আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সিনেমার নতুন সূর্য



গোলাম রাব্বানী, লেখক ও সাংবাদিক
অলংকরণ ও সম্পাদনা: রুদ্র হক

অলংকরণ ও সম্পাদনা: রুদ্র হক

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন গ্রেট ম্যাজিশিয়ানকে যদি আপনি হাত পা বেঁধে ছেড়ে দেন, তবুও তিনি আপনাকে ম্যাজিক দেখাতে পারবেন। যদি তার কলিজায় দম থাকে। 'লাল মোরগের ঝুঁটি' দেখে নূরুল আলম আতিককে সেই ম্যাজিশিয়ানই মনে হয়েছে। যিনি তাঁর ছবির প্রতিটা ফ্রেমে বুনে গেছেন এক রুদ্ধশ্বাস সময়ের গল্প।

ছবির শুরুই হয় একটি অ্যানিমেশন দৃশ্য দিয়ে যেখানে আমরা দেখি দুটো লাল মোরগ লড়াই করছে আর ব্যাকগ্রাউন্ডে শুনতে পাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। ম্যাজিকের শুরুটা এখানেই।

সৈয়দপুর বিমান বন্দরের রানওয়েতে পাকিস্তানি আর্মি ক্যাপ্টেনের জিপে চলতে শুরু করে ছবির সাদা কালো গল্প।


দীপালি আর তার বর পরিমল যখন স্টুডিও ছবি তুলছিল তখন সূর্য সেনের শীতল চোখের ছবি দেখে খুব চমকে ওঠেছিলাম। যাদু দেখার মতো। দূর দেয়ালে ঝুলে থাকা সূর্য সেনও যে এই বাঙালি জাতির অন্দোলন, সংগ্রাম আর যুদ্ধের একটি অংশ। সেটাই যেন নির্মাতা মনে করিয়ে দিলেন। দীপালির ঘরে জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রের পোস্টার দিয়ে আতিক কীসের ইঙ্গিত দেন সেটা বুঝতে আর কষ্ট হয় না বা পদ্মর সরুইখানায় উর্দু চলচ্চিত্র ক্যাপ্টেন এহতেশামের ‘চকোরী’ ছবির পোস্টারও একটি সময় ও সংস্কৃতিকে বহন করে দেয়ালে ঝুলে থেকে।


ধরণী মোহন ও তার স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য দেখার পর সাহেব আলীর যে মানসিক অবস্থা পাল্টে যায়, তার মনোজগতের অবস্থা বোঝাতে নির্মাতা ফুটন্ত চায়ের কেটলির যে মন্তাজ ব্যবহার করেছেন তা যে কোনো পরিণত সিনেমার দর্শককে নাড়া দেবে বলে আমার বিশ্বাস। ফুটন্ত চায়ের কেটলি তো সাহেব আলীর ভেতরের আগুন ফোটার প্রতীক হয়ে ধরা দেয়।

রেবা যখন বন্দিশালায় ক্যাপ্টেন নকভীর চাবুকের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে এক পা শেকলে বাঁধা অবস্থায় নেচে যাচ্ছিলো চোখে মুখে ঘৃণা নিয়ে আর অন্যদিকে রেবার বৃদ্ধা দাদি মোরব্বা বানানোর জন্য চালকুমড়ার ফালিগুলো খেজুরের কাঁটায় কেঁচছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল তিনি যেন আমারই হৃদয় ঝাঁঝরা করে ফেলছেন। এ সিনেমায় আরও কিছু সিম্বলিক ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা রস আস্বাদনে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে।


যেমন ঘোড়া এ ছবির এক নীরব ক্যারেক্টার সব দেখে সহ্য করে যাচ্ছে বুদ্ধর মতো। বুদ্ধ যখন দীঘির পাড়ে দূরে ঘোড়ার গাড়িটা রেখে মদে বুদ হয় রয় তখন সাহেব আলী যে গাছটাকে নিবিরভাবে দেখে, আস্ত একটা সতেজ তাগড়া গাছ কিছু পরগাছার কারণে নিজের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এই দৃশ্য দেখে সাহেব আলীর মনোজগতে একটা পরিবর্তন দেখি।

এ সিনেমার বড় সম্পদ এর স্ক্রিন প্লে ও ঝরঝরে মচমচে ডায়লগ। ধরণী আর সাহেব আলীর আলোচনায় আমেরিকা আর ভিয়েতনাম যুদ্ধর রেফারেন্সটাও ৭১ এর বিশ্ব রাজনীতির ছায়া ফেলে যায় ছবিটিতে। ক্যাপ্টেন মুনওয়ার আর নকভীর বাহাসের একটা জায়গা খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে আমার কাছে, যখন মুনওয়ার বলে- ‘আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন’। তখন নকভী রেগে গিয়ে বলে, ‘আল্লাহ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান দুটোকেই রক্ষা করবে’। এই জায়গাটায় নকভী যেন এক অন্য ক্যারেক্টার হয়ে ধরা দেয় সংলাপের কারণে।


