ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সন্ধ্যা ৭টায় প্রচারিত হয়েছে বিশেষ ব্যান্ড সংগীতের অনুষ্ঠান ‘মিউজিক্যাল এক্সপ্রেস’।
ব্যান্ড ‘চিরকুট’র একক পরিবেশনা
তিন দিনের এই আয়োজনে ঈদের দিন ছিল ব্যান্ড ‘চিরকুট’র একক পরিবেশনা। দ্বিতীয় দিন ‘অবসকিউর’, ‘নকশী কাঁথা’,‘বাউল এক্সপ্রেস’ ও ‘আর্বোভাইরাস’র পরিবেশনা।
বিজ্ঞাপন
ব্যান্ড ‘চিরকুট’র একক পরিবেশনা
তৃতীয় দিন গান পরিবেশনায় ছিল ‘জলের গান’। শাহজামান মিয়া ও নাসির উদ্দিনের প্রযোজনায় ‘মিউজিক্যাল এক্সপ্রেস’ উপস্থাপনা করেছেন কাজী মোমরেজ, শান্তা জাহান ও নাহিদ আফরোজ সুমী।
ভালোবাসা দিবসে গাঁটছড়া বাঁধলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও তারকা দম্পতি রাজ বাব্বর-স্মিতা পাতিলের ছেলে প্রতীক বাব্বর। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শুভ অনুষ্ঠান সারেন প্রতীক-প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় ।
গতকাল সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের বিয়ের নানা মুহূর্ত পোস্ট করে এই সুখবর জানান অভিনেতা। প্রিয়ার এটি প্রথম বিয়ে হলেও প্রতীকের দ্বিতীয়। ২০০৮ সালে ‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবির হাত ধরে বলিপাড়ায় পা রাখেন প্রতীক।
বিয়ের আসরে প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
২০১২ সালে ‘এক দিওয়ানা থা’ ছবির শুটিং করার সময় সহ-অভিনেত্রী অ্যামি জ্যাকসনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় প্রতীকের। সেই বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। তবে অ্যামির সঙ্গে সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি প্রতীকের। বলিপাড়ার গুঞ্জন, ছবি মুক্তির এক বছরের মধ্যেই সম্পর্কে ইতি টানেন অ্যামি এবং প্রতীক।
অ্যামির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বলিপাড়ার প্রযোজক সান্যা সাগরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রতীক। সান্যার পিতা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ দিন সম্পর্কে থাকার পর সান্যাকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে করেন প্রতীক। বিয়ের পরের বছরেই বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন তারা। ২০২০ সাল থেকে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আইনি বিচ্ছেদ হয় প্রতীক এবং সান্যার।
প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
বিবাহবিচ্ছেদের পর এক বছর পার হতে না হতেই আবার প্রেমে পড়েন প্রতীক। বাঙালি কন্যা প্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সম্প্রতি ‘চালচিত্র’ নামের বাংলা ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে প্রিয়াকে। প্রতীক এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, ২০২২ সাল থেকে প্রিয়াকে চেনেন তিনি। অভিনেতার এক বন্ধুর মাধ্যমেই প্রিয়ার সঙ্গে তার আলাপ হয়। এক বছর গোপনে প্রেম করার পর তারা সম্পর্কের কথা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৯০ সালে ১৬ এপ্রিল কলকাতার এক বাঙালি পরিবারে জন্ম প্রিয়ার। কলকাতা থেকে তার পরিবার কানাডায় চলে যায়। কানাডার আলবের্তার বাসিন্দা তিনি। প্রিয়ার জন্ম সে দেশেই। কানাডা থেকে স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন প্রিয়া। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং এবং কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে স্নাতক হন তিনি। ছয় বছর ধরে কত্থকের প্রশিক্ষণ নেন প্রিয়া। কানাডার বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠানও করেছেন তিনি। নৃত্যের পাশাপাশি রবীন্দ্রসঙ্গীতেও পারদর্শী প্রিয়া।
প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
২০১১ সালে কানাডার একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন প্রিয়া। দর্শকের কাছে বহুল প্রশংসা পান তিনি। তার এক বছর পর মুম্বই যান প্রিয়া। বলি অভিনেতা অনুপম খেরের কাছে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন প্রিয়া। প্রশিক্ষণ চলাকালীন পরিণীতি চোপড়া এবং বরুণ ধবনের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার সুযোগও পান তিনি।
