মা হারালেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন। ১৭ই এপ্রিল সকালে তার মা আবিদা মনসুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া---- রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি তিন মেয়ে, এক ছেলে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বেবি নাজনীনের পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার বাদ জোহর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ১৬ই এপ্রিল বেবী নাজনীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পেশাগত কারণে জাপান রওনা হয়েছেন। সেখান থেকে মায়ের চলে যাওয়ার খবর পেয়েছেন। দ্রুতই ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে তার। মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
তরুণ সংগীতশিল্পী শেখ সাদী সম্প্রতি গানের চেয়ে তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশি চর্চায় আছেন। আবারও একই কারণে আলোচনায় উঠে এসেছেন এই গায়ক। আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে তার সময় কাটানো ও সেসব মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেরাই প্রকাশ করার জন্যই মূলত এই চর্চার সূচনা। অনেকে মনে করছেন, সাদী তার উঠতি ক্যারিয়ারকে আরও চাঙ্গা করতে ইচ্ছে করেই পরীর সঙ্গে গুঞ্জনের জন্ম দিচ্ছেন।
তবে তিনি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এরইমধ্যে আবারও তিনি পরীমণি’কে পরোক্ষভাবে নিয়ে এসেছেন তার পোস্টে।
শেখ সাদী । ছবি: ফেসবুক
আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) শেখ সাদী তার ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, I don’t like girls anymore. I deserve Pori.
সাদীর দেওয়া স্ট্যাটাসকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই ধারণা করছেন, এখানে ‘Pori’ বলতে তিনি সরাসরি অভিনেত্রী পরীমণির কথাই বলেছেন। তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এটি শুধুই কাকতালীয় বা ‘পরী’ বলতে তিনি আদর্শ প্রেমিকার কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।
পরীমণি । ছবি: ফেসবুক
তার এই স্ট্যাটাসের কমেন্ট সেকশনে অনেকেই সরাসরি পরীমণির নাম উল্লেখ করেছেন এবং তাদের সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও সাদী বা পরীমণি কেউই এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি।
গেল মাসে (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় শেখ সাদী বলেন, আমার যত সাংবাদিক ভাই-বোন আছেন, অনুরোধ করছি আপনারা মনগড়া নিউজ বানাবেন না। ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। সুতরাং এটা নিয়ে জোর করে ইস্যু ক্রিয়েট করবেন না।
শেখ সাদী । ছবি: ফেসবুক
শেখ সাদী বলেন, অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় রয়েছে, তাদের সঙ্গে নরমাল কনভার্সেশন করায় সেগুলো ভুল ব্যাখ্যা আসছে। প্লিজ আপনারা এটা না করলে আমার ভালো হবে। এই বিষয় যেসব কথা হচ্ছে এতে আমি ব্যক্তিগতভাবে ইতস্ততবোধ করছি। দেশে আরও গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে, নিউজ করলে সেইসব বিষয়ে করা উচিত।
পরীমণির সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে শেখ সাদী বলেন, একই অঙ্গনে দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে পরীমণির সঙ্গে আগেই পরিচয় ছিল। পেশাগত কারণে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। মাঝেমধ্যে দেখা ও কথাবার্তাও হয়; এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার তো কিছু দেখি না।
‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’ ধারাবাহিকে শরাফ আহমেদ জীবন, মায়মুনা মম ও সালাহউদ্দিন লাভলু
