সেরা সঙ্গীতশিল্পীর সম্মাননা পেলেন আসিফ আকবর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৭ম বিএমজেএ ‘মিউজিক অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’-এ সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ মিউজিক জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ)। ইথুন বাবুর কথা ও সুরে এবং ইবি এন্ড রোজেনের সংগীত পরিচালনায় ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে প্রকাশিত আসিফ আকবরের গাওয়া ‘চুপচাপ কষ্টগুলো’ গানটির জন্য তাকে সেরা সঙ্গীতশিল্পীর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট শনিবার (৩ অক্টোবর) রাতে আসিফ আকবরের নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব’র কার্যালয়ে তার হাতে তুলে দেন বিএমজেএ’র অর্থ সম্পাদক রুহুল সাখাওয়াত ও সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউর রহমান রিজভী।

সেরা সঙ্গীতশিল্পীর ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর বিএমজেএ কে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া তিনি তার শ্রোতা ও ভক্তদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। আগামীতেও তিনি যেন গান গেয়ে এভাবেই সকলের মন জয় করতে পারেন সেজন্যও সকলের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করেন।

পুরস্কার প্রদানের সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)-এর সাবেক অর্থ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক ‘বলা না বলা’র নির্বাহী সম্পাদক নবীন হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের কারণে এবার সরাসরি মঞ্চে পুরস্কার ঘোষণা ও প্রদানের বদলে বিএমজেএ প্রথমবারের মতো অনলাইনে পুরস্কার ঘোষণা করে ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট পৌঁছে দেয়।

এদিকে ৭ম বিএমজেএ ‘মিউজিক অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’-এ আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে। এছাড়া সঙ্গীতের অন্যান্য ক্ষেত্রের বিজয়ীরা হলেন সেরা সুরকার- প্রিন্স মাহমুদ, সেরা সংগীত পরিচালক- হাবিব ওয়াহিদ, সেরা শিশুশিল্পী- আতিকা রহমান মম, সেরা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান- ধ্রুব মিউজিক স্টেশন এবং বিশেষ জুড়ি অ্যাওয়ার্ড (সঙ্গীতশিল্পী)- বদরুল হাসান খান ঝন্টু।

নাচতে গিয়ে উল্টে পড়ে গেলেন সুহানা খান!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর বেশি দিনের অপেক্ষা নয়। খুব শিগগিরই বলিউডে পা রাখতে চলেছেন বলিউড বাদশার কন্যা। জ়োয়া আখতারের ‘দ্য আর্চিজ়’ সিরিজ়ের মাধ্যমে বলিউডে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন শাহরুখ খানের মেয়ে সুহানা খান।

তবে তার আগেই ঘটল বিপত্তি। নাচতে গিয়ে উল্টে পড়ে গেলেন তিনি। পায়ে চোট পেয়ে প্রায় কান্নাকাটিই জুড়লেন শাহরুখকন্যা। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সেই ঘটনা।

সুপারস্টার বাবার মেয়ে হিসাবে নয়, নিজের দক্ষতায় বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে চান সুহানা। তার জন্য কম পরিশ্রমও করছেন না তিনি। শরীরচর্চা থেকে শুরু করে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া— কোনো কিছুতেই তমতি রাখছেন না শাহরুখকন্যা।

এমনকি ব্যালে প্রশিক্ষণ নেওয়াও শুরু করেছেন তিনি। ব্যালে অনেকটা পশ্চিমি দুনিয়ার শাস্ত্রীয় নাচের মতো। সেই নাচের প্রশিক্ষণ যে বেশ কঠিন, তা বোঝা গেছে একাধিক হলিউড ছবি দেখেই। কিন্তু নাছোড়বান্দা সুহানা, ওই নাচ শিখেই ছাড়বেন তিনি। যেমন বলা, তেমন কাজ! ব্যালে শেখা শুরু করলেন শাহরুখকন্যা। ওই নাচ করতে গিয়েই যত বিপত্তি।

নাচের স্টুডিওতেই উল্টে পড়লেন সুহানা। চোটও পেলেন পায়ে। স্টুডিওর মেঝেতে বসেই কান্নাকাটি জুড়লেন শাহরুখকন্যা। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের পায়ের ছবি পোস্টও করেন তিনি। সঙ্গে কান্নাকাটির ইমোজি। নাচ করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে যে বেশ আঘাত পেয়েছেন তিনি, তা স্পষ্ট সেই ছবি থেকে।

;

২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজের কাছ থেকে ডিভোর্স চাই: পরীমণি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেছে পরীমণির। আর ছাড় দিতে রাজি নন। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বামী শরিফুল রাজের কাছে ডিভোর্স চাইলেন এ নায়িকা তিনি।

