বঙ্গবন্ধুপ্রেমী রফিকুল পায়ে হেঁটে রংপুর থেকে গোপালগঞ্জে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গোপালগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকছেন রফিকুল ইসলাম/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকছেন রফিকুল ইসলাম/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে সুদুর রংপুর থেকে গোপালগঞ্জে পৌঁছেছেন বঙ্গবন্ধুপ্রেমী রফিকুল ইসলাম। জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন ও মাজার জিয়ারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নেই তার এ পদযাত্রা।

রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার পর থেকেই তিনি জাতির পিতার ভক্ত। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকতে থাকেন তিনি। অবশেষে পায়ে হেঁটে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য রংপুর জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র নিয়ে গত ১৩ জুন পদযাত্রা শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

রফিকুল ১১ জেলার ২৬টি স্থানে জাতির জনকের ছবি এঁকেছেন এবং পরিবেশবান্ধব কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) তিনি গোপালগঞ্জে অবস্থান করছেন এবং পরিকিল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকছেন ডিসি অফিস ভবনের দ্বিতীয় তলায়। এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করবেন। পরে ৪ আগস্ট গনভবনে বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন ও কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপনের মাধ্যমে তার এ পদযাত্রা শেষ করবেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/18/1563449760261.gif

বিজ্ঞাপন

রফিকুল ইসলাম পেশায় রিকশাচালক। রংপুর শহরের তাজহাট বাবুপাড়া এলাকায় স্ত্রী রশিদা বেগম, দুই মেয়ে ও তিন ছেলেসহ বাবাকে নিয়ে এক বাড়িতেই তার বসবাস। পরিবার পরিচালনার ভার ছেলেদের হাতে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালবাসা নিয়েই স্বপ্ন পূরণে ঘর থেকে বের হন ৫৯ বছর বয়সী রফিকুল।

মা-বাবার একমাত্র সন্তান হওয়ায় স্বাধীনতা যুদ্ধে যেতে পারেননি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন রফিকুল। তিনি বলেন, ‘রিকশা চালানোর পাশাপাশি প্রেস শ্রমিক হিসেবে কাজ করতাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের দেয়ালে দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন করে আসছি। নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলো ছড়াতে জেলায় জেলায় ছবি অংকন ও বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতের যে স্বপ্ন, তা বাস্তবায়নের জন্য আমার এ পদযাত্রা।’

গোপালগঞ্জ জেলা প্রসাশকের পক্ষে এনডিসি সোভন সরকার জানান, রফিকুল ইসলাম গোপালগঞ্জে আসার পর তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি ডিসি অফিস ভবনে বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন করেছেন।