বডিবিল্ডার হতে কয়েন খেয়ে ফেললেন, অতঃপর

  • ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রোগীর অন্ত্র থেকে ৩৯ টি কয়েন এবং ৩৭ টি চুম্বক উদ্ধার

রোগীর অন্ত্র থেকে ৩৯ টি কয়েন এবং ৩৭ টি চুম্বক উদ্ধার

‘সুস্থ শরীরে সুন্দর মন!’ কেবল প্রচলিত প্রবাদ নয়, ডাক্তাররাও বলেন শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সবচেয়ে জরুরি। কারণ, শরীর সুস্থ না থাকলে কোনো কাজই করা যায় না। তাই সকলেই চেষ্টা করেন, সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার। 

দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে হলে, শরীরের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস ত্যাগ করার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। অনেকেই সখের বশে বা প্রয়োজনে বডি বিল্ড করেন। পেশাগত ট্রেইনারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন-যাপন করেন। তবে সঠিক উপদেশ বুঝতে পারলে কত বড় বিপদ হতে পারে, মিললো তার প্রমাণ!      

বিজ্ঞাপন

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতাল। সেখানে ২৬ বছর বয়েসি এক ব্যক্তি পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন। তার পেটে প্রচণ্ড অস্বস্তিসহ ব্যথা ছিল এবং বমি হচ্ছিল। এই কারণে তিনি কিছুই খেতে পারছিলেন না।

তার আত্মীয়রা জানান, রোগী বেশ কিছুদিন ধরে চুম্বক আর কয়েন খাচ্ছিলো। এই তথ্য জানার পর চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। রোগীর পেটে রয়েছে অনেকগুলো মুদ্রা এবং চুম্বক জমা হয়েছিল। চিকিৎসকরা তার পেট থেকে ৩৯টি কয়েন এবং ৩৭টি চুম্বক উদ্ধার করেন।  

বিজ্ঞাপন

রোগীর পরিবারের লোকজন প্রথমে এক্সরে করিয়েছিলেন। সেখানে কয়েন এবং চুম্বকের আকার দেখা যায়। তারপর তারা রোগীর সিটি স্ক্যান করান। সেখানে স্পষ্ট দেখা যায়, কয়েন এবং চুম্বকের স্তূপ পেটে জমে আছে।

ক্ষ্রদ্রান্তে জড়ো হয়েছিল বিভিন্ন আকৃতির ভারী বস্তু। দুইটি ভিন্ন সারিতে একত্রিত হয় মুদ্রা এবং চুম্বক। চুম্বকের আকর্ষণের কারণে এই চক্র তৈরি হয় এবং সবগুলো বস্তু একত্রে ছিল। অপারেশন শেষ হওয়ার পর চিকিৎসকরা একটি এক্স-রে করে নিশ্চিত হয়েছেন যে পেটে আর কোনো অংশ অবশিষ্ট নেই।  

সেই রোগীর অন্ত্রে জমে থাকা ভারী বস্তুর কারণেই অসহনীয় যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। কয়েন এবং চুম্বক খাওয়ার কারণ হিসেবে জানা যায়, রোগী স্বাস্থ্য গঠন করতে সেগুলো গিলেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন শরীর তৈরিতে জিংক ভালো কাজ করবে। আর মুদ্রাগুলোতে জিংক রয়েছে। তাছাড়া কয়েনগুলোকে দীর্ঘ সময় পেটে ধরে রাখতেই তিনি চুম্বক খেয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, এতে শরীর বেশি করে জিংক পাবে।     

রোগীর পরিবার নিশ্চিত করেছেন, সেই ব্যক্তি মানসিকভাবে সুস্থ নন। এর আগেও তার চিকিৎসা চলছিল।  

তথ্যসূত্র: খালিজ টাইমস