গণমুখী ও উন্নয়নবান্ধব বাজেট: আওয়ামী লীগ

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অর্থনীতিকে সুসংহত করে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সরকার দলীয় নেতারা বলছেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দিকে লক্ষ রেখে গণমুখী ও উন্নয়নবান্ধব এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই বাজেট প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বিজ্ঞাপন

নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এ বাজেট বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের (৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) চেয়ে ১৪.২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৫.২৩ শতাংশের সমান।

বিদায়ী অর্থবছরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের দেওয়া বাজেটের আকার ছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৭.৪ শতাংশের সমান।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট কোভিড পরবর্তী অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট।

তিনি বলেন, এই বাজেটে সবদিক বিবেচনা করে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে। এটা গরিবের বাজেট, ব্যবসাবান্ধব বাজেট ও গণমুখী বাজেট।

দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে এর চেয়ে ভালো বাজেট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক দেশ পরিচালনা করছেন, যিনি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকবিলা করেই অর্থনীতিকে গতিশীল রাখছেন, তিনি শেখ হাসিনা। করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এ সময়ে এই বাজেট গণমানুষের বাজেট হিসেবে পরিগণিত হবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সমর্থ হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটকে গরিববান্ধব বলে আখ্যায়িত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে শুরু করে সমগ্র পৃথিবীতে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, তা কতদিনে শেষ হবে, সেটি কেউ জানে না। সেজন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। একইসাথে সোশ্যাল সেফটি নেট বা সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়ানো হয়েছে, যাতে নিম্ন আয়ের মানুষ সুরক্ষা পায়। এটি গরিববান্ধব বাজেট।

বাজেটকে কিভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম  বলেন, করোনাভাইরাস অভিঘাত থেকে মুক্ত হয়ে উন্নয়নের ধারা অক্ষুন্ন রাখা ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য কৃষি, খাদ্য, নতুন কর্মসংস্থান সৃজন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ভর্তুকির চাপ সামাল দেওয়াসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। এই বাজেটে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে। জনবান্ধব ও উন্নয়ন বান্ধব এই বাজেটকে আমরা স্বাগত জানাই।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ভবিষ্যতে আরও লুট করবে, তার একটা হিসাব হচ্ছে এই বাজেট। এ জন্য আমার আগ্রহ নেই। এতটুকু গুরুত্ব নেই আমার কাছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলের রাজনীতি লুটপাটের রাজনীতি, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন এর রাজনীতি। তারা কখনোই সাধারণ মানুষের কথা ভাবেনি, এখনো ভাবেনা। জনমানুষের উন্নয়নের এই বাজেট তাই তাদের ভালো লাগছে না।