিয়ে প্রধান বিচারপতি ও সরকারকে বুঝিয়ে দিতে চাই, সারাদেশের কোটার যে ব্যবস্থা, এর একটি যৌক্তিক সংস্কার প্রয়োজন।

;

কোটা বিরোধী আন্দোলন: ছয় ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধের পর ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা 



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ছয় ঘণ্টা শাহবাগে অবস্থান করার পর শাহবাগ মোড় ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শাহবাগ মোড়ে বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা অবরোধের পর ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম আগামী ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আগামী শুক্রবার অনলাইনে-অফলাইনে জনসংযোগ হবে। আগামী শনিবার বিকেল ৩টায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ থেকে মিছিল করা হবে। আগামী রোববার সকল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট পালিত হবে। শনিবার বিক্ষোভ মিছিলের পর রোববারের মাঠের কর্মসূচি ঘোষিত হবে।

নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, আমাদের সুপারিশ থাকবে মহামান্য আদালত যেন আমাদের কথা বিবেচনা করেন।

তিনি নির্বাহী বিভাগকে প্রশ্ন করে বলেন, ১৮ সালে তারা কী এমন পরিপত্র জারি করল, যা পাঁচ বছরে বাতিল হয়ে যায়? তাহলে সেই পরিপত্রের মধ্যে তাদের ভুল রয়েছে। যারা যথাযথ বিধি মেনে এটি জারি করতে পারেনি। এটি শিক্ষারথীদের আন্দোলনের সাথে প্রহসন করা হয়েছে। আমরা এই প্রহসন মানি না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে৷ এখনো নির্বাহী বিভাগ বা সরকার থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। আজ শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। অধিকার কোনো সময় একদিনে আদায় করা যায় না। আমাদের মাঠে থাকতে হবে।

;

ফের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ফের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের (ডেইরি গেইট) সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

অবরোধকালে শিক্ষার্থীদের ‘সারাবাংলা খবর দে, কোটা প্রথা কবর দে; কোটা প্রথা বাতিল চাই মেধা ছাড়া চাকরি নাই; নিপাত যাক, নিপাত যাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক; বৈষম্যের ঠাই নাই লাখো শহীদের বাংলায়; মেধা নাকি কোটা? মেধা, মেধা; জেগেছে রে জেগেছে, জাবি জেগেছে-লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে; মেধাবীদের কান্না আর না, আর না’ ইত্যাদি কোটাবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শুরুতে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ১ ঘণ্টা অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হলেও যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে প্রায় ৩০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, যেহেতু হাইকোর্ট কোটা নিয়ে শুনানির পূর্বঘোষিত তারিখ পিছিয়েছে সেহেতু আমরা এখনো বিশ্বাস করি এই অন্যায্য কোটা বাতিল হবে এবং রায়টি আমাদের পক্ষে যাবে। তাই আমরা এই মুহূর্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচির দিকে যাচ্ছি না। জনভোগান্তি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক কিছু সময়ের জন্য অবরোধ করে রেখেছি। আমাদের আন্দোলন জারি রাখার জন্য আজকের এই অবরোধ কর্মসূচি।

দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, আজ ৪ জুলাই কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি ছিল সেটা পিছানো হয়েছে। আমাদের যৌক্তিক দাবি সময়ক্ষেপণ করে আন্দোলন বানচাল করা যাবে না। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে সবার সরকারি চাকরি হোক সেই দাবিতেই আমাদের আন্দোলন।

পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, আদালত যেহেতু সময় বাড়িয়েছে তাই আমরা এখনো অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অবরোধে যাব না। স্বল্প সময়ের জন্য অবরোধ করবো। জনগণের জানমালের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে আমরা অবস্থান কর্মসূচী করব।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমরা তাদেরকে সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কথা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। ওইদিন আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন ঠিক করে দেন তিনি৷

;

শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শাহবাগে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ, ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহবাগে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহবাগে কোটা বিরোধী আন্দোলনে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে শাহবাগ দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্যান্য যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে এ সময় সায়েন্স ল্যাব, মিরপুর সড়ক, মতিঝিলের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অনেকেই হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা মোড় অবরোধ করে রেখেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। পরে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, উপাচার্যের বাসভবন, রাজু ভাস্কর্য ঘুরে শাহবাগ এসে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া আন্দোলন চলমান থাকবে। একইসঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিও চলমান থাকবে।

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও দলনিরপেক্ষ ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় মহাসচিব নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা কোনো সাংবিধানিক বা মৌলিক অধিকার নয়। বরং আমাদের দাবি মৌলিক অধিকার। সংবিধান সুযোগের সমতার কথা বলেছে। আজ মেধাবীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আর একদিনও মেধাবীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হোক, এটা আমরা চাই না।

শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির ব্যাপারে জানান, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় যেন কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা না যায় এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

;