দীর্ঘ পোস্ট ডিলিট করায় আফ্রিদিকে নিয়ে নতুন জল্পনা

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তৌহিদ আফ্রিদি । ছবি: ফেসবুক

তৌহিদ আফ্রিদি । ছবি: ফেসবুক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকায় জনরোষের মুখে পড়েছেন দেশের শীর্ষ ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি। তার বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন গুঞ্জন চাউর হয়েছে। তাকে বয়কটের ডাক দিতেও দেখা গেছে নেটিজেনদের অনেককে। মাসখানেক ধরে রোস্টিং ও ট্রল হতে দেখে বিভিন্ন অভিযোগে চুপ থাকলেও এবার মুখ খুলেছেন আফ্রিদি।

তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাট্যাসে নিজেকে পরিস্থিতির শিকার বলে দাবি করেছেন। এমনকি আন্দোলন চলাকালে ডিবি হারুনের সঙ্গে তার কি কি হয়েছিলো সবটাই তুলে ধরেছেন। যদিও ঘণ্টাখানেক পর সেই স্ট্যাটাসটি আফ্রিদির অফিশিয়াল পেজে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া তৌহিদ আফ্রিদির সেই পোস্ট মুছে ফেলায় নেটিজেনদের মনে তৈরি হয়েছে নতুন প্রশ্ন। এখন তাহলে কিসের ভয়ে তিনি পোস্ট ডিলিট করলেন? নাকি তার কথাগুলো শুধুমাত্র নিজের ইমেজ ঠিক করার একটা বাহানা ছিলো? এমন প্রশ্ন থেকেই যায়। আবার কেউ মনে করছেন, তার সাফাই গাওয়া নেটিজেনদের মনে একটুও জায়গা করে নিতে পারেনি বলে ইগো থেকে পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন আফ্রিদি।

তৌহিদ আফ্রিদি । ছবি: ফেসবুক

যাই হোক ওই পোস্টে আফ্রিদি লিখেছিলেন, ‘আসলে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে আমি কখনোই কিছু বলতে চাইনি। কারণ, আমি কিছু বলতে গেলে সেখানে আরো অনেকের নাম যুক্ত হবে। তাই আমি কাউকে দোষ না দিয়ে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। যতদূর জানি বোবার নাকি কোনো শত্রু থাকে না। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে শত্রু বেড়েই চলছে, সাথে বেড়েই চলছে আমাকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট গল্পের সংখ্যা।’

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনের সময় তিনি দুবাইতে ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আমি দুবাইতে ছিলাম। দেশের পরিস্থিতি তখন খুব খারাপ পর্যায়ে। আর তখনই আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করি যে আমি দেশে আসছি এবং কোটা আন্দোলনকারী ভাইদের পাশে দাঁড়াবো। এই পোস্ট করার পরও আমি তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। আমি যখন শহীদ আবু সাঈদ ভাইয়ের ছবি আমার সকল আইডিতে পোস্ট করি, কিছুক্ষণ পরেই আমাকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার থেকে জিয়াউল আহসান কল দিয়ে বলে ‘তোমাকে একটা জিনিস জানাতে চাই তুমি যে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টগুলো দিয়েছো এগুলো এক্ষুণি তোমাকে সরাতে করতে হবে। তোমার সাথে কে কে যুক্ত এগুলাতে?’ এটা শোনার পর আমি সাথে সাথে ফোন কেটে দিই। কিছুক্ষণ পরেই আমাকে ডিবি হারুন কলে বলে, ‘এই তুমি কার কল কাটছো? তুমি জানো? তুমি, তোমার বাবা, তোমাদের টেলিভিশন, সব শেষ করে দিবে। এখনি উনাকে কল ব্যাক করো, যা বলে শুনো।’ আমি ভয়ে পোস্ট ডিলিট করে দিই। আমার এখনো মনে আছে আমি সেদিন ভয়ে আমার পরিচিত কারোরই ফোন ধরিনি। কিন্তু ডিবি হারুন আমাকে ফোন দিয়েই যাচ্ছিলো।’’

