গায়ের রঙ নিয়ে ট্রোল হয়ে যা বললেন মাহি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সামিরা খান মাহি

সামিরা খান মাহি

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ প্রজন্মের অভিনেত্রী সামিরা খান মাহির একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। মেকআপ ছাড়া সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে কটাক্ষের শিকার হন। বিশেষ করে তার গায়ের রং নিয়েও বিদ্রুপ করছেন নেটিজেনদের একাংশ। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওকে কেন্দ্র করে আপত্তিকর মন্তব্যও করতে দেখা যাচ্ছে কাউকে। মাহি বললেন, ভিডিও নিয়ে মানুষের এমন মন্তব্যে তিনি কষ্ট পেয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে মেকআপ ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন অভিনেত্রী মাহি। যা মূলত নিছক মজা করেই ধারণ করে কেউ পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। তারপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হতে থাকেন তিনি। এ আচরণে অবশ্য কষ্ট পেয়েছেন মাহি।

সামিরা খান মাহি

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা মানসিকভাবে কতটা নাড়িয়ে দিয়েছিল জানতে চাইলে মাহি বলেন, ‘সত্যি বলতে, এই ভিডিও নিয়ে মানুষের মধ্যে যে এত আলোচনা, এতে মনে হয়েছে, সবাই ছোট মনের পরিচয় দিয়েছে। অনেক মানুষের কথা হচ্ছে, তুমি দেখতে কালো, এ জন্য ভিডিওতে মুখ ঢেকেছ। আরে ভাই, আমি কি কখনো কোথাও বলেছি, দেখতে আমি ফরসা! আরে কার চামড়ার রং কী, এটা নিয়েও আমরা কথা বলব?

অদ্ভুত একটা সমাজে বসবাস করছি আমরা। আমার কাছে এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতেই বিরক্ত লাগে। হতে পারে আমার চোখে ইনফেকশন, আমার মুখে কিছু একটা ছিল—আমি যেকোনো কারণেই মুখটা ঢাকতেই পারি। বিষয়টা হচ্ছে যিনি ভিডিওটা করেছেন, কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই, তাকে নিয়ে কথা না বলে আমার কেন মুখ ঢাকা এবং আমি কেন দেখতে কালো, এসব নিয়ে কথা হচ্ছে। অদ্ভুত।’

সামিরা খান মাহি

ঘটনাটা কবেকার জানতে চাইলে মাহি বলেন, ‘খুব বেশি দিন হয়নি। যেদিন ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে, তার ঠিক দুই দিন আগে এই ভিডিওটা করা হয়। বিষয়টা হয়েছে কি, যিনি ভিডিও করেছেন তিনি আমারই একজন সহশিল্পী। শুটিং সেটে এই ভিডিওটা তিনি করেছেন। তিনি আমার ভিডিও করছিলেন না, এমনি ফোনের ক্যামেরা অন করে রেখেছিলেন। হঠাৎ করে আমি রুমে ঢুকে পড়ায় ভিডিওতে চলে আসছি; তাই মুখটা ঢেকে ফেলেছি। তিনি একটু দুষ্টামি করছিলেন। আমিও তাকে বলছিলাম, আপু আমাকে ভিডিও কইরো না। তারপরও তিনি করেছেন। আমার মনে হয়েছে, বিষয়টা তিনি সিরিয়াসলি নেননি। আমি জানি না। তারপর ফেসবুকে আপলোড দিয়ে দিয়েছেন। দুই দিন পর দেখলাম, ভিডিওটা ভাইরাল। শুটিং ইউনিটের অনেকে বলছে, আপা আপনার ভিডিও তো ভাইরাল। পরে ফেসবুকে ঢুকে দেখি, ভয়াবহ অবস্থা। তারপর আমি ওই আপুকে টেক্সট করেছি। কল করেছি। তিনি সরি বলেছেন। কিন্তু সরি বলার আগে তো যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমার যা ক্ষতি হওয়ার তো হয়েছে।’

সামিরা খান মাহি

মাহি জানান, তিনি এখন ঈদের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। কাজ শুরু করবেন ওটিটিরও। এদিকে এবারের ভালোবাসা দিবসে তার হাফ ডজনের বেশি নাটক প্রচারিত হতে পারে বলেও জানালেন।

