কেলেঙ্কারিতে সমাপ্ত 'করোনার সুপার স্প্রেডার' ট্রাম্পের প্রচারণা, উজ্জীবিত বাইডেন

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন


ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে একদিন। তারপর ৩ নভেম্বর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভোটের শেষ বেলায় ট্রাম্পের কপালে অভিযোগ-মিশ্রিত খেতাব জুটলো করোনার 'সুপার স্প্রেডার'! কেলেঙ্কারিতে সমাপ্ত হলো ট্রাম্পের প্রচারণা।

অভিযোগটি গোঁড়ায় রাজনৈতিক হলেও পরে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাম্প সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি একটি নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ভিত্তিতে অভিযোগের কাঠগড়ায় জায়গা পেলেন। প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে এমনই এক কেলেঙ্কারির কালিমা মুখে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল আরেক রিপাবলিকান প্রার্থী নিক্সনের।

নিক্সনের বিরুদ্ধে ছিল 'ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারি'র অভিযোগ। আর ট্রাম্পের ক্ষেত্রে 'করোনা কেলেঙ্কারি'র দুর্নাম, যার নির্বাচনী জনসভার কারণে ৩০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন সাত শতাধিক মার্কিন নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের নামজাদা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পরিচালিত একটি নিরপেক্ষ সমীক্ষার ফলাফলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগটি উত্থাপিত হয়েছে।

গবেষকদের দাবি, যে সব জায়গায় ট্রাম্প জনসভা বা র‌্যালি করেছেন, সেখানে জীবনের বিনিময়ে মূল্য চোকাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যে সমীক্ষা করেছেন তার শিরেনাম ‘দ্য এফেক্টস অব লার্জ গ্রুপ মিটিংস অন দ্য স্প্রেড অব কোভিড-১৯: দ্য কেস অব ট্রাম্প র‌্যালিজ’।

দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছে ফ্লোরিডা রাজ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার সভার। বিতর্কও তৈরি হয়েছে। দূরত্ববিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সভায় জনস্রোত নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

অথচ পরিস্থিতি এমন যে, গোটা ইউরোপ এবং আমেরিকাতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান বাড়ছে। তার মধ্যে আমেরিকায় নির্বাচন হচ্ছে আর ট্রাম্পের নির্বাচনী সভায় অনিয়ন্ত্রিত ও বিধি-অমান্যমূলক ভিড় দেখে সংক্রমণ সুনামির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। আর ট্রাম্পকে বলছেন 'করোনার সুপার স্প্রেডার'।

যদিও প্রত্যেক সভায় করোনা মহামারি মোকাবেলা নিয়ে সাফল্যের দাবি করছেন ট্রাম্প। সবাইকে বলছেন, সংক্রমিত হলে চিন্তা নেই, প্রত্যেকে ঠিক হয়ে যাবেন। যেমনটা তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যদিও বড় জমায়েত সর্বত্র অনুমোদিত নয়, তবুও ট্রাম্প বড় জনসভা করেই যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিয়ম ভাঙছেন। অনেকেরই মুখে মাস্ক, শারীরিক দূরত্ববিধির বালাই দেখা যাচ্ছে না। যেজন্য গবেষকরা পর্যন্ত দোষারোপ করেছেন ট্রাম্পকে।

সর্বশেষ স্বাস্থ্য বুলেটিনের তথ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৯০ লাখ। মারা গেছেন প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিষয়টিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুরুত্বই দেননি। তার অভিযোগ তার বিরোধীরা এই ইস্যুকে তার পিছনে ব্যবহার করছে। তিনি সতর্ক করছেন এই বলে যে, যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বাইডেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে আবারো লকডাউনে পড়তে হবে। কিন্তু আরেকটি লকডাউন সহ্য করার সক্ষমতা নেই যুক্তরাষ্ট্রের।

ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনও ট্রাম্পের সভাগুলোকে 'সুপার স্প্রেডার' বলে কটাক্ষ করেছেন, যা পরে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। তবে তিনি নিজে কম জনসভা করেছেন, ভার্চুয়াল সভা এবং ড্রাইভ-ইন কর্মসূচির উপর জোর দিয়েছেন বেশি। যেখানে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে হর্ন বাজিয়ে জনতা নিজেদের সমর্থন জাহির করছেন।

এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শেষলগ্নে রাজ্যভিত্তিক নির্বাচনগুলোতে দেখা গিয়েছে, বাইডেন ট্রাম্পের থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। রিপাবলিকানদের সমর্থনকারী রাজ্যগুলোতেও ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বাইডেনের। কোথাও কোথাও আবার খুব কম মার্জিনেও এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন।

জনমত জরিপে বাইডেন কাছাকাছি থাকায় ট্রাম্প হতাশা প্রকাশ করেছেন। কারণ, বাইডেনকে তিনি অনেক দুর্বল প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে থাকেন। ট্রাম্প বলেছেন, 'এটা কি আমার ক্ষেত্রে ঘটবে? কিভাবে আমাদের দু’জনের টাই হতে পারে?'

জাতীয় পর্যায়ের সর্বশেষ জরিপেও জো বাইডেন বেশ ভালভাবে এগিয়ে আছেন ট্রাম্পের চেয়ে। কিন্তু সুইংস্টেটগুলোতে তারা কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, যদি ট্রাম্প আবার বিজয়ী হতে চান তাহলে তাকে ২০১৬ সালের মতো ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, আইওয়া এবং অ্যারিজোনার মতো রাজ্যগুলোতে জিতে আসতে হবে। তাকে জিততে হবে কমপক্ষে পেনসিলভ্যানিয়া, মিশিগান অথবা উইসকনসিনের মতো রাজ্যে। তিনি যে বিজয়ী হবেন এ বিষয়ে কিছু রিপাবলিকান আশাবাদী। তবে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, যে ৯ কোটি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন তারা হয়তো ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন।

এরপরেও বিস্ময়কর বিজয় আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নাটকীয়তায় ভরপুর নির্বাচনে রোববার (১ নভেম্বর) দু’দিনের ঝটিকা প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। চষে বেড়াচ্ছেন ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলোতে। দৃশ্যত পুনরায় তার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসছে বলে প্রায় সব জরিপে মনে করা হলেও তিনি সব হিসাব নিকাশকে 'নস্যাৎ' করে ফিরতে চান হোয়াইট হাউজে। জয়ী হলে আবার চার বছর হোয়াইট হাউজের দখল পাবেন তিনি। না হলে, জর্জ এইচডব্লিউ বুশের সময় থেকে এ পর্যন্ত তিনিই হবেন প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ব্যর্থ হয়েছেন।

প্রচার মাধ্যমের খবরে প্রকাশ, রোববার ও সোমবার, নির্বাচনের প্রচারণার শেষ বেলায় ১০টি র‌্যালিতে অংশ নিচ্ছেন ট্রাম্প। দিনে তিনি পাঁচটি র‌্যালিতে অংশ নিচ্ছেন। আগামী মঙ্গলবার নির্বাচন। সেদিন সমর্থকদের ঘর থেকে বের করে আনতে যতটা সম্ভব প্রভাবিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। রোববার তার র‌্যালি করার কথা মিশিগান, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও ফ্লোরিডায়। সোমবার প্রচারণা চালানোর কথা নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভ্যানিয়া, উইসকনসিন এবং মিশিগানে। সোমবার রাতের শেষ ভাগে মিশিগানে গ্র্যান্ড র‌্যাপিডসে তার প্রচারণা শেষ হওয়ার কথা। এখানেই তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন। চার বছর আগে অসম্ভাব্য বিজয়ে তিনি মিশিগান, পেনসিলভ্যানিয়া, উইসকনসিন রাজ্যে জয় পেয়েছিলেন। এই তিনটি রাজ্য কয়েক দশক ধরে ছিল ডেমোক্রেটদের ঘাঁটি।

মোটেও বসে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনও। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় মরণপণ লড়ছেন তিনি। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ট্রাম্পের ব্যর্থতাকে নির্বাচনে মূল ইস্যু বানিয়ে চূড়ান্ত প্রচারণায় ব্যস্ত ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। তিনিও রোববার (১ নভেম্বর) প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। ছিলেন পেনসিলভ্যানিয়াতে। এটি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পালন করে নির্ধারকের ভূমিকা।

