চকবাজারের রমরমা ইফতার বাজার
রোজার প্রথম দিন থেকেই রমরমা পুরান ঢাকার ইফতার বাজার! শাহী মসজিদের সামনের রাস্তায় প্রতিবছরের মতো এবারও আড়ম্বরভাবে শুরু হয়েছে ইফতার বাজার।
জানা যায়, ১৯৪৫ সালে শাহী মসজিদ চত্বরে এক বিক্রেতা প্রথম এখানে খাবার বিক্রি শুরু করেন। ধীরে ধীরে তা বিশাল আকার ধারণ করে।
এখানে বংশ পরম্পরায় অনেকেই ইফতার বিক্রি করে থাকেন। তাদের মধ্যে মন্টু মিয়া, মো.হারুনসহ অনেকেই রয়েছেন।
মন্টু মিয়ার পরিবার তিন প্রজন্ম ধরে এখানে ইফতার তৈরি করে তা বিক্রি আসছেন।
৩২ বছর বয়েসি মন্টু মিয়া এখানে ১০ বছর বয়স থেকে ইফতার বিক্রি করছেন তার বাবার হাত ধরে।
বাজারের বিশেষ আকর্ষণ
চকবাজারের সবচেয় বড় আকর্ষণ ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙায় ভইরা লইয়া যায়’ নামে বিশেষ ইফতার।
এ ইফতার তৈরিতে মাংস, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, ডাবলি, বুটের ডাল, ডিম, মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনো মরিচসহ নানান পদসহ মসশা ব্যবহার করা হয়। এবার ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ ইফতার প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যে সব ইফতার পাওয়া যায় শাহী মসজিদের রাস্তায়
চকবাজারে যে সব ইফতার পাওয়া যায়, তাহলো- চিকেন আইটেমের মধ্যে চিকেন মোমো, চিকেন সাসলিক, চিকেন চাপ, চিকেন কারি, আস্ত চিকেন গ্রিল, চিকেন পরোটা, চিকেন রোল, চিকেন বটি কাবাব, চিকেন লেগ পিস, চিকেন তন্দুরি, চিকেন আচারী, চিকেন কাটলেট, চিকেন বন, চিকেন ফ্রাই, আস্ত মুরগির রোস্ট ইত্যাদি।
এছাড়া আরো পাওয়া যায়, বাকনাবা, কিমা পরোটা, টান পরোটা, কোয়েল পাখির রোস্ট
জালি টিক্কা, অ্যারাবিয়ান কাবাব, মুঠি কাবাব, আস্ত চীনা হাঁস রোস্ট, আস্ত, আস্ত পাতি হাঁস, বিফ কারি, শাহী সাদা পরোটা, সুতি কাবাব, কবুতর রোস্ট, খাসির লেগ রোস্ট, গরুর সুতি কাবাব, বিফ পরোটা
কাশ্মীরি বটি কাবাব, গরুর কোপ্তা, শাহী তন্দুরী, বটি কাবাব, দই বড়া, শাহী জিলাপি, সাধারণ জিলাপি, ঘুগনি, ঘিয়ে ভাজা জিলাপি, কেশোয়ারি, গরুর কাবাব, খাসির জালি, ডিম চপ, আলু পরোটা, কিমা পরটা, ছোট পিজ্জা, সবজি নান, হালিম ইত্যাদি।
পানীয়
পানীয়ের মধ্যে পাওয়া যায়, বোরহানি, পেস্তা বাদামের শরবত, মাঠা, লাবাং, শরবত-ই মোহাব্বত, গোড ইত্যাদি।
মিষ্টিজাতীয় ইফতার
মিষ্টি জাতীয় খাবারের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে- মালপোয়া, পাটিসাপ্টা, ফালুদা, ফিরনি, জর্দা ইত্যাদি।
ইফতার বাজার ঘুরে ছবিগুলি তুলেছেন বার্তা২৪.কমের ফটো এডিটর নূর এ আলম।