   

গৃহিণীদেরও একটু অবসর দিন : ফাহমিদা নবী



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ফাহমিদ নবী /  ছবি : শেখ সাদী

ফাহমিদ নবী / ছবি : শেখ সাদী

  • Font increase
  • Font Decrease

১ মে দিবস ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’। প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের দেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ

ফাহমিদ নবী

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী

যখনই কোন আন্দোলন হয়, তার মানে হলো দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া একজন জনতা আন্দোলনে নামে তাদের অধিকার আদায়ে। মে দিবসেও পাশ্চাত্যের দিন মজুররা তাদের ওপর বছরের পর বছর ঘটে যাওয়া অণ্যায়ের প্রতিবাদ এবং অধিকার আদায়ের লড়ায়ে নেমেছিলেন। সেই থেকে এই দিনটি বিশ্ব শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। কিন্তু আজও কি আমরা শ্রমিকদের সঠিক মর্যাদা বা অধিকার দিতে পারছি?

আমি আমার দেশিয় কনটেক্সট থেকে একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। সেটি বলার পর হয়তো অনেকে আমাকে আমার বিরুদ্ধেও দু-চারটি কথা বলতে পারেন। কিন্তু তাই বলে বিষয়টা উত্থাপন না করলে তো হবে না!

ফাহমিদ নবী /  ছবি : শেখ সাদী

আমরা অবশ্যই নানা পেশার মানুষের অধিকারের কথা বলি। তাদের ন্যায্য পাওনা, কর্মঘন্টা, সুযোগ সুবিধার কথা বলি। কিন্তু যারা হাউজওয়াইফ বা গৃহিণী আছেন, তাদেরকে কি আজও আমরা আলাদা কোন পেশা হিসেবে মূল্যায়ণ করি?

‘গৃহিণী’ও যে একটি পেশা সেটাই যেখানে ভাবতে পারি না, সেখানে তার অধিকারের প্রশ্ন তো অনেক দূরের কথা! আপনি সব হাউজওয়াইফকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের অধিকাংশই একই কথাই বলবে। তাদেরও একটু অবসর চাই, তাদেরও একটু মি টাইম চাই।

তারা বছরের পর বছর ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শুধু কাজই করে। তাদের কোন কর্মঘণ্টা নেই, কোন বেতন ভাতা নেই, বোনাস নেই, বেশিরভাগ সময় অ্যাপ্রিসিয়েশনও নেই।
এমনকি যে পরিবারে স্বামী হয়ত বেকার, সেখানেও ওই স্ত্রীকেই সব কাজ করতে হয়। স্বামী তার নিজের কাজগুলোও করে না। এখনই সময় দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়ে গৃহিণীদেরও একটু অবসরের সুযোগ করে দেওয়া।

;

আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা-ওয়াসী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা-ওয়াসী

আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা-ওয়াসী

  • Font increase
  • Font Decrease

মা দিবসে (১২ মে) আসছে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার ‘এইনা বৃদ্ধাশ্রম’ শিরোনামের নতুন একটি গানের মিউজিক ভিডিও। তার সঙ্গে এতে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন চলতি সময়ের কণ্ঠশিল্পী খায়রুল ওয়াসী। আল আমিন জমাদ্দার সবুজের কথায় এটির সুর করেছেন খায়রুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনায় রিপন খান। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন গীতিকার নিজেই। এটি এজে, এস ওয়ার্ল্ডের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হবে।

গানটি প্রসঙ্গে সুরকার ও শিল্পী খায়রুল ওয়াসী বলেন, ‘রুনা লায়লা ম্যাম আমার সুরে আমার সাথেই গান গেয়েছেন এটা সত্যি আমার ভাগ্য। ছোটবেলা থেকেই আমার প্রিয় স্বপ্নের কণ্ঠ ও শিল্পী ব্যক্তিত্ব রুনা লায়লা ম্যাম এর গান শুনে শুনে বড় হয়েছি। গান চর্চায় এত দ্রুত ম্যামের সাথে দ্বৈত গান গাইতে পারবো ভাবতে পারিনি। রুনা ম্যাম গানের কথা ও সুর নিয়ে প্রশংসা করেছেন। আমার মাথায় হাত রেখে দোয়া করে বলেছেন ভালভাল কাজ যেনো অব্যাহত রাখি।

