প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তাঁর ভেতরের মানুষটিকে মোটেই পিষ্ট করে দিতে পারেনি: জয়া



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করছেন জয়া আহসান

প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করছেন জয়া আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। চার দশক ধরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে, ক্রিকেট ও বিনোদন অঙ্গনসহ প্রায় সকল স্তরের মানুষই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৭৫তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্ট শেয়ার করেছেন জয়া আহসান।

এপার-ওপার দুই বাঙলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী লিখেছেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ জন্মদিন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে লেখার মানুষ কম নেই। আমার আছে মানুষ শেখ হাসিনাকে নিয়ে ব্যক্তিগত কিছু স্মৃতি, একান্ত কিছু অনুভূতি…. উজ্জ্বল চিরন্তন এক ছবি। জয়া আহসান।

এত বছর আগের একটা দিন, কিন্তু শেখ হাসিনার সেই ছবিটি এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে মনে। কিশোরীবেলার অনেকগুলো ঝলমলে স্মৃতি একসঙ্গে মিলেমিশে আছে বলেই হয়তো।

উত্তুঙ্গ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জেনারেল এইচ এম এরশাদের সবেমাত্র পতন হয়েছে। প্রিয় স্বজনদেরসহ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সেনাশাসনের অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল পুরো দেশ, মানুষ তার সেই নিকষ কালো পর্ব থেকে বেরিয়ে এসেছে। দেড় দশক পরে ফুসফুস ভরে শ্বাস নিচ্ছে মুক্ত হাওয়ায়। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের এক মধুর পর্ব চলছে। নানা রকমের মানুষের মিলেমিশে এক হয়ে ওঠার মতো এত বড় ঘটনা তো মুক্তিযুদ্ধের পরে আর ঘটেনি।

এসব অবশ্য বুঝেছি পরে। রাজনীতির জটিল জ্যামিতি বোঝার মতো বয়স তখনও আমার নয়। বড়দের পৃথিবী থেকে টুকরো টুকরো কথা কানে ভেসে আসে। সেসব আবছা কথা কল্পনায় জোড়াতালি দিয়ে আর নানা রঙে মিশিয়ে এক রকমের ধারণা করে নিই। তবে খুব যে এক আনন্দের সময় বয়ে চলেছে, সেটা বুঝি বাবার চাঞ্চল্য দেখে। বারবার কারণে–অকারণে ঘরে–বাইরে ছুটোছুটি করছেন। সিগারেট খাওয়ার হারটাও বেড়েছে। বহুদিন বাবাকে এমন মধুর মেজাজে দেখিনি। বাইরে থেকে বাবা এমনিতে ভীষণ কড়া মেজাজের মানুষ। ভেতরটা যদিও উল্টো। নিভৃত মুহূর্তে আপনমনে কাব্যচর্চা করেন। মনে পড়ে, আমাকে একবার কবি আল মাহমুদের কাছেও নিয়ে গিয়েছিলেন। বাংলা ভাষার এত বড় মাপের একজন কবি, কিন্তু সে গুরুত্ব বোঝার মনও কি আর তখন হয়েছে? যা হোক, মনের কোমল অংশটা কঠিন আবরণের আড়ালে ঢেকে রাখতে অভ্যস্ত বাবার মনটা স্বৈরাচারী সেনাশাসনের পতনের পরে হঠাৎ খোলামেলা হয়ে পড়ল।

না হওয়ার কথাও তো নয়। দেশটাকে যে বড় ভালোবাসতেন তিনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। বাঙালির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে প্রাণের টানে ছুটে গিয়েছিলেন। যুদ্ধ করেছিলেন খালেদ মোশাররফের সঙ্গে ২ নম্বর সেক্টরে। মুক্তিযুদ্ধের আগেকার সেই উত্তাল বিদ্রোহী দিনে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে বিক্ষোভ চলল, তরুণ–বয়সী বাবা তাতে গিয়েও যোগ দিলেন। সামিল হলেন বেতার অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে। নিজের হাতে সেখানে উড়িয়ে দিলেন মুক্তিযুদ্ধের লাল–সবুজ–হলুদ পতাকা। বেতার অফিসের সামনে বাবার সেই ফুটেজটা খুঁজে পেয়েছি সম্প্রতি। আমার অমূল্য এক সংগ্রহ।

