আমেরিকার ভবিষ্যৎ: পতন না পুনরুত্থান? 

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন


ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
আমেরিকার ভবিষ্যতে পতন না পুনরুত্থান লুক্কায়িত রয়েছে? ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার ভবিষ্যতে পতন না পুনরুত্থান লুক্কায়িত রয়েছে? ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিকে সংঘাত পেরিয়ে যখন নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করছেন, তখন অন্যদিকে পণ্ডিতদের কপালে আমেরিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার রেখা দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো ধসে পড়বে মহা শক্তিধর আমেরিকা।

'আমেরিকার ভবিতব্য' বিষয়ক বিশ্লেষণের দিক থেকে সবার আগে আছেন জাপানি পণ্ডিতগণ। তারা দাবি করেছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমেরিকার পতন হবে। ঠিক সেভাবেই, যে রূপ পতন হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের।

জাপানের নাগুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কোবায়াসি কোইচি এমন মন্তব্য করেছেন। তার মতে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতন হবে। যেভাবে পতন হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের। এই পতনকে বিশ্ববাসী নিজের চোখে দেখতে পারবেন বলেই মনে করছেন এই প্রফেসর।

বিশ্বসভ্যতা ইতিহাসে কোনো সাম্রাজ্যের উত্থান-পতন নতুন কোনো বিষয় নয়। অতীতে বহু অজেয় এবং পরাক্রমশালী রাষ্ট্র ও সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে তাসের ঘরের মতো।

ইতিহাসে দেখা গেছে, ক্রমান্বয় একটি সভ্যতা বিকশিত হয়ে এক পর্যায়ে চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছলে তারপর সভ্যতার অধঃপতন শুরু হয়। অর্থাৎ চরম শিখরে উপনীত হবার মধ্য দিয়ে সভ্যতা লালনকারী জনগোষ্ঠী তাদের বুদ্ধিমত্তা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা তথা যাবতীয় কর্ম প্রচেষ্টা প্রয়োগের মাধ্যমে নিঃশেষিত হয়ে যায়। এমন অবস্থায় তাদের পক্ষে সভ্যতাটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। তখনই সভ্যতার পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।

তেমন পরিস্থিতিতে সভ্যতার বহিরঙ্গ ও অভ্যন্তরের শক্তির অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে সার্বিক শ্রীহীনতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের অন্তঃদেশীয় ও আন্তঃদেশীয় সমস্যা ও কোন্দল, যা রাষ্ট্রীয় কাঠামো মোকাবিলা করতে  ব্যর্থ হয়।

এমন ক্ষয়িষ্ণ পরিস্থিতি কিছু দিন থাকার পরই শুরু হয় শীর্ষস্থানীয় সভ্যতার পতন। অবশ্যই প্রাকৃতিক বিপর্যয়, আবহাওয়া-জলবায়ুতে মারাত্মক পরিবর্তন, নদ-নদীর গতি প্রবাহে পরিবর্তন, বহিঃ আক্রমণ প্রভৃতি কারণেও সভ্যতার পতন ঘটতে পারে। যেমন ঘটে মানবিক বিপর্যয় ও সংঘাতের কারণেও।

বিশ্বসভ্যতার উত্থান-পতনকে কেন্দ্র করে যেসব মতবাদ বা তত্ত্ব সমাজবিজ্ঞানের চর্চায় প্রচলিত রয়েছে, পাঁচটি প্রধান। তবে সবচেয়ে আলোচিত ও গ্রহণযোগ্য তত্ত্বের জনক বিশ্ববিশ্রুত পণ্ডিত ইবনে খালদুন।

ইবনে খালদুন রাষ্ট্রের উৎপত্তি, বিকাশ, উত্থান-পতন, অবক্ষয় প্রভৃতিকে কালিক ক্রমিকতার সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রের আয়ুস্কাল ১২০ বছর নির্ধারণ করে একে ৪০ বছর ব্যাপি তিনটি পর্বে বিভক্ত করেন। প্রথম পর্বে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে শাসকের প্রতি অনুগত থাকে। দ্বিতীয় পর্বে সূচিত হয় সভ্যতা। এ পর্বে শিথিল হয় আদিম ঐক্যর প্রেরণা। এবং শাসকের কর্তৃত্বের প্রতি আনুগত্যেরও দেখা যায় ফাটল। তৃতীয় পর্বে এসে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায় আদিম ঐক্যবোধ। এবং অনিবার্য হয়ে পড়ে রাষ্ট্রের মৃত্যু তথা সভ্যতার পতন।

