এ কেমন প্রামাণ্যচিত্র উৎসব!



আশরাফুল ইসলাম পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
উৎসবের আমন্ত্রণপত্র। ছবি: সংগৃহীত

উৎসবের আমন্ত্রণপত্র। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজনে ‘১২তম লিবারেশন ডক্ ফেস্ট বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৫ দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসবের শেষ দিন ছিল সোমবার। ঘোষিত অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী এ দিন নির্বাচিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী শুরুর কথা ছিল বেলা ১১টায়। 

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মিলনায়তনে এ প্রদর্শনী দেখতে এই প্রতিবেদক সকাল পৌনে ১১টায় জাদুঘর প্রাঙ্গনে পৌছে দেখতে পান কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া সেখানে কেউ নেই। তবে জাদুঘর ভবনের দেওয়ালে বেমানানভাবে পেচিয়ে থাকা এ সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত কয়েকটি হ্যাংগিং ব্যানার উৎসবের দৈন্যতাকেই যেন জানান দিচ্ছিল।   

নিরাপত্তাকর্মীদের কাছ থেকে উৎসব সম্পর্কিত কোন আপডেট না পেয়ে জাদুঘর সচিবালয়ে গিয়ে ফারহাত নামে দায়িত্বরত একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি উৎসব সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। ফারহাত জানান, বেলা ১১টায় উৎসবের পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী তথ্যচিত্র প্রদর্শনী শুরু হবে।  

মিলনায়তনে গিয়ে দেখা যায়, ফাঁকা মিলনায়তনটিতে শুধুমাত্র একজন কর্মী প্রজেক্টরে প্রদর্শনের জন্য তথ্যচিত্র চালিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। কিছুক্ষণ বসে অপেক্ষার পর মৃন্ময় ব্যানার্জী নামে কলকাতা থেকে আসা একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা উপস্থিত হন সেখানে। তিনি জানালেন, তাঁর তথ্যচিত্র এই উৎসবে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে এবং ইমেইল ও ফোন করে তাকে উৎসবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বেলা ১১টার কিছু পরে কোন দর্শনার্থীর উপস্থিতি এবং ঘোষণা ছাড়াই মৃন্ময় ব্যানার্জীর ‘বিপ্লবের ধ্বজা হাতে যাঁরা এনে দিল স্বাধীনতা’ শীর্ষক তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন শুরু করেন ওই জাদুঘর কর্মী।

৪০ মিনিট দীর্ঘের এই তথ্যচিত্র প্রদর্শন শেষ হলে ফাঁকা মিলনায়তনে এক শুভানুধ্যায়ী নিয়ে নিজের নির্মাণ করা তথ্যচিত্র দেখতে আসা মৃন্ময় হতাশা ব্যক্ত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কোন দর্শনার্থী যদি এই এটি না-ই দেখলো তবে তা আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব নাম দিয়ে এখানে প্রদর্শনের কি গুরুত্ব থাকতে পারে! এমন উৎসবে আমন্ত্রণ জানানোরইবা কি প্রয়োজন ছিল?’

তরুণ এই নির্মাতা বলেন, ‘উৎসবে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ইমেইল করা হয়, তাতে আমার টিমের জন্য ২টি পাশ ইস্যু করার কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞেস করলে কেউই এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি দায়বদ্ধ থেকেই সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যয়ে এই তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছি। আগ্রহীরা যদি দেখতেই না পারলো তবে এ এধরণের আয়োজনে অংশগ্রহণ অর্থহীন।’

তিনি বলেন, ‘হয়তোবা আয়োজকরা এই উৎসব সম্পর্কে আগ্রহীদের কাছে তথ্য পৌছে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও প্রকৃত অনুরাগীরা এই ধরণের আয়োজনে সব বাধা উপেক্ষা করেও ছুটে আসেন-অতীত অভিজ্ঞতা থেকে তা দেখে এসেছি আমরা।’  