যে প্রত্যাশা নিয়ে বাবা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আরও অনেকের মতো তাঁরও মনে হয়েছিল সে প্রত্যাশার মুত্যু হয়েছে। সেনাশাসনের পতনের পর তাঁর মনে হলো, বদ্ধ দরজা খুলে আবার আলো এল। বাবা বললেন, ‘চল, আমার সঙ্গে। তোদের একটা জায়গায় নিয়ে যাই।’ কোন জায়গায়? কার কাছে? কিছুই জানি না। আমি আর আমার ছোট বোন কান্তা চললাম বাবার সঙ্গে। কান্তা চড়ে বসল বাবার কাঁধে। আমি ধরলাম তাঁর হাত।

বাবা আমাদের নিয়ে চললেন এখন যেখানে সচিবালয়, তার কাছে, পল্টনের মোড়ে। আগের দিনের লোকেরা জায়গাটাকে তখন ডাকে সেকেন্ড ক্যাপিটাল বলে। সেখানে পথে পথে উৎসব। মোড়ে মোড়ে জটলা। মানুষের মাথা মানুষে খাচ্ছে। আনন্দের বন্যা বয়ে চলেছে শহরের পথে পথে। পল্টনে বিরাট মঞ্চ পাতানো হয়েছে। বাবার হাতে এরশাদ ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের কার্টুন–ক্যারিকেচারভরা লিফলেট আর পুস্তিকা ধরিয়ে দিচ্ছে লোকেরা। বাবা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখাচ্ছেন আমাদের।

মানুষের উজান ঠেলে বাবা এরপর আমাদের নিয়ে সোজা উঠলেন ৩২ নম্বর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসভরা বাড়িটিতে। যেন বেশ চেনা একটা আত্মীয়ের বাড়ি, এমনই নিশ্চিন্তে গিয়ে হাজির হলেন একটা ঘরের সামনে। দরজা ঠুকে বললেন, ‘বুবু, আসব?’ শেখ হাসিনা কে, কী, সেসব কিছু বুঝিনি। মনে মনে শুধু ভেবেছি, ও, ইনিই তাহলে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে! বিছানায় দ–এর ভঙ্গিতে কিছুটা অর্ধশায়িত। ঘরোয়া মেজাজ। কিছুটা কি ক্লান্ত? আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে সেনাশাসনবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনের ঝড়ঝাপ্টা বয়ে গেছে তাঁর ওপর দিয়ে। কিন্তু কোথাকার কী? আমাদের দেখেই সস্নেহ একটা হাসির রেখা ফুটে উঠল মুখে। সোজা হয়ে বললেন, ‘কাকে নিয়ে এসেছ, বাবলা? তোমার মেয়ে বুঝি?’

সেই তাঁকে প্রথম দেখা। গায়ে সাধারণ একটা বেগুনি–ঘিয়ে রঙের ডুরে শাড়ি। মাথায় সামান্য ঘোমটা টানা। একেবারেই বাঙালি নারীর চিরচেনা আটপৌঢ়ে ছবি। শেখ হাসিনার চোখের রং আর দশজন সাধারণ বাঙালির মতো নয়। সে দিকে চোখ না পড়ে উপায়ই নেই। তবু সব ছাপিয়ে চোখ আঠার মতো আটকে গেল তাঁর চুলে। ঘন কালো চুলের এক মোটা গোছা। ঘোমটার আড়াল থেকে বেরিয়ে পিঠ বেয়ে এঁকেবেঁকে নেমে গেছে কোমর পর্যন্ত। এমন দীর্ঘ আর চওড়া চুলের গোছাও হয় মানুষের? মনে খচিত হয়ে গেল উজ্জ্বল ও চিরন্তন সেই বাঙালি ছবিটি।