বিনোদন
আগামীকাল থেকে বৈশাখী টিভি পর্দায় শুরু হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, সালাহউদ্দিন লাভলু, আশীষ খন্দকার, শরাফ আহমেদ জীবন, শ্যামল মাওলা, সেমন্তী সৌমি, মায়মুনা মম, একে আজাদ সেতু, শতাব্দী ওয়াদুদ, শবনম পারভীন, মাহমুদুল ইসলাম মিঠুসহ আরো অনেকে।
বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের গল্পে নাটকটি নির্মাণ করেছেন রুমান রুনি।
‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’ ধারাবাহিকের পোস্টার
গল্পকার টিপু আলম মিলন বলেন, ‘‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’ ধারাবাহিকটি মূলত সমাজ সচেতনতার এক আখ্যান। একটা সময় গ্রামের মানুষগুলো প্রকৃতির মতই সহজ সরল ছিলো, অন্যদিকে শহরের মানুষগুলোও তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দিন দিন নিজেদের আবেগ অনুভূতির জায়গাটা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু বর্তমানে শহরের সভ্যতায় গ্রামকে সাজাতে গিয়ে বিলিন হয়ে যাচ্ছে সহজ সরল মানুষগুলোর সহজ সরল জীবন-যাপনের সবকিছু। যে কারণে, গ্রামের সহজ সরল মানুষের আনন্দ-বেদনার কাব্য যেমন ফুটে উঠেছে এ নাটকে তেমনি চিত্রায়িত হয়েছে ইট পাথরে গড়ে ওঠা মানুষের বাস্তব চিত্র। যাদের হৃদয় যেন আজ পাথরের মতোই শক্ত। গ্রামে-গঞ্জ-শহরে একই চিত্র। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, অসংগতি আর বৈষম্য সমাজ তথা রাষ্ট্র উন্নয়নে দারুণ অন্তরায়। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এ নাটকের কিছু মানুষ এগিয়ে আসে। কেউ সফল হয় কেউ হয় না। কিন্তু তাদের সংগ্রাম থেমে থাকে না, নিয়ত এগিয়ে চলে সামনের দিকে। বরাবরের মতো আমার এ গল্পের নাটকটিও দর্শকেরও ভালো লাগবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
টিপু আলম মিলন
ধারাবাহিকটি প্রচার হবে প্রতি সপ্তাহে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৯.২০ মিনিটে। বৈশাখী টিভি ইনহাউজ প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত নাটকটি ইউসুফ আলী খোকনের চিত্রনাট্যে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আছেন বৈশাখী টিভির ডেপুটি হেড অব প্রোগ্রাম লিটু সোলায়মান।
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছে হলিউডের জনপ্রিয় স্পাই-অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘মিশন ইম্পসিবল’ দীর্ঘ। এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে সিরিজের সাতটি কিস্তি। এখন অপেক্ষা চলছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন ইম্পসিবল: ডেড রেকনিং পার্ট ২’ মুক্তির। সিনেমাটি আগামী ২৩ মে প্রেক্ষাগৃহে আসার কথা রয়েছে। এবারও শ্বাসরুদ্ধকর মিশন নিয়ে ফিরছেন টম ক্রুজ। তবে গুঞ্জন উঠেছে, এই কিস্তিই হতে পারে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ অভিযান!
সম্প্রতি টম ক্রুজ ও পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি এ বিষয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে ফ্র্যাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা-কল্পনার কথা তুলে ধরেন তারা। যদিও কেউই গুঞ্জনের কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর দেননি, তবুও দুজনেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ‘দ্য ফাইনাল রিকনিং’ ইথান হান্টের গল্পের একটি চূড়ান্ত অধ্যায় হিসাবে তৈরি হয়েছে। অষ্টম কিস্তি প্রসঙ্গে ক্রুজ বলেছেন, ‘আপনাকে সিনেমাটি দেখতে হবে। এ মুহূর্তে এটি নিয়ে আলোচনা করা আমার পক্ষে কঠিন। কারণ, এটি আসলে এমন কিছু যা আপনাকে অনুভব করতে হবে।’
ছবি: আইএমডিবি