তৌহিদ আফ্রিদি । ছবি: ফেসবুক

ডিবি হারুন আফ্রিদিকে ভয় দেখিয়েছিল বলে দাবি করে বলেন, ‘পর দিন আবার ডিবি হারুন আমাকে ফোন দেয়। বলে তোমার নামে ওয়ারেন্ট বের হইছে, দেশে আসলেই কিন্তু তুমি এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার হবা। তখন আমি বলি, চাচা আমি তো পোস্ট ডিলেট করে দিছি। আমি আরো বলি চাচা পোস্ট তো আমি করি নাই। আমার এডমিন করছে। যদিও পোস্টটা আমি করেছিলাম কিন্তু তখন ভয়ে আমি তাকে এই মিথ্যাটা বলি। এটা শোনার পর উনি আমাকে বলে ‘তোমার ওইসব অ্যাডমিন সরাও।’ এরপর উনি আমাকে একটা একাউন্টের লিঙ্ক দিয়ে বলে ‘ওরে একসেস দাও’। ডিবি হারুন আমাকে আরো বলে, আফ্রিদি দেশে আইসাই তুমি আগে আমার সাথে দেখা করবা, তোমার নামে কিন্তু জঙ্গি মামলা হইছে।’’

আতঙ্কিত ছিলেন জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘‘এরপর আমি আমার বাবার সাথে সব শেয়ার করি। তখন বাবা আমাকে বলে যে ‘তুমি দেশে আসো। ফেসবুকে পোস্ট করা লাগবে না, তুমি রাস্তায় নামো, তাহলে তো সমস্যা নাই। ঠিক এরপর দিন থেকেই পুরো বাংলাদেশ শাটডাউন থাকে। যে কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকে। যখন শাটডাউন শেষ হয় আমি বাংলাদেশে আসি। বাংলাদেশ আসার পর আমি আর ডিবি হারুনের সাথে যোগাযোগ করিনি। কিন্তু পরের দিনই আমাকে আবার NTMC থেকে কল দিয়ে ডাকা হয়। তারপর ওইখানে আমি যাই। গিয়ে দেখি ওরা হলিউড মুভির কেইস বোর্ডের মতো করে আমি সহ আরো কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সারদের ছবি টানিয়ে রেখেছে। আমার এখনো মনে আছে, ওদের কাজ দেখে আমি আতঙ্কে একই জায়গায় ৩০ মিনিটের বেশী সময় ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ওরা আমাকে বুঝিয়ে দিলো, কথার বাইরে গেলে সব শেষ আমার।’’

তৌহিদ আফ্রিদি । ছবি: ফেসবুক

আফ্রিদি বলেন, ‘‘পরে একটা এজেন্সি আমাকে জরুরি তলব করে। আমি এরপর সেখানে যাই। যাওয়ার একটাই কারণ, এর আগেও আমরা সব ইনফ্লুয়েন্সাররা ওদের সাথে কাজ করেছিলাম। এজেন্সি আমাকে বলে ‘শুনো আফ্রিদি তুমি কার পক্ষে থাকবা বা বিপক্ষে থাকবা সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। তোমাকে ডাকার প্রধান কারণ হলো এই আন্দোলনে আমাদের দেশের যে ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে, যেমন ধরো মেট্রোরেল, সরকারি ভবনে ভাংচুর ও আগুন এসব তো আর ছাত্রদের কাজ না। এগুলো তো সাধারণ মানুষেরই টাকাই বানানো। আর সরকার যদি ভুল করে সেটা নিয়ে অবশ্যই সমালোচনা করতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কাজ করা যাবেনা। আর যারা যারা মারা গিয়েছে তাদের সুষ্ঠু বিচার চাইতে হবে।’’

এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নাকি বলেন, ‘‘আমাদের মোটিভ হচ্ছে দেশের এই অবস্থায় সোশাল অ্যাওয়ার্নেস তৈরি করা। সো তুমি এবং তোমার পরিচিত যেসব ইনফ্লুয়েন্সার আছে তাদেরকে নিয়ে এই অ্যাওয়ার্নেসটা সোশালি ক্রিয়েট করতে হবে। আমি এসব শুনে উনাকে ডিরেক্ট বললাম, ‘ভাইয়া আমি তো এটা করতে পারবোই না আর যারা আছে তাদেরকে যদি ৫ গুণ টাকা বেশীও দেওয়া হয়, তাও তারা করবে না। এটা বিবেক আর ক্যারিয়ারের ব্যাপার।’ তখন এজেন্সি আমাকে বলে ‘আরে ভাই আমরা তো স্টুডেন্টের বিপক্ষে পোস্ট দিচ্ছি না, আচ্ছা তুমি একটা মিটিং ফিক্সড করে দাও, বাকিটা আমি ওদেরকে বুঝিয়ে দিবো। এরপর আমি ওদের সাথে তাল মিলিয়ে হ্যাঁ-ওকে বলে ব্যাপারটা সেখানে শেষ করি।’’