এরপর তো পদ্মানদী দিয়ে বহু পানিই গড়িয়ে গেছে। বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেত্রী থেকে তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কয়েকবার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর নিজেরও বাহ্যিক রূপান্তর কম হয়নি। কিন্তু চুলের মোটা গোছাসহ তাঁর যে ছবিটা সে দিন দেখেছিলাম, মনে গভীরে এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে সেই ছবিটিই। আমার কাছে সেটিই তাঁর স্থায়ী রূপাবয়ব।

প্রধানমন্ত্রীর গুরুতর দায়িত্বভার তাঁকে বহন করতে হয়। ছোটখাটো বিষয়ে মন দেওয়ার অবকাশ কোথায়? কিন্তু তাঁর সঙ্গে ছোট ছোট দুয়েকটি অভিজ্ঞতায় দেখেছি, সামান্য বিষয়ের দিকেও তিনি সযত্ন দৃষ্টি রাখেন। প্রধানমন্ত্রী নন, নিতান্ত আপনজনের মতো। সেসব তাঁর না রাখলেও চলে, তাঁর হয়ে অন্য কেউ রাখলেই যথেষ্ট। তবু তিনি রাখেন। এ তাঁর অসামান্য এক গুণ। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তাঁর ভেতরের মানুষটিকে এখনো মোটেই পিষ্ট করে দিতে পারেনি।

একটা ঘটনা বলি। সেবার আমাকে জিরো ডিগ্রি ছবিটির জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কার সবার হাতে তুলে দেওয়া হবে একটি অনুষ্ঠান করে। ঘটনাচক্রে সে বছর পশ্চিমবঙ্গেও আমাকে মহানায়ক উত্তম কুমার সম্মাননা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সেবারই প্রথম কোনো নারী অভিনয়শিল্পীকে আয়োজকেরা এ পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই আলাদা একটা মর্যাদার ব্যাপার হয়ে উঠেছিল পুরস্কারটি। অর্থমূল্যও ছিল যথেষ্ট। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দেবেন।

ভালোই প্যাঁচ লেগে গেল। দুটো পুরস্কার দেওয়ার তারিখ পড়ল একই দিনে। শুধু কি একই দিনে? পড়ল একই দিনের কাছাকাছি সময়ে, এক–দেড় ঘণ্টার এদিকে–ওদিকে। সকালে আর বিকেলে হলেও সামাল দেওয়া যেত। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চলে যাওয়া যেত আরেকটি অনুষ্ঠানে। আয়োজকদের অনুরোধ করে সময়টাকে আগুপিছু নানা চেষ্টাচরিত্র করেও ফল হলো না। হবে যে না, সেটা এক রকম অনুমানও করেছিলাম। এত এত মানুষের সময়সূচি আবার মিলিয়ে সব ঠিক করা কি সহজ? কিন্তু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার যে আমার দেশের সম্মাননা। তাছাড়া এর মর্যাদাও আলাদা। প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে এ পুরস্কার শিল্পীকুশলীদের হাতে তুলে দেবেন। এই পুরস্কার না নিয়ে কি পারা যায়?

দেশেই রয়ে গেলাম। অনুষ্ঠানে যথারীতি আমার নাম ডাকা হলো। মঞ্চে উঠলাম পুরস্কার নিতে। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার সময় কোমল গলায় তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘জয়া, তুমি কলকাতায় যাওনি?’ তাঁর মুখে এই প্রশ্ন? এত ব্যস্ততার মধ্যে এই অকিঞ্চিৎকর তথ্যটুকু তিনি শুনেছেন, শুনে মনেও রেখেছেন? শুধু এখানেই তো শেষ নয়। আগে কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সত্ত্বেও যে আন্তর্জাতিক একটা সম্মাননার মায়া ছেড়ে দিয়ে আমি রয়ে গেছি, বক্তৃতা দিতে উঠে বললেন সে কথা। বললেন, এই হলো দেশের প্রতি ভালোবাসা। আমি তো বাকরুদ্ধ।