নির্মাতা মৃন্ময় ব্যানার্জীর তথ্যচিত্র দেখতে আসা বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া জাদুঘর মিলনায়তনটি প্রদর্শনীর জন্য উপযোগি ছিল না বলে অভিযোগ করে বলেন, ‘মিলনায়তনে আধঘন্টার মতো বসে থেকে বুঝতে পারছি প্রদর্শনের আগে এটিতে স্বাভাবিক পরিচ্ছন্নতার কাজটিও করেননি জাদুঘর কর্মীরা। রীতিমতো দুর্গন্ধ পাচ্ছিলাম, এয়ারফ্রেশনার ব্যবহার করে একটি প্রেক্ষাগৃহকে যেভাবে প্রস্তুত করা হয়, এখানে তা করা হয়নি।’

এ রকম মিলনায়তনে এসে যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলেও মন্তব্য করেন এই বক্ষব্যাধি চিকিৎসক।  


মিলনায়তন থেকে বেরিয়েই জাদুঘর অভ্যন্তরে বিশ-পচিশজন স্বেচ্ছাসেবককে খোশগল্প করতে দেখা যায়। তাদের কেউই মিলনায়তনে কেন গেলেন না জানতে চাইলে-তারা কথা বলতে রাজি হননি। উৎসব সমন্বয়ে থাকা ফারহাতের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি দাবদাহের কারণে দর্শনার্থী না থাকার দায় এড়ান। তবে উৎসব সংশ্লিষ্ট জাদুঘর কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও কেন প্রদর্শনীতে থাকলেন না-এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দেননি তিনিও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাদুঘরের এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘১২তম লিবারেশন ডক ফেস্ট বাংলাদেশ’ এর উদ্বোধন ও সমাপনী আয়োজনে কিছু অতিথি ও দর্শনার্থী ছাড়া এবারের আয়োজনে উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। গত ১৮ এপ্রিল জাদুঘর মিলনায়তনে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।

২০০৬ সাল থেকে প্রামাণ্য চিত্র উৎসব শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এই উৎসবে বিশ্বের খ্যাতিমান নির্মাতাগণ তাদের তথ্যচিত্র নিয়ে অংশ নিয়ে এই উৎসবের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত জুরি বোর্ডের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেরা তথ্যচিত্র নির্মাতাদের পুরষ্কৃতও করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এবার এই উৎসব আয়োজনে সেই ঐতিহ্যিক পরম্পরা বজায় রাখতে পারেনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর- এমন অভিযোগ তথ্যচিত্র নির্মাতাদের।  

   

শুভ’র ফেরার ছবি ‘নীলচক্র’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরিফিন শুভ ও ‘নীলচক্র’ ছবির পোস্টার

আরিফিন শুভ ও ‘নীলচক্র’ ছবির পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

গত তিন বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নিয়েই ছিলেন আরিফিন শুভ। সেই সিনেমায় সফলতাও পেয়েছেন নায়ক। এবার নতুন সিনেমার পালা। সে খবরও প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

তার নতুন ছবি ‘নীলচক্র’। আজ (৩ মে) ছুটির দিনে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করলেন নতুন সিনেমার ফার্স্টলুক পোস্টার। প্রকাশিত ওই পোস্টারে দেখা গেছে, তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন শুভ। সেটা আছেন লম্বা চুলের একজনের মাথায়।

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে আরিফিন শুভ

নতুন সিনেমা নিয়ে শুভ বলেন, নীলচক্র কি নীল হবে না রক্তের রঙ লাল হবে, সেটা দেখার অপেক্ষায়। শিগগিরই আসছে নীলচক্র। যদিও সিনেমাটি কবে মুক্তি পাচ্ছে সে সব পরিষ্কার করা হয়নি এই পোস্টে।

নীরবেই কাজ করতে ভালোবাসেন শুভ। তাইতো গত বছর শুটিং শুরুর আগে নতুন সিনেমার খবর দিলেও আর বেশি কিছু বলেননি এই অভিনেতা।

২০২৩-এর নভেম্বরে চরকি জানায় এই ছবিটি দ্রুতই আসবে। কিন্তু তা এখনো আসেনি

ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিত ও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মিঠু খান। যৌথভাবে এর চিত্রনাট্য ও কাহিনি বিন্যাস করেছেন নাজিম উদ দৌলা ও মিঠু খান।