একটা ডায়লগ তো এখন লোকের মুখে মুখে, ‘এপার ওপার বুঝি না, দরকার হইলে পরপারে যামু’ বা বুদ্ধ যেমন বলে ,‘মানোয়া আর মানোয়া নাই রে...’। পুরো সিনেমা জুড়ে পাত্র-পাত্রীর মুখে মেদহীন ডায়লগের কারিশমা কানে ও মনে আরাম দেয়।

ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ড সংগীতও বেশ আরামদায়ক। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে সংগীত সংযোজন করেছেন সংগীত পরিচালক। কাকের ডাক, ঘুঘুর ডাক, রাত বিরাতে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ, কুকুরের ডাক, ট্রেন চলে যাওয়ার শব্দ, বিশেষ করে রেডিওর যে অ্যান্টিক সাউন্ড, খুব দারুন।

‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র একটা ডায়লগ আছে, ধরণী মোহনকে সাহেব আলী বলেন, ‘আমগো নেতা শেখের ডাকে পান্তা খাওয়া পোলাপাইন আবার ফাইটব্যাক করতে শিখছে।’ তো এই সিনেমার বড় শক্তি এর অভিনয়শিল্পীরা। প্রতিটা চরিত্র যেন নির্মাতার ডাকে আবার নিজেদের সেরাটা দিয়ে ফাইটব্যাক করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।


কোনো রকম ডায়লগ ছাড়াও যে শুধুমাত্র অভিনয় দিয়েই একটি ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে ওঠা যায় তা স্বাগতার অভিনয় দেখলেই আন্দাজ করা যায়। মুখে না বলেও এক্সপ্রেশনে অনেক কথাই বলে দেয় এই চরিত্রটি। এ পর্যন্ত আমি আশনা হাবিব ভাবনার যত অভিনয় দেখেছি, সবকটাকে ছাড়িয়ে গেছে পদ্ম। এই চরিত্রটিই পুরো সিনেমার অন্যান্য পাত্র পাত্রীর চেয়ে একেবারে আলাদা, চলনে বলনে, দেমাগে, ভাষায় আর পোশাকে।

ক্যাপ্টেন নকভী চরিত্রে শাজাহান সম্রাট তো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন, বেশ আপস অ্যান্ড ডাউন ছিল চরিত্রটিতে। এক্সপ্রেসশন ডায়লগ থ্রোয়িংয়ে, কণ্ঠ সব মিলিয়ে পুরো সিনেমাটায় এই চরিত্রটি একটি উত্তেজনা ধরে রাখতে পেরেছে।


অদ্ভুত ঘোরলাগা এক চরিত্রে পুরো ছবিটিতে হাজির ছিলেন আহমেদ রুবেল। তার অভিনয় নিয়ে নতুন করে আর কী বলব, তিনি তো পরীক্ষিত। সুযোগের সবটুকু ব্যবহার করেছেন। জয় রাজের অভিনয় মুগ্ধ করবে আপনাকে। পর্দায় একটি বারের জন্য তাকে আমার জয়রাজ মনে হয়নি। তিনি পর্দায় শামছুই ছিলেন। বুদ্ধ চরিত্রে আশীষ খন্দকার পারফেক্ট। জ্যোতিকা জ্যোতি, দোয়েল, অশোক ব্যাপারী, শিল্পী সরকার অপু, অন্তু, ইলোরা গহর প্রত্যেকে ফাইটব্যাক করার চেষ্টা করেছেন।


নির্মাতা ছবিটি শুরু করেছিলেন ৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে। সেই ভাষণেই ফিরে যাই। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।’ আর এই পুরো ছবিটি দেখে আমার তাই মনে হয়েছে, ছবির প্রত্যেক শিল্পী, কলাকুশলীরা যার যা আছে তাই নিয়ে ছবিটিতে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন নির্মাতার উপর ভরসা রেখে।

আর তাই বাংলা ছবির ইতিহাসে, মুক্তিযুদ্ধের ছবির ইতিহাসে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ দাগ কেটে থাকবে। সকল সঙ্কট আর বাধা পেরিয়ে নির্মাতা নূরুল আলম আতিক শেষ পর্যন্ত তার ম্যাজিকটা দেখাতে পেরেছেন ফ্রেমে ফ্রেমে গল্পে আর সংলাপে। আমাদের মুক্তি যুদ্ধের সিনেমার নতুন সূর্য যেন উদয় হলো।

   

কানের গ্রাঁ প্রিঁ উঠলো আর্জেন্টিনার হাতে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির দৃশ্য

‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবের সমান্তরাল বিভাগ ক্রিটিকস’ উইকের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গ্রাঁ প্রিঁ’ জিতেছে আর্জেন্টাইন পরিচালক ফেদেরিকো লুইসের প্রথম চলচ্চিত্র ‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন’। ভূমধ্যসাগরের তীরে এসপেস মিরামার হোটেলে বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় বিজয়ী তালিকা ঘোষণা করা হয়। তখন উপস্থিত ছিলেন ক্রিটিকস’ উইকের প্রধান নির্বাহী আভা কায়েন।

উঠতি বয়সের এক কিশোরের মানসিক ব্যাধির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে কেন্দ্র করে ছবিটির গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আর্জেন্টাইন অভিনেতা, গায়ক ও গীতিকবি লরেঞ্জো ফেরো। এর যৌথ প্রযোজক আর্জেন্টিনা, চিলি ও উরুগুয়ের তিনটি পৃথক প্রতিষ্ঠান।

ক্রিটিকস’ উইকের সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতে ফেদেরিকো লুইস বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এই পুরস্কারের তাৎপর্য কী শুধু সেটাই ভাবছি না, আর্জেন্টিনার বাসিন্দাদের জন্য এর অর্থ কী সেটি নিয়েও ভাবছি, যাদের আগামী চার বছর স্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। এমন অনেকে আছেন যারা এখনও ভাবে, আমরা চলচ্চিত্র বানালেও কেউ দেখতে চায় না। আশা করি, এই পুরস্কার সেই চিন্তায় পরিবর্তন আনবে এবং আর্জেন্টিনার মানুষ এবং তারপর সারাবিশ্ব আমাদের সিনেমা দেখবে।’

৬৩তম ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস’ উইকের বিজয়ী তালিকা

গ্রাঁ প্রিঁ
সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা-চিলি-উরুগুয়ে)

‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির পোস্টর

ফ্রেঞ্চ টাচ প্রাইজ অব দ্য জুরি

ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)

লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড
রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)

লাইৎজ সিনে ডিসকোভার প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র)
মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)

গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন
জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম-সুইডেন)

এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড
লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম-সুইডেন)

ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র)
অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

;

সাজ্জাদ-সাদিয়ার নাটক ‘শেষ প্রহরে তুমি’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘শেষ প্রহরে তুমি’ নাটকে ইরফান সাজ্জাদ ও সাদিয়া আয়মান

‘শেষ প্রহরে তুমি’ নাটকে ইরফান সাজ্জাদ ও সাদিয়া আয়মান

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টিস্নাত এক সন্ধ্যায় রেলস্টেশনে আনন্দে মেতে ওঠে রুহি। বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা রুহিকে প্রথমবার দেখেই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায় রাশেদ। সেই মুগ্ধতা মুহূর্তেই পরিণত হয় প্রেমে। ভাগ্যের জোরে বার বার দেখাও হতে থাকে দু’জনের। রাশেদের অনবরত প্রেম নিবেদন এড়াতে পারে না রুহিও।

তরুণ এক প্রেমিক-প্রেমিকার জীবনের গল্প নিয়ে পরিচালক সেলিম রেজা পরিচালিত নাটক ‘শেষ প্রহরে তুমি’। নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশ পেল আজ ২৩ মে। এখানে অভিনয় করেছেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ইরফান সাজ্জাদ এবং সাদিয়া আয়মান।

সাদিয়া-সাজ্জাদের নাটক ‘শেষ প্রহরে তুমি’

রোমান্টিক ট্রাজেডি ধরনার গল্পে তৈরি করা এই নাটক লিখেছেন সায়েম খান। নাটকে ব্যবহার করা হয়েছে বৃষ্টি বিলাসী নামের একটি গানও। এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মৌলি মজুমদার এবং কাউসার খান। এই নাটকটি দেখা যাবে ফিল্ম ফ্যাক্টরি নামের ইউটিউব চ্যানেলে।

এত ভালোবেসে কাছাকাছি আসার পরও বিচ্ছেদ হয় রাশেদ-রুহির। কেন দু’জনকে আলাদা হতে হলো, আর কিভাবেই বা দুঃখের শেষ প্রহরে এসে দু’জনে আবার একত্রিত হবে সেই গল্পের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলে নাটক। 

;

আলিয়ার পারফরমেন্স তুলে ধরল অস্কার কর্তৃপক্ষ!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে আলিয়া ভাট

‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে আলিয়া ভাট

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। সে কথা এখন তার নিন্দুকরাও শিকার করেন। এই অভিনেত্রীর সময় দারুণ কাটছে। ব্যক্তিজীবনে স্বামী রণবীর কাপুর ও কন্যা রাহাকে নিয়ে খুব সুখে আছে।

আর পেশাগত জীবনেও এই দম্পতি দারুণ সফলতা দেখাচ্ছেন। তারমধ্যে আলিয়া আবার দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমশই প্রস্ফূটিত করছেন। সম্প্রতি ফ্যাশন জগতের সবচেয়ে চর্চিত ইভেন্ট মেট গালায় সব্যসাচী মুখার্জির লম্বা আচলওয়ালা শাড়িতে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে।

মেট গালায় আলিয়া ভাট

এরইমধ্যে হলিউডে অভিষেকও হয়েছে তার। বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ তারকার তালিকায় বলিউড থেকে একমাত্র তার নামই এসেছে। এবার বিশ্ব সিনেমার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘অস্কার’-এর সঙ্গে নাম জুড়ে গেল আলিয়া ভাটের।

প্রতি বছর বিশ্ব সিনেমার সেরা ট্যালেন্টদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি সারা বছরই অন্তর্জালের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সিনেমা, শিল্পী-কুশলীদের উৎসাহ দেয় সংস্থাটি। তারই অংশ হিসেবে এবার অস্কারের ইন্সটাগ্রাম পেজে জায়গা পেলেন আলিয়া। এই পেজ থেকে আজ শেয়ার করা হয়েছে আলিয়া অভিনীত ২০১৯ সালের সিনেমা ‘কলঙ্ক’র জনপ্রিয় গান ‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’র ক্লিপ। ভিডিওর সঙ্গে অস্কার কর্তৃপক্ষ ক্যাপশনে লিখেছে, “কলঙ্ক’ সিনেমার ‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে পারফর্ম করছেন আলিয়া ভাট। গানটি গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল।”

‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে আলিয়া ও মাধুরী

এছাড়া ছবিটির আরও কিছু তথ্যও যোগ করা হয়েছে পোস্টে। যেমন ছবির নির্মাতা অভিষেক বর্মণ, অভিনয়শিল্পী আলিয়া ভাট, মাধুরী দিক্ষীত, বরুণ ধাওয়ান ও সোনাক্ষী সিনহার নাম। পাশাপাশি গানের কম্পোজার হিসেবে প্রীতম চক্রবর্তী ও গীতিকবি অমিতাভ ভট্টাচার্যের কথাও উল্লেখ রয়েছে পোস্টে।

অস্কার কর্তৃপক্ষের পোস্ট দেখে উচ্ছ্বসিত আলিয়া। পোস্টটি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন তিনি। অন্যদিকে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধর্মা প্রোডাকশন থেকে মন্তব্য করা হয়েছে ‘আইকনিক’।

;

‘এশা মার্ডার’-এর পোস্টারে বাঁধনের চোখ বলে যায় কতো কথা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমার অফিশিয়াল পোস্টার

‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমার অফিশিয়াল পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতরে সিনেমা হলে আসার কথা ছিল জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের সিনেমা ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’। তবে সে সময় টিজার প্রকাশ করে জানানো হয়, ঈদুল ফিতরে নয়, ছবিটি আসতে চলেছে ঈদুল আযহায়!

সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ প্রকাশ পেয়েছে ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমার পোস্টার। টিজারে যেমন চৌকস পুলিশ অফিসার চরিত্রে দেখা দিয়ে প্রশংসা পেয়েছিলেন বাঁধন, অফিশিয়াল পোস্টারেও তেমন ভঙ্গিতে হাজির হয়েছেন এই তারকা। চোখে মুখে ক্রোধ, হাতে রিভলবার, পুলিশ অফিসার হিসেবে অপরাধীর প্রতি তার মনোভাবকেই তুলে ধরা হয়েছে। পোস্টারটি শেয়ার করে ফেসবুকের ক্যাপশনে বাঁধন লিখেছেন, ‘খুনসহ ধর্ষণের শাস্তি কী হওয়া উচিত?’

‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমার অফিশিয়াল পোস্টার

ছবিটির টিজারে দেখা গিয়েছিল, অর্চনা গোপ, জেসমিন টিউলিপ এবং এশা জান্নাত নামের তিনজন মেয়ে একই জেলায় খুনসহ ধর্ষণের শিকার হন। যার তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশ অফিসার বাঁধনের ওপর! চৌকস পুলিশ অফিসারের সমস্ত কিছুই দুর্দান্তভাবে যে অনুসরণ করেছেন বাঁধন, তার আভাস টিজার-পোস্টার দুটোতেই পাওয়া যাচ্ছে।

ছবিতে বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, সুমিত সেনগুপ্ত, পূজা ক্রুজ, শতাব্দী ওয়াদুদ, মাজনুন মিজান, দীপু ঈমাম, সুষমা সরকার প্রমুখ।

;