তৌহিদ আফ্রিদি । ছবি: ফেসবুক

নেটিজেনদের উদ্দেশ্য প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘‘আপনারাই একবার চিন্তা করে দেখুন এই অবস্থায় কেউ কি স্টুডেন্টের পক্ষে ছাড়া ভিডিও বা পোস্ট করবে, পেমেন্ট যতই হোক? যাই হোক এরপর কয়েকজন ছোট ইনফ্লুয়েন্সারদেরকে নিয়ে আমি ওদের সাথে মিটিং করিয়ে দিই। মিটিংয়ে এজেন্সি সবাইকে সবকিছু এক্সপ্লেইন করে। মিটিংয়ে সবাই পোস্ট এবং ভিডিও করার আশ্বাস দিলেও মিটিং শেষে কেউ ভিডিও দিতে আর রাজী ছিলো না। এমনকি অনেকেই টাকা নিয়েছে কিন্তু ভিডিও দেয়নি। এরপর এজেন্সি থেকে আমাকে সবার ভিডিওর জন্য আবার ফোন দেওয়া হলে, আমি ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে আবার যোগাযোগ করি। সবাই আমাকে জানায় এমন পরস্থিতিতে কেউ ভিডিও বা পোস্ট দিতে পারবেনা। একটা সময় এজেন্সি যখন দেখলো আমার এবং বাকি ইনফ্লুয়েন্সারদের কেউ কিছু করতে রাজী হচ্ছে না তখন তারা বলে অন্তত ‘সরকার যদি ভুল করে সেটা নিয়ে অবশ্যই সমালোচনা করতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কাজ করা যাবে না’ এই পোস্টটা করো, ভিডিও করার দরকার নাই। একদিকে এতো এতো ছাত্র আর মানুষ মারা যাচ্ছিলো আর অন্যদিকে এজেন্সি আমার সাথে বারবার কন্টাক্ট করার চেষ্টা করছিলো, তখন আমি ডিরেক্ট ওদের সাথে কন্টাক্ট অফ করে দিই।’’

আফ্রিদি নিজের অবস্থান জানিয়ে বলেন, ‘ছাত্রদের বিপক্ষে যাওয়া, কোন ইনফ্লুয়েন্সারদেরকে হুমকি দিয়ে পোস্ট বা ভিডিও করা এবং ছাত্রবিরোধী কোনো কেম্পেইনের সাথে থাকা, এসবে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। আপনারা যেটা হুমকি দিয়ে ছাত্রদের বিপক্ষে ক্যাম্পেইনের কথা বলছেন সেই ক্যাম্পেইনের ব্যাপারে আমার জিরো পার্সেন্ট আইডিয়াও নেই। আমার মিটিংটা ছিলো শুধু কয়েকজন ছোট ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে কথা বলিয়ে দেওয়া।’

তৌহিদ আফ্রিদি । ছবি: ফেসবুক

ডিবি হারুনের হুমকি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এসব ঝামেলার মধ্যে হঠাৎ ডিবি হারুন আমাকে আবার কল দিয়ে বলে ‘তোমাকে দেখা করতে বলছিলাম, তুমি দেশে আইসা আমার সাথে দেখা করলা না কেন? তোমার নামে যে মামলা হইছে এটার একটা ব্যবস্থা তো করতে হবে তাই না?’ সে এসব কথা বলে আমাকে আবার তার অফিসে ডাকে। যাওয়ার পর সে আমার সাথে আমার মামলা নিয়ে একটা কথাও বললোনা। আমাকে সে বলে তার এক ভিডিও নাকি ভাইরাল হইছে, মানুষ নাকি তার ফেইস চেঞ্জ করে ভাইরাল করতাছে। আমি তখন তার কাছ থেকে ভিডিওটা দেখতে চাই। আমি তখনও জানতাম না তার কি ভিডিও ভাইরাল হইছে। ভিডিও দেখে আমি বুঝতে পারি যে এটা তারই ভিডিও, তারপর সে বলে তার ভিডিও অনলাইন থেকে রিমুভ করে দিতে হবে। আমি তখন তাকে বলি ‘চাচা আপনি সাইবার সিকিউরিটির সাথে কথা বলেন ওরাই পারবে’। কিন্তু সে বারবার আমাকে ফোর্স করে ভিডিওটা রিমুভ করে দিতে। পরে আমি তাকে বলি এইটা তো রিমুভ করা যাবে না। এটা বলার সাথে সাথে সে এবার আমার মামলা নিয়ে কথা বলা শুরু করে। আমাকে বলে তোমার নামে তো জঙ্গি মামলা হইছে, তোমাকে কিন্তু এই মুহূর্তে গ্রেফতার করা যায়। আমাকে সে ইনডিরেক্টলি হুমকি দেয়। তারপর তাকে দেখানোর জন্য আমি কয়েকজনকে ফোন দিই, তার ভিডিওটা রিমুভ করা যাবে কিনা। কিন্তু সবাই না বলে। এরপর তাকে আমি বলি যে আমি বাসায় গিয়ে একটা ব্যাবস্থা করছি।’’