সোমবার (৫ জুন) রাতে দেশের একটি গণমাধ্যমে লাইভে এসে এমনটাই জানান এ নায়িকা।

লাইভে রাজের সঙ্গে সমঝোতা চান কি না প্রশ্নের উত্তরে পরীমণি বলেন, ‘আমি আর বসতে চাই না। হলে অনেক আগেই হতো। আমি চাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিক। সত্যি আমি চাই না, আমি রাজের স্ত্রী না, রাজ্যের মা আমার কাছে অনেক কমফোর্টএবল এবং অনেক আরাম, শান্তির ও সম্মানের। যেটার ভেতর কোনো ফেইকনেস নাই, কোনো মিথ্যা নাই।’

নকল মানুষের সঙ্গে সংসার করা সম্ভব না জানিয়ে পরীমণি বলেন, ‘একটা ফেইক মানুষের সঙ্গে থাকতে পারব না। যে কি না দিতে পারে না। কালকে আপনাদের সঙ্গে যে কনভারসেশন (রাজের) হলো সেটা দেখেলেই মানুষ বুঝতে পারবে কতটা ফেইক, কতটা রিয়েল। আমার কিছু বলার নেই। আমি সমস্ত কিছু পাবলিককে দিয়ে দিলাম।’

এর আগে গত ২৯ মে মধ্যরাতে রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর থেকে পরীর সঙ্গে জটিলতা প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা গেছে, ওই ফাঁসের ঘটনার আগেই পরীমণির বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রাজ। এখন তারা আলাদা বসবাস করছেন। রাজও বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তিনি বিচ্ছেদ চান। এখন দেখার বিষয় তাদের সম্পর্কের জল কোথায় গিয়ে গড়ায়! কেননা, আগেও তাদের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে তারা এক হয়েছেন।

;

ফিল্মফেয়ার পুরস্কারকে বাথরুমের দরজার হাতল বানিয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় হিন্দি সিনেমার জগৎ বলিউডে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারকে বেশ সম্মানজনক মনে করা হয়। এই পুরস্কার লাভের জন্য প্রতি বছর কী পরিশ্রমটাই না করেন তারকারা। নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেন। সেই ফিল্মফেয়ার পুরস্কারকে নাকি বাথরুমের দরজার হাতল বানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির প্রবীণ অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।

ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রবাদ-প্রতিম ব্যক্তিত্ব তিনি। তবে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জেরে প্রায়ই বিতর্কে জড়ান নাসিরুদ্দিন। দশকের পর দশক ধরে দর্শকদের একাধিক মনের মতো ছবি উপহার দিয়েছেন নাসিরুদ্দিন, পেয়েছেন অজস্র পুরস্কারও। তবে নাসিরের চোখে পুরস্কারের কোনো মূল্যই নেই! সম্প্রতি এমনই বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তিনি।

এখনো পর্যন্ত নিজের ফিল্মি ক্যারিয়ারে তিনটি জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। ‘পার’, ‘স্পর্শ’, ‘ইকবাল’ ছবির জন্য এই সম্মান এসেছে তার ঝুলিতে। এছাড়া তার ঝুলিতে রয়েছে তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। ‘আক্রোশ’, ‘মাসুম’, ‘চক্র’র মতো ক্লাসিক ছবির জন্য এই পুরস্কারে সম্মানিত হন নাসিরুদ্দিন।

যদিও তার মতে, পুরোটাই ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের নোংরা রাজনীতির খেল। পুরস্কার আদতে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের লবির প্রতিফলন মাত্র, বিশ্বাস নাসিরুদ্দিনের। শুধু তাই নয়, নিজের পাওয়া ফিল্মফেয়ার পুরস্কারকে নাকি বাথরুমের দরজার হাতল হিসেবে ব্যবহার করেন তিনি। এমনই মন্তব্য করলেন এক সাক্ষাৎকারে।

নাসিরুদ্দিনের কথায়, ‘যে কোনো অভিনেতা যিনি একটা চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে জান-প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন, তিনি ভালো অভিনেতা। যদি সবার মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেয়া হয়, আর বলা হয় সবার মধ্যে ইনি সেরা, তাহলে সেটা কি ঠিক? আমার মনে হয় না। আমি ওই অ্যাওয়ার্ডগুলো নিয়ে গর্বিত নই। আমি তো শেষ দুটি পুরস্কার গ্রহণ করতেও যাইনি। তাই যখন আমি খামারবাড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নিই, তখন সেই অ্যাওয়ার্ডগুলো ওখানে রাখার ব্যবস্থা করি। যারাই ওয়াশরুমে যাবে তারা দুটি অ্যাওয়ার্ড হাতে পাবে। কারণ বাথরুমের দরজার হ্যান্ডেল ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দুটি।’