আর পরিচালক ম্যাককোয়ারি বলেন, ‘আমি আশা করি, এটি ৩০ বছরের গল্পের সন্তোষজনক উপসংহার। আমি মোটামুটি নিশ্চিত, দর্শক মনে করবে সিনেমার নামটি উপযুক্ত ছিল।’
এবারের মিশন টম ক্রুজের শেষ মিশন হতে যাচ্ছে এমন ধারনার অন্যতম কারণ ‘ডেড রেকনিং পার্ট টু’র নাম বদলে ‘ফাইনাল রেকনিং’ রাখা। এছাড়া টম ক্রুজের বয়সও একটা বড় বিষয়। আরো দুই তিন বছর পর এখনকার মতো স্টান্ট করা সম্ভব হবে না তার পক্ষে।
‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর মধ্য দিয়ে আবারো পরিচালকের আসনে থাকছেন ক্রিস্টোফার ম্যাকুয়ের। তার প্রতিই ভরসা রেখেছে প্যারামাউন্ট ও স্কাইডান্স।
সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল গত বছরই। কিন্তু ব্যবসা, শুটিং ও নানা জটিলতার কারণে এটি পেছানো হয়। এখন মুক্তির তারিখ ঠিক করা হয়েছে এ বছরের ২৩ মে।
‘মিশন ইম্পসিবল: ডেড রেকনিং পার্ট ২’র দৃশ্যে টম ক্রুজ । ছবি: আইএমডিবি
প্রায় দুই বছর হতে চললো দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর কোন নতুন কাজ দেখতে পাচ্ছে না দর্শক। নিজের প্রথম সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে হইচই ফেলে দেওয়ার পর এতো লম্বা বিরতি আশা করেনি ভক্তরা।
খুশির খবর হলো, আর কিছুদিনের অপেক্ষা। আসছে ঈদুল ফিতরে দেখা যাবে এই অভিনেতার নতুন সিনেমা ‘দাগি’। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় ছবিটিতে অভিনয় আরও অভিনয় করেছেন তমা মির্জা ও সুনেরাহ বিনতে কামাল।
আফরান নিশো । ছবি: শেখ সাদী
প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে প্রচুর টিভি নাটকে কাজ করেছেন, গত কয়েক বছরে তাকে ওটিটিতে দেখা গেছে ‘রেডরাম’, ‘কাইজার’ বা ‘সিন্ডিকেট’-এর মতো প্রশংসিত কাজে। হঠাৎই কাজ থেকে বিরতি নিলে কি মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়? নিশো স্বীকার করলেন, তিনি অভিনয়কে মিস করেন।
সঙ্গে এ-ও বললেন, ‘নাটক করার সময়টা খুব হার্ড লাইফ। একটা নাটক দুই দিনে শুট হতো। আমি সব সময় চাইতাম আরাম করে কাজ করতে। ওটিটি বা সিনেমার ক্ষেত্রে সময় পাওয়া যায়। এর মধ্যে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের কাজে যুক্ত হয়েছি। কিন্তু হ্যাঁ, নাটক, ওটিটি, সিনেমার কাজ করা হচ্ছে না, সেটা আমি মিস করি। কিন্তু এমন না যে আমি কাজের মধ্যে নেই। বসে থাকাটাও আমি একটা কাজের মধ্যেই ধরি। বসে থেকে ভাবি, পড়ি কিছু, আমার ব্যক্তিত্বটাই এ রকম যে যখন কোনো কাজ নেই, তখনো কিছু কাজ বের করে তার মধ্যে বুঁদ হয়ে থাকি। সেটা হতে পারে বই, সেটা হতে পারে আমার গাড়ি। আমি সময়-সময় একটা অভিজ্ঞতার মধ্যে থাকি, তাই আমার বিরক্ত লাগে না। তা ছাড়া পরিবারকে সময় দিই।’
আফরান নিশো । ছবি: শেখ সাদী
এতোদিন পর্দায় না থাকা নিয়ে নিশো আরও বলেন, ‘আমি তো লুকিয়ে ছিলাম না, সবার সামনেই ছিলাম। সিনেমা নিয়ে আমার নিজস্ব একটা ভাবনা আছে। নির্দিষ্ট সময়ে আমি আমার দর্শকের সামনে আসতে চাই। সবকিছুই যে আগে থেকে তাদের জানিয়ে দিতে হবে, আমি সেটা বিশ্বাস করি না।’
নিশোর ভাষ্য, ‘‘আমার কাছে সময়ের কোনো অভাব নেই। ক্যারিয়ার শুরুর ২৩-২৪ বছর পর সিনেমায় নাম লেখালাম। সেখানেও তাড়াহুড়া ছিল না। প্রথম সিনেমা আসার পর পরবর্তী সিনেমা কী হবে, সেটার পরিকল্পনা চলছিল। গল্প আসছে, বাজেট মিলছে তো মিলছে না, আরও অনেক গল্প পড়ছি। সেখান থেকে আমার সেরার সেরাটাই বেছে নেওয়া উচিত। সেই জায়গা থেকে একাধিক সিনেমার মধ্যে এটা একটা ‘দাগি’। এটা এমন না নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলাম, এটা হলো সঠিক সময়ে সঠিক তথ্যটা দর্শকের কাছে পৌঁছানো। এটা অনেক সময় আমি সেট করি, অনেক সময় টিম সেট করে। এ সিনেমাটি যে করছি সেটা অনেক আগে চূড়ান্ত হয়েছিল।’
আফরান নিশো । ছবি: শেখ সাদী