অর্থ আত্মসাৎ ইস্যুতে মুখোমুখি অপূর্ব ও আলফা আই

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও শাহরিয়ার শাকিল

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও শাহরিয়ার শাকিল

টিভি নাটকের সুপারস্টার অপূর্বর বিরুদ্ধে উঠলো অর্থ আত্মসাৎ, চুক্তিভঙ্গ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ! শুনতে কিছুটা অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস।

এই ঘটনায় ফেসবুকে দারুণ আলোচনা হচ্ছে। দেশের জনপ্রিয় বেশ ক’জন তারকা অপূর্বর পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। তার সারসংক্ষেপ দাঁড়ায়. অপূর্বকে তারা দীর্ঘদিন ধরে চেনেন। তিনি টাকা আত্মসাৎ তো দূরের কথা, নিজের কমিটমেন্ট ভাঙারও মানুষ নন। তিনি বরং মানুষের বিপদে আপনে গোপনে পাশে দাঁড়ান।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, আলফা আইয়ের পক্ষেও অল্প বিস্তর লেখালেখি হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে আলফা আইকেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বেশি।

অর্থ আত্মসাৎ ইস্যুতে ফেসবুকে নির্মাতারা

গত ১১ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব) এবং অভিনয়শিল্পী সংঘের দফতরে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ অনুসারে, ২৪টি নাটকে অভিনয় করবেন, এই মর্মে আলফা আই স্টুডিওসের সঙ্গে ২০২২ সালের অক্টোবরে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন অপূর্ব। চুক্তি অনুযায়ী তাকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু ৯টি নাটকে কাজ করে দুই দফায় ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে আর কাজ করেননি অভিনেতা। এমনকি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন বলে লেখা রয়েছে অভিযোগপত্রে।

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব

চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই সবগুলো নাটকের কাজ শেষ করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। এরপর চলতি বছরের ১৯ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি শুটিং করবেন বলে কথা দেন। সেই মোতাবেক সব প্রস্তুতি নেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ে না আসায় বিপাকে পড়ে আলফা আই।

গোটা বিষয় নিয়ে গত ৩ মার্চ অপূর্বর বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ পাঠায় প্রতিষ্ঠানটি। সাত দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হলেও সাড়া দেননি অভিনেতা। তাই আদালত পর্যন্ত যাওয়ার আগে সাংগঠনিকভাবে বিষয়টির সুরাহা করতে টেলিপ্যাব ও অভিনয়শিল্পী সংঘের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল।

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব

প্রসঙ্গটি নিয়ে জানতে অপূর্বর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ভাষ্য, ‘বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে এবং আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (টেলিপাব) বিষয়টি নিয়ে অবগত; তারা যা বলার বলবেন। একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি, তাই এটা নিয়ে কোনও মন্তব্য বা কথা এই মুহূর্তে বলতে চাই না।’

তবে এটুকু যোগ করলেন, ‘আমাকে নিয়ে যে অভিযোগটি এসেছে তা মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও সন্মানহানিকর। আমি দীর্ঘদিনের সুপরিচিত একজন অভিনয়শিল্পী। অর্থ আত্মসাতের মতো নোংরা মিথ্যা অভিযোগে আমার মতো একজন শিল্পীকে জড়ানো হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
এদিকে টেলিপ্যাবের সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির জানিয়েছেন, তারা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। এবার দুই পক্ষকে ডেকে পুরো ঘটনা শুনবেন এবং সাংগঠনিকভাবেই এর সুরাহা করার চেষ্টা করবেন।

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব

অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘বিষয়টি আসলে এতটা জটিল না। এখন দুই পক্ষকে নিয়ে আমরা বসে যখন পুরো বিষয়টি নিয়ে শুনবো তখন বলতে পারব। দুজনেই বেশ বন্ধুসুলভ বলে জানি। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময়ই ভুল বুঝাবুঝি হয়। এখানেও বিষয়টা এরকমই মনে হচ্ছে।’