নাসিরের কথায়, ‘আমার কাছে ওই সব ট্রফির কোনো মূল্য নেই। আমার বিশ্বাস, ওই অ্যাওয়ার্ড লবির ফসল। কেউ তার কাজের জন্যই পুরস্কৃত হয় তেমনটা নয়। একটা সময় যখন পুরস্কার ত্যাগ করা শুরু করলাম, তারপর এলো ‘পদ্মশ্রী’ আর ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান। সেই মুহূর্তে আমার মনে পড়েছিল আমার প্রয়াত বাবার কথা। তিনি বলতেন আমি এসব বেফালতু কাজ করলে নিজেকে গাধা প্রমাণ করে ছাড়ব।’

অভিনেতা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, বাবা কি আজ এগুলো দেখছে কোথাও থেকে? সেদিন মনে হয়েছিল উনি নিশ্চয়ই গর্বিত। ওই পুরস্কার পেয়ে আমি সম্মানিতবোধ করেছিলাম। তবে ওই ফিল্মি অ্যাওয়ার্ডে আমার আস্থা নেই’।

শেষবার নাসিরুদ্দিনকে দেখা গেছে ‘তাজ: রেইন অব রিভেঞ্জ’ সিরিজে। গত মাসেই জি ফাইভে মুক্তি পেয়েছে এই পিরিয়ড ড্রামা সিরিজ।

;

রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জানালেন পরীমনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও বিচ্ছেদের সুর আলোচিত তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমনির সংসারে। মাঝখানে কিছুটা মিটমাটের আভাস পাওয়া গেলেও পুরোনো আগুনে যেন আবারও ঘি ঢেলে দিলো গত সোমবার দিবাগত রাতে ফাঁস হওয়া কিছু ভিডিও ও স্থিরচিত্র। এরপর থেকেই রাজ-পরীর সংসারে ভাঙনের সুর স্পষ্ট।

এদিকে বাসা থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে যাওয়া, ফোন না ধরার যে কথা পরীমনি বলছেন, সেটি ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন রাজ। আর এসব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে শনিবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘আমি বাসা থেকে কেন বেরিয়ে এসেছি, পরী ভালো করে জানে। কীভাবে বেরিয়ে এসেছি, কেন বেরিয়ে এসেছি, তাও সে ভালো করে জানে। ওই দিন বাসায় তার ও আমার পরিচালক গুরু গিয়াস উদ্দিন সেলিম ছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন।’

পরীমনির বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ অভিহিত করে রাজ বলেন, ‘আমি ঢাকাতেই আছি, কাজ করছি। এরই মধ্যে “দেয়ালের দেশ”, “ইনফিনিটি”, “কাজলরেখা” ছবিগুলোর ডাবিং শেষ করছি। সুতরাং আমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। এসব মিথ্যাচার করে কী লাভ হচ্ছে, তা আমার জানা নাই। আমি সব সময়ই পরীকে সম্মান দিয়ে কথা বলি। কিন্তু সে কেন এমন করে, বুঝি না।’

রাজের বক্তব্য ধরে একই দিন কথা হয় পরীমনির সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাজ বাইরে ছিল, সেলিম ভাই ও তার বউ তাকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এসেছিলেন। সম্ভবত এটি গত ২০ মের ঘটনা। আসার আগে সেলিম ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি রাজকে সঙ্গে করে নিয়ে তোমার বাসায় আসছি। এসে বলেন, রাজ তো তোমার সঙ্গে থাকতে চায় না। বিচ্ছেদের ব্যাপারে চিন্তা করতে পার। আমি বললাম, ‘ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, তা হলে ওই আমাকে ডিভোর্স দিক। আমি কেন দিতে যাব।’ পরে সেলিম ভাই বললেন, যদি তোমাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তা হলে বাচ্চাকে দেখভাল করতে কীভাবে কী করবে, চিন্তাভাবনা করে দেখ। এর পর আমি বললাম, বাচ্চা আমার কাছেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদ হওয়ার পর অবশ্যই সে বাচ্চা দেখতে আসতে পারবে। তবে শর্ত, সে অস্বাভাবিক সময়ে বাসায় এলে বাচ্চাকে দেখতে দেব না। যদি রাত ৪টায় আসে, ভোরবেলায় আসে, তা হলে তো বাচ্চা দেখতে দেওয়ার সুযোগই নেই। স্বাভাবিক, সঠিক সময়ে এসে সে বাচ্চা দেখতেই পারে। কোনো সমস্যা নাই।’