সভ্যতার উত্থান-পতন চক্রের পর্যালোচনায় আমেরিকার পরিস্থিতিকে পতনের পথে বলার মতো কারণ দেখা দিয়েছে। বিশেষত, দেশটিতে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর আলোকে পতন ও অবক্ষয়ের আমেরিকার দুর্গতি বিশ্ববাসীর সামনে সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়েছে।

এমনই পটভূমিতে জাপানি পণ্ডিত প্রফেসর কোবায়াসি কোইচি আমেরিকার পতন সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তার মতে, তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে আমেরিকার পতনের। সেগুলো হলো: ১) আমেরিকার বিদেশনীতি, ২) আমেরিকার নাগরিকদের স্বাধীনতা, এবং ৩) আমেরিকায় যন্ত্রের প্রয়োগে আধিক্য।

জাপানি প্রফেসর তার বিশ্লেষণে বলেছেন, আমেরিকায় কিছুদিন আগেই এক কৃষ্ণাঙ্গের ওপর হামলা করে একদল উগ্র শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী। পরবর্তীকালে কৃষ্ণাঙ্গরাও মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলা করে সেই ঘটনার বদলা নেন। ঘটনাটি নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছিল মার্কিন মুলুকে। এই ধরনের দাঙ্গা এর আগেও আমেরিকায় হয়েছে। তবে আগামী দিনে এই ঘটনা আরও বাড়বে। প্রশাসন কার দিকে তাদের সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেবে তার ওপর নির্ভর করবে সেই সময়ের পরিস্থিতি। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা যেভাবে বিদ্রোহ করেছিলেন তা এই ঘটনার নতুন একটি দিক সামনে আনে। বিদ্রোহীদের হাতে যে ধরনের অস্ত্রের হদিস মিলেছে তা অতি উন্নত, বিপজ্জনক এবং রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি স্বরূপ।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কার পাশাপাশি আমেরিকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পরিচালিত একাধিক সামাজিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই মার্কিন দেশে মার্কিনীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। সেদিক থেকে দেখা যায়, কৃষ্ণাঙ্গদের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে আসা বিদেশিরা তাদের আধিক্য বাড়িয়ে চলেছে। এই ধারা চলতে থাকলে আগামী দিনে মার্কিন নাগরিকরা যথেষ্ট চাপের সামনে পড়বেন। তাদেরকে ছাপিয়ে যাবে বিদেশীরা। ফলে মার্কিন রাজনীতি যথেষ্ট পরিমাণে পরিবর্তন‍ হবে। সাদা এবং কালোর এই লড়াইতে শেষ হাসি কে হাসবে সেকথা এখনই বলা না গেলেও অনুমান করা যায়, এই অবস্থা ভয়ঙ্কর রূপ নেবে।

অথচ আমেরিকার প্রকৃত চিত্রটি ছিল ভিন্ন। দেশটি ছিল বিশ্বের সকল দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের স্বাগত জানাতে উন্মুখ। তখন পরিস্থিতি এমন ছিল যে, বিশ্বের যেকোনও দেশের নাগরিকরা আমেরিকায় গিয়ে কাজ করতে বা থাকতে পছন্দ করতেন। যা ছিল আমেরিকার শক্তি, ঐক্য ও সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি।

কিন্তু ক্রমশ এই ধারার বদল ঘটেছে। খোদ মার্কিন নাগরিকরা এবার বিশ্বের অন্য দেশে গিয়ে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করতে চাইছেন। সম্প্রদায় ও জাতিগত হিংসার বিষবাষ্প প্রায়ই নাগরিক ও সমাজ জীবনকে রক্তাক্ত করছে। উপরন্তু  আমেরিকার বিদেশনীতি আক্রমণাত্মক, যুদ্ধবাজ ও অমানবিক রূপে সমালোচিত হচ্ছে। দেশের ভেতরে ও বাইরে আমেরিকার এহেন অবক্ষয়ের চিত্র দেশটির দুর্বলতা ও পতনের পদচিহ্ন বলে মনে করছেন পণ্ডিতগণ।