আমি গভীরভাবে অভিভূত হয়েছিলাম আরও একটি ঘটনায়। প্রকৃতি আর প্রাণীর প্রতি আমার প্রাণের টান। প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করে, এমন কিছু সংগঠনের সঙ্গে তাই সক্রিয় যোগাযোগ রাখি। এ রকমই এক সংগঠন থেকে একবার খবর এল, গণভবনের লাগোয়া একটি জায়গা থেকে তারা একটি কুকুর উদ্ধার করেছে। গণভবনের চিফ সিকিউরিটি এসডিএন কবীর সাহেবের কাছে পরে শুনেছিলাম, গণভবনের বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে অর্ধশতাধিক কুকুর আছে। আছে বেড়ালেরও দল। পোষা নয়। স্বাধীন ও ছন্নছাড়া। এত গাছপালাভরা সবুজ একটা জায়গা। পাখপাখালিও সে কারণে এন্তার। যা হোক, দলছুট সারমেয় মহাশয় কোনো ফাঁকফোঁকর গলে গণভবনের বাইরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিল পথে।

সেই দলছুট মহাশয়ের একটা হিল্লে করা হলো। কিন্তু কবীর সাহেবের কাছ থেকে আরও যে তথ্য পেলাম, তাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ভালোবাসায় বুকটা ভরে গেল। সেই কুকুরগুলোর জন্য তিনি নিজেই খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। ওদের জন্য ফার্ম থেকে মুরগির মাংস আসে। সেই মুরগির সঙ্গে চাল মিশিয়ে রোজ খাবার তৈরি হয়। বেড়ালগুলোর জন্য প্রতিদিনের বরাদ্দ ২০ লিটার করে দুধ। গণভবনের ভেতরের গাছগুলো থেকে ফল পাড়তে দেওয়া হয় না। ওইসব ফলপাকুড় পাখিদের ভোজ্য। তাঁর নির্দেশে পশুপাখিগুলোর জন্য আলাদা একটা ব্যয়বরাদ্দ রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র নিয়ে যাঁর শত ব্যস্ততা, তাঁর মনের একটি ভাগ তিনি এদের জন্যও দিয়ে রেখেছেন। ভেতর থেকে উপচে আসা গভীর ভালোবাসা ছাড়া কি আর এটি সম্ভব?

রাষ্ট্র আর রাজনীতি কোটি মানুষকে নিয়ে কাজ করে। তার তাই হাজার পথ, হাজার মত। সে নিয়ে জটিল বিতর্কের শেষ হবে না কোনো দিন। কিন্তু যৎসামান্য স্মৃতির গুচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে মানুষী রূপ দেখেছি, তার তুলনা মেলা ভার। এখনো যখনই তাঁকে দেখি, তখনই মনে ফিরে আসে কিশোরবেলায় দেখা মোটা চুলের গোছায় উজ্জ্বল সেই সস্নেহ মুখটি। অন্তরঙ্গ, নিবিড়, মমতামাখা।

   

কানের গ্রাঁ প্রিঁ উঠলো আর্জেন্টিনার হাতে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির দৃশ্য

‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবের সমান্তরাল বিভাগ ক্রিটিকস’ উইকের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গ্রাঁ প্রিঁ’ জিতেছে আর্জেন্টাইন পরিচালক ফেদেরিকো লুইসের প্রথম চলচ্চিত্র ‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন’। ভূমধ্যসাগরের তীরে এসপেস মিরামার হোটেলে বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় বিজয়ী তালিকা ঘোষণা করা হয়। তখন উপস্থিত ছিলেন ক্রিটিকস’ উইকের প্রধান নির্বাহী আভা কায়েন।

উঠতি বয়সের এক কিশোরের মানসিক ব্যাধির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে কেন্দ্র করে ছবিটির গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আর্জেন্টাইন অভিনেতা, গায়ক ও গীতিকবি লরেঞ্জো ফেরো। এর যৌথ প্রযোজক আর্জেন্টিনা, চিলি ও উরুগুয়ের তিনটি পৃথক প্রতিষ্ঠান।

