পদ্মা কেড়ে নিচ্ছে চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের 'বাতিঘর'
পদ্মায় অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির কারণে প্রবল স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার পদ্মানদীর চরাঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার। পদ্মার তীরে অবস্থিত এ অঞ্চলের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি তলিয়ে গেছে, যা এখানকার মানুষের কাছে 'চরের বাতিঘর' নামে পরিচিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মানদী বেষ্টিত বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত মাদারীপুরের বন্দোরখোলা ইউনিয়নের এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে বিদ্যালয়সহ পুরো চরাঞ্চল।
একদিকে নদী ভাঙন অন্যদিকে পানিবন্দি দশায় অসহায় হয়ে পড়েছে এখানকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের অচল অবস্থার কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৯ সালে নুরুদ্দিন মাদবরের কান্দি গ্রামে স্থাপিত এ বিদ্যালয়টিতে মাদারীপুরের শিবচর ও ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার প্রায় ২৫ টি গ্রামের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করছে। তবে পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে বিদ্যালয়টির প্রাঙ্গণ, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, এতে বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষক আবজাল হোসেন বলেন, 'পদ্মানদীর কাছাকাছি হওয়ায় আমাদের বিদ্যালয়টি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদ্যালয়ের বেঞ্চ, টেবিলসহ প্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্যার কারণে বিদ্যালয়ের মাঠ ও আশেপাশে প্রচুর পানি থাকায় লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে গেলে নির্ধারিত জায়গায় আবার ভবন নির্মাণ করা হবে।'