সাধুর শোকে কেঁদেছে আকাশ, কাঁদাচ্ছে ফেসবুক
গড় উচ্চতার চেয়ে হুমায়ূন সাধু বেশ কিছুটা ছোট। তবে তিনি যতটা ছোট তাঁর ছায়া ঠিক ততটাই বড়। সেই ছায়ার ছাপ রেখেছেন নাটক নির্মাণ, অভিনয় ও তাঁর লেখায়।
তবে সেই ছায়ার স্থায়ীত্ব বেশিদিন থাকলো না। হুমায়ূন সাধু বিদায় নিলেন বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। তবে সাধুর এমন বিদায় যেন মেতে নিতে পারিনি প্রকৃতি। তাই তো সাধুকে বিদায়ের দিনে সারাদিন জুড়ে থেমে থেকে কেঁদেছে আকাশ।
সাধুর প্রথম জানাজা হয়েছে বাদ জুমা, এরপর দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাদ আসর তেজগাঁওয়ের রহিম মেটাল মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে সাধুকে। তখনও আজকের ঢাকার আকাশ কেঁদেছে।
চট্রগ্রামে জন্ম নেওয়া সাধুর জন্য শুধু আকাশ নয়, কেঁদেছে ফেসবুকও। রাত থেকে দেশের ফেসবুক ছিল সাধুময়। প্রায় সবই সাধুর স্মৃতিচারণ করেছেন ফেসবুকে। ফেসবুকে সমবেদনা জানিয়েছেন সাধুর সহকর্মীরাও।
সাধুর গুরু মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে লিখেছেন, তুই সময় দিছিলি আমাদের তৈরি হওয়ার। আমরা হয়তো তৈরিও হইছিলাম। কিন্তু মানুষ বোধ হয় কখনোই প্রিয়জনের বিদায়ের জন্য তৈরি হইতে পারে না রে, সাধু!
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, সাধুর সাথে একটা নাটকেই অভিনয় করেছিলাম। বয়স আর উচ্চতা দুটোতেই আমার চেয়ে ছোট। অন্তত ওর জীবনটা বড় হতে পারতো! বিধাতার বিচার টা যেন কেমন! প্রথম দেখাতেই জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম, কেমন আছিস ভাই? উত্তরে যা বলেছিল, এখনো কানে বাজছে! আর কখনোই দেখা হবে না সাধুর সাথে। ভালো থাকিস ভাই।
জয়া আহসান লিখেছেন, জীবন আর সিনেমা এক হয়ে যায় সাধু । বিউটির ওই হৃদয় নিংড়ানো কান্না যে সত্যি হয়ে উঠবে এটা তো ভাবিনি ভাই। কতো কতো স্মৃতি আর দীর্ঘশ্বাস ঘুরে ঘুরে আসছে।
নির্মাতা মাহমুদ দিদার লিখেছেন, সাধুর জন্যে পরাণ পুড়ছে। ফেরেশতার সুরত নিয়ে আমাদের লোকালয়ে এসেছিলো সাধু । আহা মায়া! নায়ক হে! বিদায়।
এদিকে এরই মধ্যে হুমায়ূন সাধুর ফেসবুক আইডি রিমেম্বারিং ঘোষণা করেছে ফেসবুক। সেখানেও দেখা মিলছে সাধুকে নিয়ে মানুষের কান্নার বৃষ্টি।
আরও পড়ুন
* চিরনিদ্রায় শায়িত হুমায়ূন সাধু
* অভিনেতা-নির্মাতা হুমায়ূন সাধু আর নেই
* লাইফ সাপোর্টে হুমায়ূন সাধু, নেওয়া হচ্ছে বিদেশ
* গুরুতর অসুস্থ হয়ে কথা বলতে পারছেন না হুমায়ূন সাধু