পরী আরও বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে ওই রাতে সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক কথা কাটাকাটি হয়। রাজের সঙ্গেও হয়েছে। কারণ ওই দিন বিভিন্নজনের সঙ্গে মিলিয়ে রাজ আমার চরিত্র নিয়েও অনেক কথা তুলেছিল। একটা পর্যায়ে সেলিম ভাই, তার বউসহ রাজ তার সব জিনিসপত্র নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। এর পর আর আসেনি।’

পরীমনির এমন বক্তব্যের বিষয়ে রাজ বলেন, ‘আমি খুব হতাশ। ঢাকায় আসার পর থেকে এই দীর্ঘ সময়ে আমি কখনই এত আপসেট হইনি। আমি এভাবে কখনই মানসিকভাবে ভেঙে পড়িনি। আমার কাছে আর এসব কথা জানতে চাইবেন না। আমি এসব নিয়ে আর কথা বলতে চাই না, কথা বাড়াতে চাই না। আমি একটু নিরিবিলি, শান্তিতে থাকতে চাই।’

রাজ-পরীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে ‘দামাল’ ছবি মুক্তির সময় মিমের সঙ্গে রাজের সম্পর্ক জড়িয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন পরীমনি। মূলত তখন থেকেই রাজ-পরীর সম্পর্কটা স্বাভাবিক যাচ্ছিল না।

বিষয়টি স্বীকার করে পরীমনি বলেন, দামাল ছবির মুক্তির সময় থেকেই আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক যাচ্ছিল না। রাজ আগের মতো নিয়মিত বাসায় থাকত না। সন্তানের প্রতিও তার সে ধরনের দায়িত্ব চোখে পড়েনি।

কিন্তু এরপরও সিনেমার বা বিভিন্ন ইভেন্টের অনুষ্ঠানে ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে দেখা গেছে দুজনকে। এ ব্যাপারে পরীমনির বক্তব্য, ‘এগুলো ছিল রাজের লোকদেখানো। আমার কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সঙ্গে সে যেত। বিশ্বাস করেন, কিছুদিন আগে আমি হাসপাতালে ছিলাম, আমাকে দেখতেও যায়নি সে। আমার সঙ্গে তার এখন শারীরিক, মানসিক কোনো অ্যাটাচমেন্টই নাই। আমি যখন হাসপাতালে, তখনই বাসায় রাজ তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছিল। আগেই প্রস্তুত ছিল বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে। সম্পর্ক রাখবে না। এভাবে তো আর সংসার, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।’

তাহলে কি বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছে আপনাদের সংসার?—এমন প্রশ্নে ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ও তো আমাকে ছেড়েই চলে গেছে, বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে। আমি আর কল্পনাতেও ভাবতে চাই না শরীফুল রাজ আমার জামাই। একটা মানুষ চলে গেলে তো আর ধরে রাখা যায় না।’ হাসতে হাসতে পরী আরও বলেন, ‘রাজ এখন বলে কী, আমাদের বিয়ের কাবিননামা নাকি ভুল। আমাদের নাকি ঠিকঠিক বিয়েই হয়নি। যে এভাবে বলতে পারে, সে ভয়ংকর মানুষ। তার সঙ্গে থাকা যাবে না। আমি চাই সে আমাকে তালাক দিয়ে দিক। আমি ওর প্রাক্তন, এটাই শুনতে আমার আরাম লাগবে। আমি রাজের বউ, এটি আর শুনতে চাই না।’

দুঃখ করে পরী বলেন, ‘রাজ আমার বাচ্চার বাপ, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। আমরা একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আমাদের সন্তানের জন্য আফসোস হয়ে থাকবে, বাবা-মাকে নিয়ে সুখী জীবন পাচ্ছে না আমাদের সন্তান। আর এর জন্য দায়ী রাজ। আমাকে দোষ দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এই সংসার টেকানোর জন্য আমি কী পরিমাণ চেষ্টা করে গেছি, রাজও জানে সেটি।’

কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে কিংবা নিজের উপলব্ধি থেকে যদি রাজ আবার ফিরে আসেন, তাহলে? এ বিষয়ে পরী বলেন, ‘বিয়ে-সংসার কি মুদিদোকানের মতো কারবার? ফিরে আসার আর সুযোগ নাই। যে মানুষ স্ত্রী, বাচ্চার মায়ের চরিত্র নিয়ে কথা তুলতে পারে, তার সঙ্গে ঘর করার সুযোগ নাই আর।’

;