২০১৩ সালে বড় পর্দায় কাজ শুরু করেন প্রিয়া। ‘কিস’ নামের একটি তেলুগু ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। তার পরের বছর ‘জোরু’ এবং ‘অসুরা’ নামের আরও দু’টি তেলুগু ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০১৫ সালে বলিপাড়ায় পদার্পণ করেন প্রিয়া। ‘জাজবা’ ছবিতে অভিনয় করে হিন্দি চলচ্চিত্রজগতে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম হিন্দি ছবিতে ঐশ্বরিয়া রাই-ইরফান খানের মতো তারকার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন প্রিয়া।
বিয়ের আসরে প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
তারপর ‘বার বার দেখো’, ‘২০১৬ দ্য এন্ড’, ‘দিল যো না কহে সকা’, ‘সোশ্যাল’ এবং ‘রেন’ নামের একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় প্রিয়াকে। বড়পর্দার পাশাপাশি ওটিটির পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পান প্রিয়া। ‘বারিশ’, ‘হ্যালো মিনি’ এবং ‘টুইস্টেড ৩’-এর মতো একাধিক হিন্দি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন তিনি।
নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রানা নাইডু’ ওয়েব সিরিজে রানা দগ্গুবতী, ভেঙ্কটেশ দগ্গুবতী, সুরভিন চাওলার মতো তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন প্রিয়া। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অধুরা’ নামের হরর ঘরানার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে।
প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রিয়া এবং প্রতীক দু’জনের নাম এবং পদবির আদ্যক্ষর যথাক্রমে পি এবং বি। ‘পিবি’ লিখেই অভিনেত্রী তার কাঁধে ট্যাটু করিয়েছেন। সামনে লাল রং দিয়ে ভালবাসার উল্কি আঁকা রয়েছে। অন্য দিকে আঁকা ‘ইনফাইনাইট’ চিহ্ন। একই রকম ট্যাটু হাতে আঁকিয়েছিলেন প্রতীক।
বিয়ের আসরে প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
মডেলিং, অভিনয়, উপস্থাপনার পাশাপাশি পিয়া জান্নাতুল পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। এতোদিন ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কাজ করলেও এবার নিজের জন্যই সহকারী খুঁজছেন পিয়া।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজের জন্য ব্যক্তিগত সহকারী চেয়ে একটি জব সার্কুলার (চাকরির বিজ্ঞাপন) দেন পিয়া। সেখানে নিজের প্রত্যাশা কেমন ও আবেনকারীদের যোগ্যতা কেমন হবে- সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি। পোস্টে পিয়া লেখেন, ‘আমি একজন অত্যন্ত উৎসাহী ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে যোগদানের জন্য খুঁজছি। যিনি আমার সঙ্গে অফিসে এবং বাইরে- উভয়দিকেই কাজে সহযোগিতা করতে আগ্রহী থাকবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে এবং কাজ সম্পর্কিত আমার সাথে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
পিয়া জান্নাতুল । ছবি: মোমেন্টওয়ালা
নিজের পোস্টে ই-মেইল অ্যাড্রেসটিও যোগ করে দেন পিয়া। আর সেখানে আবেদন করতে থাকেন আগ্রহীরা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায়ে খানিকটা বিব্রত প্রকাশ করেন পিয়া জান্নাতুল। কারণ, সেই পোস্টে চাকরি প্রত্যাশীদের আগ্রহ ছিল তুলনামূলক বেশি।
পিয়ার দাবি, অনেকে বেশিই উৎসাহ প্রকাশ করছেন যা অপ্রয়োজনীয়। তাদের উদ্দেশ্যে বিনীত অনুরোধও রাখেন পিয়া। তিনি পোস্টের মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘অনুগ্রহ করে আপনার কাজের বিবরণটি বুঝুন। আপনি যদি ঢাকা বা দেশের বাইরে থাকেন, তাহলে আবেদন পাঠাবেন না। ১৫ মিনিটে ১০০ আবেদন পেয়েছি। দয়া করে আপনার ও আমার- উভয়েরই সময় নষ্ট করবেন না।’
পিয়া জান্নাতুল । ছবি: মোমেন্টওয়ালা
২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে মডেলিংয়ে যাত্রা শুরু করেন পিয়া। এরপর ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা এবং মিশরে ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন তিনি।
