প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিলেই কর রেয়াত

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিলেই কর রেয়াত

প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিলেই কর রেয়াত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রতিবন্ধী কিংবা তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়োগ দিলে করদাতাকে ৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তাফা কামাল এমন প্রস্তাব দিয়েছেন।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, কোন প্রতিষ্ঠান মালিক যদি ১০ শতাংশ প্রতিবদ্ধিকে নিয়োগ দেয় তাহলে সেই মালিকের প্রদেয় করের ৫ শতাংশ রেয়াত প্রদানের প্রস্তাব করছি। যদি কোন প্রতিষ্ঠান মোট কর্মচারীর ১০ শতাংশ বা ১০০ জনের অধিক তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয় তবে উক্ত কর্মচারীদের পরিশোধিত বেতনের ৭৫ শতাংশ বা প্রদেয় করের ৫ শতাংশ যেটি কম, তা নিয়োগকারীকে কর রেয়াত হিসেবে অনুমোদনের বিধান চালু করা হয়েছে।

বর্তমান বিধান সংশোধনপুর্ক উভয়ক্সেত্রে যদি কোন প্রতিষ্ঠান ১০ শতাংশ বা ২৫ জনের অধিক প্রতিবন্ধী বা তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয় তবে উক্ত কর্মচারীদের পরিশোধিত বেতনের ৭৫ শতাংশ বা প্রদেয় করের ৫ শতাংশ যেটি কম তা নিয়োগকারীকে কর রেয়াত হিসেবে অনুমোনের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

   

এক ঘণ্টায় ১৩২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে সব মূল্য সূচক। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় প্রধান শেয়ারবাজারে ১৩২ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক 'ডিএসই এক্স' ৪ দশমিক ২১ পয়েন্ট বেড়েছে৷ শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক 'ডিএসই এস' একই সময়ে দশমিক ৬০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বাছাই করা কোম্পানিগুলোর 'ডিএস ৩০' সূচকে যোগ হয়েছে ১ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট।

সূচকের ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতার সঙ্গে শেয়ারবাজারে লেনদেনেও গতি ফিরেছে। প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১৩২ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২৪৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ১২১টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দর কমেছে ৪৩টির। বিপরীতে ৭৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেডের। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;

আবারও কমেছে ডলারের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলার সংকট। এর মধ্যেই সপ্তাহের ব্যবধানে পুনরায় ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কিন মুদ্রাটির দাম আরও ২৫ পয়সা কমেছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) এবিবি ও বাফেদার যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে রফতানি ও প্রবাসী আয়ের প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা পাওয়া যাবে। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করা হবে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা।

রেমিট্যান্সের ডলারের বিপরীতে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেবে ব্যাংক। আর কোনো ব্যাংক চাইলে এর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ বাড়তি প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করতে পারবে।

এর আগে, গত ২২ নভেম্বর প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা কমিয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা এবং আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকেই সংগঠন দুটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।

গত ২৩ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেছিলেন, বাজারের চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভর করেই এবিবি-বাফেদা ডলারের দাম নির্ধারণ করে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে ডলারের দাম কমানো নিয়ে সংগঠন দুটির সিদ্ধান্ত যৌক্তিক।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের অর্ধেকই নারী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যাত্রা শুরুর পর থেকে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক বেড়েছে সোয়া দুই লাখেরও বেশি। আর সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্টের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৩৭টি। এর মধ্যে নারী গ্রাহকদের হিসাব ১ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮১টি। যা মোট অ্যাকাউন্টের ৪৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ২ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৩৭টি হিসাবের মধ্যে ৮৬ দশমিক ১৫ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায়। অর্থাৎ দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের হিসাব রয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৬টি।

এদিকে সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবে আমানত জমা ছিলো ৩৫ হাজার ২০০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এসব হিসাবে এ সময়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিলো ১৪ হাজার ১৯২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এছাড়া এসব হিসাবে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগের প্রান্তিকের তুলনায় সেপ্টেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রামীণ এলাকার মানুষের আমানত বেড়েছে ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যেখানে শহরে আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর পুরুষ গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মহিলা গ্রাহকদের আমানত ১ দশমিক ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা বেশি আমানত রাখছে।

সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খোলা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৪ দশমিক ১৯ শাতংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে মহিলাদের হিসাব খোলার পরিমাণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে আমানত জমার পরিমাণ ৫ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি ঋণ বিতরণের পরিমাণও বেড়েছে ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।

এদিকে প্রবাসীরা এখন খুব সহজেই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন। প্রবাসী পরিবারদের দোরগোড়ায় দ্রুত রেমিট্যান্স পৌঁছে যাচ্ছে খুব সহজেই। এর ফলে আগের প্রান্তিকের তুলনায় এই ব্যাংকিং মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে এজেন্টের মোট অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্সের ৯০ দশমিক ৬৩ শতাংশ তুলেছে গ্রামের মানুষেরা।

আগের প্রান্তিকের তুলনায় আলোচ্য ব্যাংকিংয়ে এজেন্টের পরিমাণ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়েছে। আর আউটলেট বেড়েছে দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর ফলে সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৪০টি এবং আউটলেট বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৪৪৮টি।

প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিংয়ের আওতায় নিয়ে আসাই এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করার মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংস্থাটি জানায়, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ এজেন্ট এবং ৮৫ দশমিক ৫০ শতাংশ আউটলেট গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;

বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাজ্যের খুচরা বাজারে সহজলভ্যে কাজ করছে ‘স্বপ্ন’-‘উদ্দীপন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘স্বপ্ন’-‘উদ্দীপন’

‘স্বপ্ন’-‘উদ্দীপন’

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বৃহত্তম সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ এবং ইউনাইটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভস ফর প্রোগ্রামড অ্যাকশনস-উদ্দীপন (UDDIPAN) বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাজ্যের খুচরা বাজারে পৌঁছে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের চাহিদা ও সুনাম বৃদ্ধিতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ উপলক্ষ্যে উদ্দীপনের আমন্ত্রণে সম্প্রতি ঢাকার গুলশান-১ এ স্বপ্ন-এর আউটলেট পরিদর্শন করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি ও পরিবহন বিভাগের (ট্রান্সপোর্ট) শ্যাডো মিনিস্টার স্যাম ট্যারি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বপ্ন এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাব্বির হাসান নাসির, উদ্দীপনের বোর্ড মেম্বার নাজির আলম, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (ডিআরসি)-এর অনারারি কনসাল জিয়াউদ্দিন আদিল সহ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

স্বপ্ন ও উদ্দীপনের এই উদ্যোগের ফলে যুক্তরাজ্যের ক্রেতারা সহজেই সেখানের খুচরা বাজারে বাংলাদেশি কৃষি ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত পণ্যের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;