চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুস্থদের চাল বিক্রির অভিযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুধে চাল বিক্রির অভিযোগ ওঠে, ছবি: বার্তা২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুধে চাল বিক্রির অভিযোগ ওঠে, ছবি: বার্তা২৪

পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে বরাদ্দকৃত চাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি। চাল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হতদরিদ্র পরিবারগুলো।

রোববার (২ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

চাল নিতে আসা গোহাল বাড়ী এলাকার বৃদ্ধ মিজান জানান, ঈদ উপলক্ষে চাল দেয়ার কথা। আমার থেকে ভোটার আইডি কার্ড নেয়া হয় এবং আজ (রোববার) ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়। এসে দেখি আমাদের চাল ব্যবসায়ীরা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। আমরা বারবার বলার পরেও চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দিল।

একই অভিযোগ করেন, জালাল উদ্দীন, রোকেয়া, পারুল বেগম, হাফিজ উদ্দীনসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি। তারা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কার্ডের চাল বিক্রি করে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার। তাদের দাবি-ব্যবসায়ী সাবিরুল, রবিউল, চুলবুল ও কেরামিন আলী সবার চাল কিনে নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন  বলেন, ‘এসিল্যান্ড ও ট্যাগ অফিসারের যোগসাজসে ইউনিয়ন পরিষদের হল রুম হতে সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে চাল বের করে নিয়ে গেছে ব্যবসায়ীরা। অথচ বারবার অভিযোগ করার পরও কোন সুরাহা হয়নি। প্রায় তিন শতাধিক গরিব মানুষের কার্ড বিক্রি করে দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার। ফলে চাল না পেয়ে খালি হাতেই ফিরে যেতে হয়েছে দরিদ্র পরিবারগুলোকে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে গোহালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার স্বচ্ছভাবে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। কোনো ব্যবসায়ীর কাছে চাল বিক্রি করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের কাছ হতে ভোটার আইডি কার্ড নেয়া হয়েছিল-তাদের তালিকায় নাম না ওঠাই তারা চাল পাননি।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা.মাহমুদা পারভিন বলেন, ‘কিছু মানুষ আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন। তাদের অভিযোগ পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে কোনো অনিয়মের চিত্র আমরা দেখতে পাইনি। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই চাল বিতরণ করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন