‘রাজকুমার’ বাংলা সিনেমাকে এক ধাপ এগিয়ে নেবে : হিমেল আশরাফ
‘বাংলা সিনেমা বিশ্বজয় করবে’- এমন প্রত্যাশার কথা বরাবরই বলে এসেছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। গেল বছর সেই আশার কিছুটা হলেও প্রতিফলন ঘটিয়েছে তারই অভিনীত সিনেমা ‘প্রিয়তমা’। বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া থেকে অভাবনীয় সাফল্য পায় সুপারস্টার শাকিব খানের সাড়া জাগানো এ সিনেমাটি।
সেই সাফল্যে ভর করে ‘প্রিয়তমা’কে ছাড়িয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘রাজকুমার’ নির্মিত হচ্ছে। আরশাদ আদনানের প্রযোজনায় শাকিবের এই সিনেমার শুটিং চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে। ‘রাজকুমার’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই বাংলায় এমন বড় আয়োজনের সিনেমা আগে হয়নি।
এর আগে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দু-দেশের সিনেমায় একাধিকবার লন্ডন, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপে শুটিং করেছেন শাকিব। তবে যুক্তরাষ্ট্রে শুটিং অভিজ্ঞতা তার জন্য নতুন। নিউ ইয়র্ক থেকে গণমাধ্যমকে শাকিব খান বলেন, শুটিং করতে কষ্ট হচ্ছে তবে দিনশেষে কাজটা ভালো হচ্ছে। এতে করে কষ্টটা গায়ে লাগছে না। আমার অভিজ্ঞতায় রিসেন্ট দুই বাংলায় কোনো সিনেমা এতো বড় ক্যানভাসে হয়নি।
যে বাজেট শুধু এই সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য ব্যয় হয়েছে তা সম্প্রতিক সময়ের অন্যান্য বাংলা সিনেমার বাজেটের চেয়ে বেশি বলে জানান ‘রাজকুমার’-এর নির্মাতা হিমেল আশরাফ। এবার বলিউডের নামী কোরিওগ্রাফার আদিল শেখকে আমেরিকায় নেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের চোখ ধাঁধানো সব লোকেশনে গানের শুটিং হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আসন্ন রোজার ঈদে ‘রাজকুমার’ বাংলা সিনেমাকে বিশ্বের কাছে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে মনে করেন হিমেল আশরাফ।
তিনি বলেন, আমরা হান্ড্রেড পার্সেন্ট প্রফেশনালভাবে শুটিং করছি। কোথাও কোনো ছাড় থাকছে না। আগে দেখেছি আমেরিকায় কেউ শুটিং করলে পরিচিতজনদের অফিস, গাড়ি-বাসা ম্যানেজ করে শুটিং করেন। কিন্তু আমরা পারফেক্টলি আমেরিকান ক্রু, শুটিং জোন রেন্ট নিয়ে শুটিং করছি।
এভাবে আমেরিকায় বিভিন্ন রাজ্যে ১৮দিন শুটিং হবে। শুটিংয়ে মাঝেমধ্যে হাড় কাঁপানো শীতের কবলে পড়তে হচ্ছে। মাইনাস ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও শুটিং হয়েছে। স্ক্রিনে এগুলো বোঝা যাবে না। একটি দৃশ্যের পরে আমরা ব্রেক নিচ্ছি, হিটারের তাপে চাঙ্গা হচ্ছি। শাকিব ভাই অনেক কষ্ট করছেন। আমরা ক্যামেরার পিছনে পুরো শরীর মোটা শীতের কাপড় ঢাকা থাকলেও ক্যামেরার সামনে শাকিব ভাইকে সাবলীল থাকতে হচ্ছে। এমনও হয়েছে উনি ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছেন, তার চোখ লাল হয়ে স্ক্রিন ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা। আবহাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে শুটিং করাটা তাকে বেশি ফেইস করতে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল শুটিংয়ে এই অসাধ্য সাধন হচ্ছে প্রযোজক আরশাদ আদনানের কারণে।