গীতিকার আল আমিন জমাদ্দার সবুজ বলেন, ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমার এই গানটা করা। যেদিন থেকে আমি গান লেখালেখি করি সেদিন থেকে স্বপ্ন দেখতাম কিংবদন্তী শিল্পীদের দিয়ে এমন কিছু গান করাবো। যে গানের মাধ্যমে শ্রোতারা বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক ম্যাসেজও পাবে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখন অবক্ষয় ঢুকে গেছে। বাবা মা কত স্বপ্ন, কত কষ্ট, কত আশা নিয়ে ছেলে মেয়েকে বড় করেন। অথচ কিছু সন্তান নামের কুলাঙ্গার তাদের বাবা মাকে শেষ জীবনে বোঝা মনে করে তাদের কাছে রাখতে চান না। তাদের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। অথচ তারা ভুলে যায় কদিন পর তারাও বাবা মা হবেন। তাদের সন্তানরা তাদের সাথে একই আচরণ করতে পারে। বাস্তবতার সেই নিরিখে আমার এ গানটি লিখেছি।

;

জীবনের সেরা অভিনয় উপহার দিলেন রবি কিষাণ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

  • Font increase
  • Font Decrease

‘টুয়েলভথ ফেল’ এর পর আবারও সর্বত্র আলোচনায় বলিউডের একটি কম বাজেটের ছবি! যদিও নতুন এই ছবিটি বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে গেল মার্চের ১ তারিখে। প্রায় দু’মাস পর নতুন করে আলোচনায় আসার অন্যতম কারণ, সম্প্রতি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে!

বলছি কিরণ রাও পরিচালিত এই সময়ের আলোচিত হিন্দি ছবি ‘লাপাতা লেডিস’ এর কথা। মাত্র ৪/৫ কোটি বাজেটের ছবিটি বক্স অফিসে আয় করেছে ২০ কোটির বেশী। ওটিটি রাইটস, টিভি রাইটস মিলিয়ে সেটা বাড়বে আরো কয়েক গুণ।

কিন্তু এতো কম বাজেটের ছবিটি কেন সবার মুখে মুখে? এরজন্য সিনেবিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো জটিলতা ছাড়া সহজভাবে একটি দারুণ গল্প দর্শককে দেখাতে পেরেছেন কিরন রাও। মূলত গল্পের শক্তিকেই বেশীর ভাগ ছবিটি নিয়ে সর্বত্র আলোচনার জন্য ক্রেডিট দিচ্ছেন!

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

গল্পের পাশাপাশি যদিও এই ছবির প্রধান এবং অন্যতম শক্তি বলা যায় অভিনয়! ছবিতে যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকেই কম পরিচিত, তবে এমন নিঁখুত অভিনয় করেছেন; মনে হয়েছে এই চরিত্রের মানুষগুলো পাশের বাড়ির! সবাইকে দর্শক সিনেপর্দায় দেখেও আপন করে নিয়েছেন। গল্প ও চরিত্রের সাথে সবাই মিশে গেছেন।

তবে এটা সত্য যে, এই ছবিতে একজন বেশ পরিচিত মুখও অভিনয় করেছেন। নাম রবি কিষাণ। ভারতীয় ছবির বেশ আলোচিত মুখই বলা যায়। ছবিতে লোকাল থানার বড় বাবুর চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। লোকাল থানার দায়িত্বে সাধারণত যে স্বভাবের দারোগা থাকে; ঠিক মানানসই চরিত্রটি করেছেন রবি কিষাণ। তার অভিনয় দেখে দর্শক বলছেন, এমন দুর্দান্ত অভিনয় রবি কিষাণ এর আগে করেননি। দুই পা এগিয়ে আবার কেউ বলছেন, ‘লাপাতা লেডিস’-এ জীবনের সেরা অভিনয় করেছেন রবি কিষাণ।