তৌহিদ আফ্রিদি । ছবি: ফেসবুক

ডিবি হারুন ক্ষমতার অপব্যবহার করতো জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আপনারা যে কোন সেলিব্রেটিকেই জিজ্ঞাসা করুন, তারাই বলবে, ডিবি হারুনের কাছে যে একবার সাহায্যের জন্য গিয়েছে তাদেরকে সে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে। তার ফেমাস হওয়ার একটা নেশা ছিলো, সেটা তার পেইজের ভিডিও দেখলেই আপনারা বুঝবেন। যারাই তার কাছে যায়, তাদেরকে ভাত খাইয়ে সেটার ভিডিও করে সে ছেড়ে দেয়। সে তার ক্ষমতার অপব্যবহার এতো বাজেভাবে করতো যে, আমি এবং আমার এক ইউটিউবার বন্ধুকে দিয়ে সে তার রিসোর্টের প্রমোশনে যেতে বাধ্য করেছিলো। তার রিসোর্টের প্রমোশনে আমরা এতোটাই হেল্পলেস ছিলাম যে, পেমেন্ট পাওয়া তো দূরের কথা, নিজে খরচে, তার দেওয়া তারিখের মধ্যেই নো মেটার হোয়াট শুট করে, তার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই পোস্ট করতে হয়েছিলো। ইভেন প্রায়ই সে আমাকে তার অফিসে ডেকে ভøগ করতে বলতো।’

তৌহিদ আফ্রিদি । ছবি: ফেসবুক

টাকার প্রতি কোনো লোভ নেই উল্লেখ করে বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে ছোটবেলা থেকেই যে পরিমাণ টাকা দেখে বড় হইছি আমার টাকার প্রতি কোনো লোভ নাই। উপরে মহান আল্লাহ তায়ালা আছেন, উনি দেখছেন, উনি সাক্ষী আছেন, আমি কি করছি। আল্লাহ যদি মনে করেন আমি কোনো ভুল করছি তাহলে আল্লাহ আমাকে শাস্তি দিবেন। ভয়ে চুপ ছিলাম এটাই আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিলো। আর সেটার শাস্তি আল্লাহ আমাকে দিচ্ছেন। সেটার জন্য আমি আপনাদের কাছেও ক্ষমা চাচ্ছি। আমার শুভাকাক্সিক্ষরা জানে এবং বিশ্বাস করে আমি কেমন। আপনি পাব্লিকলি যখন কিছু করবেন তখন আপনার পক্ষে বিপক্ষে অনেক মানুষ কথা বলবে। কিন্তু বিপক্ষের মানুষগুলো ভালো কাজে চুপ থাকে, আর যখনই কোনো অজুহাত পায় সেটাকেই তিলকে তাল বানিয়ে ফেলে। কথা আগেও হতো, এখনো হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে, কিন্তু তাই বলে আমি কখনো থামিনি এবং থামবোও না ইনশাহআল্লাহ। সেটার একমাত্র কারণ হলো আমার ওয়েল উইশারদের সমর্থন, এর আগেও থেমে যেতাম কিন্তু তারা আমাকে থামতে দেয়নি এবং আজকেও দিচ্ছে না।’

তৌহিদ আফ্রিদি । ছবি: ফেসবুক