বাজেটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালন ব্যয় বেড়েছে
সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশদেশের ৫৩তম বাজেটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালন ব্যয় বেড়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে এ ব্যয় বেড়েছে ৪ কোটি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্যয় বেড়েছে ৫৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ছিল ৩০ কোটি টাকা আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছিল ৯৩৯ কোটি টাকা।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
শুধু রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় না, পরিচালন ব্যয় বেড়েছে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের। আগামী বাজেটে সংসদের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৫ কোটি টাকা, যা চলতি বাজেটে ছিল ৩২৩ কোটি টাকা।
একইভাবে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েহচে ১০৫ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৯২ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।