অথচ এই চরিত্রটি নাকি শুরু করতে চেয়েছিলেন পরিচালক কিরণ রাওয়ের প্রাক্তন স্বামী এবং বলিউডর সুপারস্টার আমির খান। যিনি আবার কম বাজেটের এই ছবিটির প্রযোজকও। এই চরিত্রটি নিয়ে কিরণ গণমাধ্যমকে বলছিলেন, আমির এই চরিত্রটি ভীষণ পছন্দ করেছিলেন। পর্দায় এই চরিত্রটি তিনি রূপদানও করতে চেয়েছিলেন। এমনকি স্ক্রিন টেস্টও হয়েছিলো তার। কিন্তু শেষমেষ তাকে বাদ দেয়া হয়। নেয়া হয় রবি কিষাণকে।

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

কিরণ বলেন, আমার এটা আসলে কম বাজেটের একটা ছবি। এটা রিয়েলেস্টিক রাখতে আমি বদ্ধপরিকর ছিলাম। সিনেমাটি দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরতে বড় তারকা মুখ ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, এটা ভেবে শেষ পর্যন্ত আমিরকে ওই চরিত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমিরের অডিশন খুব ভালো হয়েছিলো। কিন্তু রবি কিষাণেরটা আরো বেশী কিছু ছিলো। তার অডিশন দেখে আমির এবং আমি মনে করেছিলাম এই চরিত্রটিকে রবি কিষাণ আমিরের চেয়ে বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য রূপে পর্দায় তুলে ধরতে বেশী সক্ষম হবেন।

;

কানের মূল বিচারকের তালিকায় নারীর আধিপত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রধান তিন বিচারক গ্রেটা গারউইগ, লিলি গ্ল্যাডস্টোন ও এভা গ্রিন

প্রধান তিন বিচারক গ্রেটা গারউইগ, লিলি গ্ল্যাডস্টোন ও এভা গ্রিন

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল কানে ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত হবে এবারের উৎসব। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান ফ্রান্সে ফ্রান্স টেলিভিশন এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্রুট সরাসরি সম্প্রচার করবে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭তম আসরের মূল প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে নির্বাচিত হয়েছে ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র। এরমধ্যে কোনটি স্বর্ণপাম জিতবে সেটি নির্বাচনের গুরুদায়িত্ব সামলাবেন যারা, তাদের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। বিচারকদের প্রধান হিসেবে আগেই ‘বার্বি’র পরিচালক গ্রেটা গারউইগের নাম জানিয়ে রেখেছেন আয়োজকরা। এবার প্রকাশিত হলো তার নেতৃত্বাধীন প্যানেলের সদস্য তালিকা।

মূল প্রতিযোগিতার বিচারক থাকছেন ৯ জন। তাদের মধ্যে নারীই সংখ্যাগরিষ্ঠ। গ্রেটা গারউইগ তো আছেনই, এছাড়া আছেন আমেরিকান অভিনেত্রী লিলি গ্ল্যাডস্টোন, ফরাসি অভিনেত্রী এভা গ্রিন, লেবানিজ পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার নাদিন লাবাকি এবং তুর্কি চিত্রনাট্যকার ও আলোকচিত্রী এব্রু জেলান।

গত বছর কানে প্রতিযোগিতার বাইরে প্রদর্শিত মার্টিন স্করসেসির ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য লিলি গ্ল্যাডস্টোন আমেরিকার প্রথম আদিবাসী হিসেবে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এর আগে বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা। এবারের বিচারক প্যানেলে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য তিনিই।

কানের এবারের অফিশিয়াল পোস্টার

জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজের ‘ক্যাসিনো রয়েল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পান এভা গ্রিন। ৪৩ বছর বয়সী এই তারকার ঝুলিতে আরও আছে রিডলি স্কটের ‘কিংডম অব হ্যাভেন’, টিম বার্টনের ‘ডার্ক শ্যাডোস’, ‘মিস পেরেগ্রিনস হোম ফর পিকিউলিয়ার চিলড্রেন’ ও ‘ডাম্বো’, রোমান পোলানস্কির ‘বেজড অন অ্যা ট্রু স্টোরি’। এব্রু জেলান হলেন স্বর্ণপাম জয়ী ‘উইন্টার স্লিপ’ ছবির গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার। এটি পরিচালনা করেছেন তার স্বামী তুর্কি চলচ্চিত্রকার নুরি বিলগে জেলান।