সিনেমায় আরিফিন শুভ ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, ডলার প্রমুখ।

;

কানে একবারই এসেছিলেন মেরিল! এবার পাচ্ছেন স্বর্ণপাম, চমক থাকছে আরও



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

তিনবার অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপকে এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবের সম্মানসূচক স্বর্ণপাম দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, এবারের কানে আরও চমক রয়েছে এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে ঘিরে।

কারণ, ৭৭তম কানের আসর উদ্বোধন করবেন মেরিল। ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল কানের পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে আগামী ১৪ মে এই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।

অস্কার হাতে মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মেরিল কান উৎসবে মাত্র একবারই পা রেখেছিলেন। এটা ভাবা যায়! যে অভিনেত্রী হলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন তাকে মাত্র একবার পেয়েছে কান উৎসব!

১৯৮৯ সালে কানের ৪২তম আসরে ‘এভিল অ্যাঞ্জেলস’ চলচ্চিত্রের সুবাদে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন তিনি। এতে নিজের শিশুসন্তান হত্যার জন্য অভিযুক্ত মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। একই কাজের জন্য অস্কারে সেরা অভিনেত্রী বিভাগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।

১৯৮৯ সালে কানের সমূদ্র সৈকতে তরুণী মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম


৩৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো কান উৎসবে হাজির হচ্ছেন মেরিল স্ট্রিপ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মর্যাদাপূর্ণ স্বর্ণপাম প্রাপ্তির খবর জেনে আমি অত্যন্ত সম্মানিত। কানে পুরস্কার পাওয়া যেকোনও চলচ্চিত্র শিল্পীর কাছেই কৃতিত্বের। যারা আগে এই পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তাদের কাতারে দাঁড়াতে পারা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাতে ফ্রান্সে আসার অপেক্ষায় আছি!’

কানের সভাপতি ইরিস নোব্লোক ও উৎসব পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমোঁ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের সবার ভেতরে মেরিল স্ট্রিপের কিছু না কিছু আছে! প্রায় ৫০ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অনেক মাস্টারপিস কাজ করেছেন তিনি। মেরিল স্ট্রিপ আমাদের যৌথ কল্পনার অংশ এবং সিনেমার প্রতি আমাদের ভাগ করা ভালোবাসা।’

মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

২০১৯ সালে ‘লিটল উইমেন’ ছবিতে গ্রেটা গারউইগের পরিচালনায় অভিনয় করেন মেরিল স্ট্রিপ। কানে এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের প্রধান বিচারক থাকছেন গ্রেটা। উদ্বোধনী মঞ্চে এই দুই খ্যাতিমান নারীকে একসঙ্গে দেখা যাবে।

নাটক নিয়ে পড়াশোনা ও নিউইয়র্ক সিটি মঞ্চে সাফল্য পাওয়ার পর ১৯৭৮ সালে ‘দ্য ডিয়ার হান্টার’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন মেরিল স্ট্রিপ। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন রবার্ট ডি নিরো। ‘ক্র্যামার ভার্সেস ক্র্যামার’, “সোফি’স চয়েস” ও ‘দ্য আয়রন লেডি’র জন্য অস্কার জিতেছেন তিনি। এছাড়া রেকর্ডসংখ্যক ২১টি মনোনয়ন পেয়েছেন মেরিল স্ট্রিপ।

তরুণী মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মেরিল স্ট্রিপ অভিনীত বিখ্যাত ছবির তালিকায় আরও আছে ‘আউট অব আফ্রিকা’, ‘দ্য ব্রিজেস অব ম্যাডিসন কাউন্টি’, ‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা’, ‘মামা মিয়া!’, ‘পোস্টকার্ডস ফ্রম দ্য এজ’, ‘ডেথ বিকামস হার’, ‘দ্য আওয়ার্স’, ‘দ্য লাস্ট শো’, ‘ফ্লোরেন্স ফস্টার জেনকিন্স’, ‘জুলি অ্যান্ড জুলিয়া’, ‘লায়নস ফর ল্যাম্বস’, ‘পেন্টাগন পেপারস’, “ডো’ন্ট লুক আপ” ইত্যাদি।