তারপর ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে ‘সুজানা’ চরিত্রে অভিনয় করে হন প্রশংসিত। সে বছরই শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘আবার হাসিমুখ’ গানের মিউজিক ভিডিওতে তাকে দেখতে পাওয়া যায়। পরে ২০১৫ সালে তিনি একই সঙ্গে বেশ কটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’। এর মধ্যেই লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিস থেকে আইন বিভাগে স্নাতক শেষ করেন পিয়া। বর্তমানে উচ্চ আদালতে আইনজীবী পেশাতে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।
পিয়া জান্নাতুল । ছবি: মোমেন্টওয়ালা
'আমি বাংলায় গান গাই’খ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়
বিনোদন
কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার মৃত্যুর বিষয়টি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি ২৪ ঘণ্টা নিশ্চিত করেছে।
৮৩ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পীর অন্ত্রের অপারেশনের পর হার্ট অ্যাটাক হয়। মৃত্যুর আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
বছরের শুরুতেই জানা গিয়েছিল, গুরুতর অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির পর প্রতুলকে পরীক্ষা করে দেখেন স্নায়ু এবং নাক-কান-গলার (ইএনটি) বিশেষজ্ঞরা। হাসপাতালে গিয়ে শিল্পীর সঙ্গে দেখা করেন কলকাতার মুখ্যমন্ত্রীও। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অস্ত্রোপচারের পর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন প্রতুল। এরপর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। সঙ্গে আবার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে ওঠে। একটা পর্যায়ে সংজ্ঞাহীন হন এই সংগীতশিল্পী।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়
দ্রুত অবনতি হতে থাকে শারীরিক অবস্থার। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের ফলে পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত গায়ক। সোমবার তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
কয়েকদিন আগেও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলার গান গাই’ গেয়ে শোনান প্রবীণ গায়ক। কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে তার আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কারণ, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে গায়কের। তড়িঘড়ি কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখানেই ধরা পড়ে, ফুসফুসেও প্রবল সংক্রমণ রয়েছে। তবে সেই সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া না ভাইরাসের জেরে, নাকি মিশ্র গোত্রের, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কড়া অ্যান্টিবায়োটিক চললেও তাতে সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না প্রতুল।
এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালে প্রতুল মুখোপাধ্যায়
১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দেশভাগের সময় সপরিবার ভারতে পাড়ি জমান তিনি। ছোটবেলা থেকেই নিজের লেখা গানে সুর দিতেন। তার অনেক সৃষ্টির মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি বিশেষভাবে সমাদৃত। গানটি ২০১১ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়।
উল্লেখ্য, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮), ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪), ‘ওঠো হে’ (১৯৯৪), ‘কুট্টুস কাট্টুস’ (১৯৯৭), ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ (২০০০), ‘তোমাকে দেখেছিলাম’ (২০০০), ‘স্বপনপুরে’ (২০০২), ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’ (২০০৪), ‘হযবরল’ (২০০৪), ‘দুই কানুর উপাখ্যান’ (২০০৫), ‘আঁধার নামে’ (২০০৭)। বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের মার্চে। অ্যালবামটির নাম ‘আমি বাংলায় গান গাই’।
‘জলে জ্বলে তারা’য় আমার আলাদা অভিনয় দেখবে দর্শক: মিথিলা
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
|