ক্রিটিকস’ উইকের সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতে ফেদেরিকো লুইস বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এই পুরস্কারের তাৎপর্য কী শুধু সেটাই ভাবছি না, আর্জেন্টিনার বাসিন্দাদের জন্য এর অর্থ কী সেটি নিয়েও ভাবছি, যাদের আগামী চার বছর স্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। এমন অনেকে আছেন যারা এখনও ভাবে, আমরা চলচ্চিত্র বানালেও কেউ দেখতে চায় না। আশা করি, এই পুরস্কার সেই চিন্তায় পরিবর্তন আনবে এবং আর্জেন্টিনার মানুষ এবং তারপর সারাবিশ্ব আমাদের সিনেমা দেখবে।’

৬৩তম ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস’ উইকের বিজয়ী তালিকা

গ্রাঁ প্রিঁ
সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা-চিলি-উরুগুয়ে)

‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির পোস্টর

ফ্রেঞ্চ টাচ প্রাইজ অব দ্য জুরি

ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)

লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড
রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)

লাইৎজ সিনে ডিসকোভার প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র)
মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)

গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন
জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম-সুইডেন)

এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড
লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম-সুইডেন)

ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র)
অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

;

সাজ্জাদ-সাদিয়ার নাটক ‘শেষ প্রহরে তুমি’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘শেষ প্রহরে তুমি’ নাটকে ইরফান সাজ্জাদ ও সাদিয়া আয়মান

‘শেষ প্রহরে তুমি’ নাটকে ইরফান সাজ্জাদ ও সাদিয়া আয়মান

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টিস্নাত এক সন্ধ্যায় রেলস্টেশনে আনন্দে মেতে ওঠে রুহি। বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা রুহিকে প্রথমবার দেখেই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায় রাশেদ। সেই মুগ্ধতা মুহূর্তেই পরিণত হয় প্রেমে। ভাগ্যের জোরে বার বার দেখাও হতে থাকে দু’জনের। রাশেদের অনবরত প্রেম নিবেদন এড়াতে পারে না রুহিও।

তরুণ এক প্রেমিক-প্রেমিকার জীবনের গল্প নিয়ে পরিচালক সেলিম রেজা পরিচালিত নাটক ‘শেষ প্রহরে তুমি’। নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশ পেল আজ ২৩ মে। এখানে অভিনয় করেছেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ইরফান সাজ্জাদ এবং সাদিয়া আয়মান।

সাদিয়া-সাজ্জাদের নাটক ‘শেষ প্রহরে তুমি’

রোমান্টিক ট্রাজেডি ধরনার গল্পে তৈরি করা এই নাটক লিখেছেন সায়েম খান। নাটকে ব্যবহার করা হয়েছে বৃষ্টি বিলাসী নামের একটি গানও। এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মৌলি মজুমদার এবং কাউসার খান। এই নাটকটি দেখা যাবে ফিল্ম ফ্যাক্টরি নামের ইউটিউব চ্যানেলে।

এত ভালোবেসে কাছাকাছি আসার পরও বিচ্ছেদ হয় রাশেদ-রুহির। কেন দু’জনকে আলাদা হতে হলো, আর কিভাবেই বা দুঃখের শেষ প্রহরে এসে দু’জনে আবার একত্রিত হবে সেই গল্পের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলে নাটক। 

;

আলিয়ার পারফরমেন্স তুলে ধরল অস্কার কর্তৃপক্ষ!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে আলিয়া ভাট

‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে আলিয়া ভাট

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। সে কথা এখন তার নিন্দুকরাও শিকার করেন। এই অভিনেত্রীর সময় দারুণ কাটছে। ব্যক্তিজীবনে স্বামী রণবীর কাপুর ও কন্যা রাহাকে নিয়ে খুব সুখে আছে।

আর পেশাগত জীবনেও এই দম্পতি দারুণ সফলতা দেখাচ্ছেন। তারমধ্যে আলিয়া আবার দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমশই প্রস্ফূটিত করছেন। সম্প্রতি ফ্যাশন জগতের সবচেয়ে চর্চিত ইভেন্ট মেট গালায় সব্যসাচী মুখার্জির লম্বা আচলওয়ালা শাড়িতে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে।

