ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা
বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩২০২২-২৩ অর্থবছরে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল,গ্যাস ও সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভর্তুকি ব্যয় আরও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তাফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ ব্যয়ের প্রাক্কলন ছিল ৫৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৬৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১.৭০ শতাংশ। আর আসছে বছরে প্রক্কলন করা হয়েছে ১.৯০ শতাংশ।
তিনি বলেন, কোভিড় পরিস্থিতি মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের প্রবাস আয়ে ছিল রেকর্ড। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের কারণে প্রবাস আয়ে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক গতি ফিরে আশায় আমদানি রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে আমাদের চলতি হিসেবের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমাদের স্থানীয় বাজারে ডলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মুদ্রা বিনিময় হারের উপর কিছুটা চাপ সৃস্টি হয়েছে। এ সংকট মোকাবেলায় সরকার জুন ২০২২ পর্যন্ত ৬.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারে ছেড়েছে। গত অক্টোবর মাসে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা কমে ৪২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
৬ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৭.৯ শতাংশ। সুতরাং আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আমদানি সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ স্থিতিশীল রাখাকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি তেল, গ্যাস, সার ও বিদ্যুতে খাতে সরকারের যে ঘাটতি হবে তা আমরা মূল্য বাড়িয়ে ভোক্তা পর্যায়ে শতভাগ চাপিয়ে দেবো না। জ্বালানি তেল, গ্যাস, সার ও বিদ্যুতে পর্যায়েক্রমে স্বল্প আকারে সমন্বয় করা হবে।