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা । ছবি: বার্তা২৪.কম
বিনোদন
গতকাল শুক্রবার ভালোবাসা দিবস ও পহেল ফাল্গুন উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বহু জনপ্রিয় নাটকের নির্মাতা অরুণ চৌধুরী পরিচালিত সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’। ছবিটির নাম ভূমিকা অর্থাৎ ‘তারা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
গতকালই দর্শকের সঙ্গে বসে নিজের অভিনীত সিনেমাটি দেখেছেন এই তারকা। ছবি দেখে তিনি আরও বেশি আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বলে জানালেন বার্তা২৪.কমকে।
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা । ছবি: বার্তা২৪.কম
মিথিলা বলেন, ‘‘গল্পটি শুনেই খুব ভালো লেগেছিলো। তাই আমার বিভিন্ন মাধ্যমের ব্যস্ততার মধ্যেও টানা সময় বের করে শুটিং শেষ করি। ডাবিং করার সময় ছবিটি দেখে আমার বেশ ভালো লাগে। মনে হয়েছিলো- যে চিন্তা নিয়ে কাজটি করেছিলাম, পরিচালক আমাকে নিরাশ করেননি। কিন্তু ছবিটির সম্পূর্ণ এডিটিং, কালার কারেকশন, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যুক্ত হবার পর আমি আর দেখার সুযোগ পাইনি। গতকালই দর্শকের সঙ্গে সিনেমা হলে বসে ছবিটি দেখেছি। আর দেখার পর আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। আমার প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে ছবিটি। এটি প্রকৃত অর্থেই খুব ভালো ছবি হয়েছে। আমি আমার সকল ভক্ত দর্শককে বলবো, আপনার প্রিয়জনদের নিয়ে হলে এসে ছবিটি দেখুন। আশা করি আপনাদের দারুণ সময় কাটবে।’’
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা । ছবি: বার্তা২৪.কম
মিথিলা বার্তা২৪.কমকে আরও বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমার অভিনীত কাজগুলোর মধ্যে যে চরিত্রগুলো বেশি আলোচিত হয়েছে এই ছবিটি সেগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’ কিংবা ‘কাজলরেখা’তে আমার চরিত্র ছিলো মানসিকভাবে খুবই জটিল প্রকৃতির। কিন্তু ‘জলে জ্বলে তারা’র ‘তারা’ চরিত্রটির মনের ভেতরে কোন জটিলতা নেই। সে শুধু একটু ভালোবাসা চায়, খুব অল্পকিছুতেই সে তুষ্ট। একটু শান্তিতে বাঁচতে চায় শুধু। তবে মেয়েটির জীবনটা অতো সহজ নয়, পদে পদে বাধা। তাকে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ফলে এই চরিত্রটিতে আমার অভিনয় একেবারেই আলাদা। দর্শক আমার আগের কোন কাজের সঙ্গে এই ছবির অভিনয়ের মিল খুঁজে পাবেন না।’’
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা । ছবি: বার্তা২৪.কম
ছবিটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘অভিনয় যেহেতু আমার মূল পেশা নয়, তাই যখনই অভিনয় করি সেই কাজটি হতে হয় এক্সাইটিং। কারণ অভিনয়ের জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করে সময় বের করতে হয়। সেই সময়টুকু যেন বৃথা না যায় সেই চিন্তা সব সময় মাথায় থাকে। ফলে কোন কাজ করতে গেলে তার গল্প, চরিত্র, নির্মাতা- সবকিছু দেখেশুনেই করি। এই ছবির গল্পটি যখন শুনি তখনই খুব ভালো লেগেছিলো। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র মানে তাকে ঘিরেই গল্প, কিন্তু সেটি হলেই যে একটি চরিত্র দুর্দান্ত হবে সেটি বলার সুযোগ নেই। কিন্তু এই ছবির গল্পটি সত্যি দারুণ। আমার চরিত্রের অনেক বাঁক রয়েছে। একটি সার্কাস দলের মেয়ের গল্প ‘জলে জ¦লে তারা’। মেয়েটিকে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তার জীবন দারুণ ঘটনাবহুল। অভিনয় করার অনেক জায়গা রয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি নিজের কমফোর্ট জোন ভেঙে চরিত্রটিতে নতুন আমেজ দিতে। আমার নিজের কাছে সেই প্রচেষ্টা সফল মনে হয়েছে। এখন দর্শক ছবিটি দেখার পর যদি তাদেরও ভালোলাগে তবে নিজেকে সার্থক মনে হবে।’
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা । ছবি: বার্তা২৪.কম
ছবিটির গল্প লিখেছেন ইফফাত আরা মাহমুদ। মিথিলা ছাড়াও ছবিটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন এফএস নাঈম, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, ফজলুর রহমান বাবু, আজাদ আবুল কালাম, মুনিরা মিঠু, শাহেদ আলী প্রমূখ।