মেট গালায় আলিয়া ভাট

এরইমধ্যে হলিউডে অভিষেকও হয়েছে তার। বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ তারকার তালিকায় বলিউড থেকে একমাত্র তার নামই এসেছে। এবার বিশ্ব সিনেমার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘অস্কার’-এর সঙ্গে নাম জুড়ে গেল আলিয়া ভাটের।

প্রতি বছর বিশ্ব সিনেমার সেরা ট্যালেন্টদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি সারা বছরই অন্তর্জালের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সিনেমা, শিল্পী-কুশলীদের উৎসাহ দেয় সংস্থাটি। তারই অংশ হিসেবে এবার অস্কারের ইন্সটাগ্রাম পেজে জায়গা পেলেন আলিয়া। এই পেজ থেকে আজ শেয়ার করা হয়েছে আলিয়া অভিনীত ২০১৯ সালের সিনেমা ‘কলঙ্ক’র জনপ্রিয় গান ‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’র ক্লিপ। ভিডিওর সঙ্গে অস্কার কর্তৃপক্ষ ক্যাপশনে লিখেছে, “কলঙ্ক’ সিনেমার ‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে পারফর্ম করছেন আলিয়া ভাট। গানটি গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল।”

‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে আলিয়া ও মাধুরী

এছাড়া ছবিটির আরও কিছু তথ্যও যোগ করা হয়েছে পোস্টে। যেমন ছবির নির্মাতা অভিষেক বর্মণ, অভিনয়শিল্পী আলিয়া ভাট, মাধুরী দিক্ষীত, বরুণ ধাওয়ান ও সোনাক্ষী সিনহার নাম। পাশাপাশি গানের কম্পোজার হিসেবে প্রীতম চক্রবর্তী ও গীতিকবি অমিতাভ ভট্টাচার্যের কথাও উল্লেখ রয়েছে পোস্টে।

অস্কার কর্তৃপক্ষের পোস্ট দেখে উচ্ছ্বসিত আলিয়া। পোস্টটি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন তিনি। অন্যদিকে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধর্মা প্রোডাকশন থেকে মন্তব্য করা হয়েছে ‘আইকনিক’।

;

‘এশা মার্ডার’-এর পোস্টারে বাঁধনের চোখ বলে যায় কতো কথা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমার অফিশিয়াল পোস্টার

‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমার অফিশিয়াল পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতরে সিনেমা হলে আসার কথা ছিল জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের সিনেমা ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’। তবে সে সময় টিজার প্রকাশ করে জানানো হয়, ঈদুল ফিতরে নয়, ছবিটি আসতে চলেছে ঈদুল আযহায়!

সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ প্রকাশ পেয়েছে ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমার পোস্টার। টিজারে যেমন চৌকস পুলিশ অফিসার চরিত্রে দেখা দিয়ে প্রশংসা পেয়েছিলেন বাঁধন, অফিশিয়াল পোস্টারেও তেমন ভঙ্গিতে হাজির হয়েছেন এই তারকা। চোখে মুখে ক্রোধ, হাতে রিভলবার, পুলিশ অফিসার হিসেবে অপরাধীর প্রতি তার মনোভাবকেই তুলে ধরা হয়েছে। পোস্টারটি শেয়ার করে ফেসবুকের ক্যাপশনে বাঁধন লিখেছেন, ‘খুনসহ ধর্ষণের শাস্তি কী হওয়া উচিত?’

‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমার অফিশিয়াল পোস্টার

ছবিটির টিজারে দেখা গিয়েছিল, অর্চনা গোপ, জেসমিন টিউলিপ এবং এশা জান্নাত নামের তিনজন মেয়ে একই জেলায় খুনসহ ধর্ষণের শিকার হন। যার তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশ অফিসার বাঁধনের ওপর! চৌকস পুলিশ অফিসারের সমস্ত কিছুই দুর্দান্তভাবে যে অনুসরণ করেছেন বাঁধন, তার আভাস টিজার-পোস্টার দুটোতেই পাওয়া যাচ্ছে।

ছবিতে বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, সুমিত সেনগুপ্ত, পূজা ক্রুজ, শতাব্দী ওয়াদুদ, মাজনুন মিজান, দীপু ঈমাম, সুষমা সরকার প্রমুখ।

;