আর মাত্র একদিন পরেই নির্ধারণ হয়ে যাবে হোয়াইট হাউজের মসনদে কে বসবেন। বাইডেন হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট নাকি ট্রাম্পই ধরে রাখবেন আসন। জরিপ ও জনমত যদিও বাইডেনের দিবে, তবুও আশঙ্কার মেঘ কাটছে না। গত ২০১৬ সালের নির্বাচনকালে প্রচারণা ও জরিপে হিলারি ক্লিনটন এগিয়ে থেকেও হেরে যান ট্রাম্পের কাছে। এবার চিত্রটি কেমন হবে, ফলাফল প্রকাশের আগে কেউই হলফ করে বলতে পারছেন না।

   

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির আজকের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এই সঙ্কটের সময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং প্রেসিডেন্ট ও তার সফর সঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’

আর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার সম্পর্কে ইরান থেকে দুঃখজনক সংবাদ শুনেছি। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছি সুসংবাদের জন্য, যে সব ঠিক আছে। আমাদের প্রার্থনা এবং শুভকামনা মাননীয় প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং সমগ্র ইরানী জাতির সঙ্গে রয়েছে।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধস্ত হওয়ার প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও নিখোঁজ হেলিকপ্টারটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, আল্লাহ মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের জাতির কাছে ফিরিয়ে দেবেন। সকলকে তাদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। ইরানি জাতির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।’

এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসনে বিঘ্ন না ঘটানোর আহ্বান জানান খামেনি।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

ইরানের মন্ত্রিসভার বৈঠক, তাবরিজ যাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর বৈঠক করেছেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর পর ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কয়েকজন মন্ত্রী পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের তাবরিজের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী বাহাদুরি ঝারোমি।

রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ আলী বাহাদুরি ঝারোমি লিখেছেন, ‘আজ (রবিবার) মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়। এর পর এক্সিকিউটিভ ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য তাবরিজের উদ্দেশে রওনা হন।’

উল্লেখ্য, রবিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর পর অন্তত দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও প্রেসিডেন্টের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারের বিষয়েও কিছু জানা যায়নি। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী হলো তাবরিজ শহর।

ওই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা, দেশজুড়ে দোয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে রোববার (১৯ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা নিউজ জানিয়েছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানকার আবহাওয়া বেশ বিরূপ এবং কুয়াশাচ্ছন্ন। যা উদ্ধার অভিযানকে ব্যাহত করছে।

সরকারি টিভিতে আরও দেখানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির জন্য পুরো দেশজুড়ে দোয়া করা হচ্ছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি বলেছেন, তিনি নিশ্চিত করেন, হেলিকপ্টারটির সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। এর বেশি কিছু তিনি জানাননি। তবে তিনি জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে বলেন, বেশ কয়েক উদ্ধার দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। কুয়াশা ও বাজে আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

"বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উদ্ধারকারী দলগুলি তাদের কাজ করছে। আমরা আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি বের করা হবে," তিনি যোগ করেন।

তবে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব অধ্যয়নের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদির মতে, উদ্ধার টিম হেলিকপ্টারে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এটি হতে পারে কারণ দুর্ঘটনাটি খুব খারাপ বা এমনটিও হতে পারে যে এলাকাটি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত নয়৷ এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে।

৬৩ বছর বয়সী রাইসি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গতকাল শনিবার আজারবাইজানে যান ইব্রাহিম রাইসি। আজ রোববার সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তোলা তার কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফিরছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী ইরানের একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বহনকারী হেলিকপ্টারটি দ্রুতগতিতে ফারজাকান এলাকায় অবতরণ করে বলে জানা গেছে।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইরানের বার্তাসংস্থা ইরনা (ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি) জানায়, হেলিকপ্টারটি দ্রুতগতিতে অবতরণ করে। তবে হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ অন্যান্যদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ কঠিন হচ্ছে বলে ইরনা’র এক সংবাদাতা জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমাটি, তাবরিজের শুক্রবারের প্রার্থনার নেতা হোজ্জাতুলেসলাম আল হাশেম এবং আরো কয়েকজন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, বাজে এক আবহাওয়া বিরাজ করায় উদ্ধার অভিযান চালানো এবং উদ্ধারকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেশখানিকটা সময় লাগছে।

তিনি বলেন, উদ্ধারকারীদল শিগগিরই ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হবে এবং সবাইকে পরবর্তী তথ্য জানানো সম্ভব হবে।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;