 

;

নাটকের চেনা মুখ রিমু খন্দকার হাসপাতালে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রয়াত চিত্রনায়িকা টিনা খানের মেয়ে হলেও মায়ের পরিচয়ে নয়, বরং নিজগুণেই শোবিজ অঙ্গনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার। বিজ্ঞাপন, সিনেমা, শর্টফিল্ম থেকে নাটক এবং সিনেমা- সব ধারাতে দেখা গেছে তাকে। সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রিমু। এই অভিনেত্রী এখন অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মীরা।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে রিমুর অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিনেত্রীর একটি ছবি পোস্ট করেন সহকর্মী অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠুও। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রিমু অসুস্থ। তার জন্য সব্বাই দোয়া করবেন।’

পাশাপাশি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সদ্য মুক্তি পাওয়া নাটকের ইউটিউব লিংক শেয়ার করে অসুস্থতার কথা জানান অভিনেত্রী। লিখেছেন, ‘জানি না কবে সুস্থ হয়ে আবার শুটিংয়ে ফিরতে পারব। তবে আজ আমার এই নাটকটা রিলিজ হয়েছে। দয়া করে সবাই দেখবেন।’

 অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

অভিনেত্রীর শেয়ার করা নতুন নাটকের নাম ‘ইশারা’। অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান আর সামিরা খান মাহি।

২০০৮ সালে ‘পৃথিবীর সব রূপ মিশে আছে ঘাসে’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা দেন রিমু। পাশাপাশি তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘গুরু ভাই’। এরপর ‘ভালোবাসলেই ঘর বাধা যায় না’, ‘জীবন ঢুলী’, ‘বৃত্তের বাইরে’, ‘লাভ স্টেশন’, ‘কিং খান’ সিনেমায় দেখা গেছে তাঁকে। পাশাপাশি টেলিভিশন, অর্থাৎ ছোট পর্দার নিয়মিত ও জনপ্রিয় মুখ রিমু।

 

;

একই দিনে দক্ষিণ ভারতের দুই সংগীত তারকার বিদায়!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উমা রামানন ও প্রবীণ কুমার

উমা রামানন ও প্রবীণ কুমার

  • Font increase
  • Font Decrease

খুব অল্প বয়সে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিলেন জনপ্রিয় তামিল সুরকার–সংগীতশিল্পী প্রবীণ কুমার। মাত্র ২৮ বছর বয়সে মিউজিক কম্পোজারের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ সংগীতাঙ্গন ও বিনোদনজগৎ। শিল্পীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই ভেঙে পড়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করছেন সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্ত–অনুরাগীরা। 

কিডনির জটিলতা নিয়ে গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন প্রবীণ কুমার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছয়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ কুমার। ‘মেঠাগু’ ও ‘রাকাধন’-এর মতো ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। প্রবীণ কুমার সংগীতজগতের উঠতি নাম। তার গান চিরদিন মনে থেকে যাবে ভক্তদের।

একই দিন না ফেরার দেশে দক্ষিণের বিখ্যাত গায়িকা উমা রামাননও। ইলাইয়ারাজার সঙ্গে জুটি বেঁধে বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার ৭২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই শিল্পী। মৃত্যুর সময় চেন্নাইয়ে ছিলেন গায়িকা।


জীবদ্দশায় ছয় হাজারের বেশি কনসার্টে গান গেয়েছেন উমা রামানন। তিনি একজন সুদক্ষ ক্লাসিক্যাল গায়িকা। ১৯৭৭ সালে প্রথম ‘শ্রীকৃষ্ণ লীলা’ ছবির জন্য প্লেব্যাক করেছিলেন প্রয়াত উমা রামানন। তাঁর মৃত্যুতেও শোকের ছায়া নেমে আসে সংগীতাঙ্গনে। স্মৃতিচারণা করছেন বহুদিনের সহশিল্পী থেকে শুরু করে ভক্ত–অনুরাগীরা।

;