এবারের আসরে পাঁচ নারীর পাশাপাশি মূল প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে আছেন স্বর্ণপাম জয়ী জাপানিজ পরিচালক হিরোকাজু কোরি-এদা, ইতালিয়ান অভিনেতা পিয়ারফ্রান্সেসকো ফাভিনো, স্প্যানিশ পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হুয়ান আন্তোনিও বায়োনা ও নেটফ্লিক্সের ‘লুপিন’ খ্যাত ফরাসি অভিনেতা-প্রযোজক ওমর সি।

কানাডিয়ান পরিচালক জেভিয়ার দোলানের নেতৃত্বে আঁ সাঁর্তে রিগা বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন মরক্কোর পরিচালক আজমেই এল মুদির, ফরাসি পরিচালক মাইমুনা দুকুরে, অভিনেত্রী ভিকি ক্রিপস, সমালোচক টড ম্যাকার্থি।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং শিক্ষার্থীদের বিভাগ সিনেফঁদাসোতে বেলজিয়ান অভিনেত্রী লুবনা আজাবালের নেতৃত্বে বিচারক হিসেবে কাজ করবেন সার্বিয়ান পরিচালক ভ্লাদিমির পেরিসিচ, ফরাসি পরিচালক ম্যারি-ক্যাস্টি মঁচো-শার, ফরাসি প্রযোজক ক্লদিন নুগারে, ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটের সাবেক পরিচালক পাওলো মোরেত্তি। ক্যামেরা দ’র পুরস্কারের প্রধান বিচারক ফরাসি অভিনেত্রী এমানুয়েল বেয়াঁ ও বেলজিয়ান-কঙ্গোলিজ সংগীতশিল্পী-নির্মাতা বালোজি।

বিচারকদের পুরো প্যানেল

মূল প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত ২২টি চলচ্চিত্র
* দ্য অ্যাপ্রেনটিস (আলি আব্বাসি, ইরান/ডেনমার্ক)
* মোটেল ডেস্টিনো (করিম আইনুজ, ব্রাজিল)
* বার্ড (আন্ড্রেয়া আর্নল্ড, যুক্তরাজ্য)
* এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
* আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
* মেগালোপলিস (ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, যুক্তরাষ্ট্র)
* দ্য শ্রাউডস (ডেভিড ক্রোনেনবার্গ, কানাডা)
* দ্য সাবস্ট্যান্স (কোরালি ফারজাঁ, ফ্রান্স)
* গ্র্যান্ড ট্যুর (মিগেল গোমেজ, পর্তুগাল)
* মার্সেলো মিয়ো (ক্রিস্তফ অনোরেঁ, ফ্রান্স)
* কট বাই দ্য টাইডস (জিয়া জ্যাং-কি, চীন)
* অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
* কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস (ইয়োর্গোস লানতিমোস, গ্রিস)
* বিটিং হার্টস (জিল ল্যুলুশ, ফ্রান্স)
* ওয়াইল্ড ডায়মন্ড (আগাত রিদাঁজে, প্রথম চলচ্চিত্র, ফ্রান্স)
* ওহ কানাডা (পল শ্রেডার, যুক্তরাষ্ট্র)
* লিমোনোভ–দ্য ব্যালাড (কিরিলি সেরেব্রেনিকোভ, রাশিয়া)
* পার্তেনোপ (পাওলো সরেন্তিনো, ইতালি)
* দ্য গার্ল উইথ দ্য নিডেল (মান্নেস ফন হোর্ন, সুইডেন)
* দ্য মোস্ট প্রেসাস অব কারগোজ (মিশেল অ্যাজানাভিসুস, ফ্রান্স)
* দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ)
* থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড (এমানুয়েল পারবু, রোমানিয়া)

 

;