ফলে প্রশ্ন ও বিতর্ক উঠেছে এই বলে যে, আগামী ১০ বছরেই কি ভেঙে যাবে আমেরিকা? এটা অনেকটা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় প্রশ্ন বলে মনে হলেও অসম্ভব নয়। আসিরিয়া, ব্যাবিলন, মায়া, ইনকা, অ্যাজটেক, গ্রিক, রোমান প্রভৃতি মহা পরাক্রমশালী সভ্যতার মতোই নিকট-অতীতে ভেঙে পড়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। টাইটানিক জাহাজের যেমন নিমজ্জিত হওয়ার কথা না থাকলেও সেটি ডুবে গিয়েছিল, তেমনিভাবে মহাশক্তিধর রাষ্ট্র বা সাম্রাজ্যের পতন অভাবণীয় মনে হলেও মোটেই অসম্ভব নয়।

আমেরিকার ক্ষেত্রে চিত্রটি কেমন হবে, তার উত্তর একমাত্র ভবিষ্যতের গর্ভেই লুকিয়ে আছে। আমেরিকার ভবিষ্যতে পতন নাকি পুনরুত্থান লুক্কায়িত রয়েছে, সেটাই এখন বিশ্ববাসীর দেখার বিষয়।

   

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে গৃহহীনদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত একটি গেস্টহাউসে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের খবর রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুন নেভাতে পাঁচটি ট্রাক এবং কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রেরণ করেছে।’

তিনি আর লিখেছেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাব। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’

ব্রাজিলের মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা ভবনটি আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং য়ায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।

মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আহতদের সংখ্যা ১১ জন বলে জানানো হয়েছে।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

ছয় বছরে বিজেপির গুগলে বিজ্ঞাপন খরচ ১০০ কোটি রুপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুগল এবং ইউটিউবে ১০০ কোটি রুপির বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এত টাকার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিল।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) মোট যত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তারচেয়ে বেশি টাকার বিজ্ঞাপন একাই দিয়েছে বিজেপি। সেটি ১০১ কোটি রুপিও বেশি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যত খরচ করা হয়েছে, তার ২৬ শতাংশই করেছে বিজেপি। ছয় বছরে মোট ৩৯০ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে।

গুগলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বলতে শুধু রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনকেই বোঝায় না। এই তালিকায় রয়েছে সংবাদ মাধ্যম, সরকারের প্রচার বিভাগ, এমনকি রাজনীতিক, অভিনেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনও।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, ছয় বছরে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজারটি বিজেপির।

এর মধ্যে আবার দলের সব থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে। কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশে গুগলে প্রকাশ করা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ রুপির বিজ্ঞাপন। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও দিল্লি। এমনিতে গুগলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে। তারপরে রয়েছে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ।

গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির পর রয়েছে কংগ্রেস। ছয় বছরে ৪৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। এই সময়ে মোট ৫,৯৯২টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই ৯.৬ কোটি রুপি করে খরচ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬.৩ কোটি রুপি খরচ করেছে।

কংগ্রেসের পর রয়েছে ডিএমকে। গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে তারা তৃতীয় স্থানে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৪২ লাখ রুপি খরচ করেছে তারা। তার মধ্যে ১৬.৬ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা।

তামিলনাড়ুর বাইরে কর্নটকে ১৪ কোটি রুপি এবং কেরলে ১৩ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল। ভারত রাষ্ট্রসমিতি (বিআরএস) ২০১৩ সালের নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১২ কোটি রুপি খরচ করেছে। আইপ্যাক তৃণমূলের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে গুগলে ৪.৮ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, তা জানলে বিস্মিত হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস গুগলে ৫.৭ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর বিজেপি দিয়েছে ৫.৩ কোটি রুপির।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য: অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তবে, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে দেশটির শিক্ষার্থীদের নীরবতার সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কখনও কখনও রাসায়নিক টেজার ব্যবহার করছে। ফলে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

বিক্ষোভকে স্তব্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

চীনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই ধরনের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যেকোনো সময় তাদের মতামত, উদ্বেগ এবং ক্রোধ প্রকাশ করতে পারে, যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের বিক্ষোভ একটি দেশের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদকারীরা হামাসের নিন্দা করেনি, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব হামলা চালিয়েছিল।’

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যুদ্ধ গতকাল শেষ হতে পারতো, এটি আগামীকালও শেষ হতে পারে। যদি হামাস তার অস্ত্র নামিয়ে বেসামরিকদের পেছনে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবেই শান্তি ফিরবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে হামাস সেটি না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।’

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি দেশই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো দেয় রাশিয়া। অপর দেশ চীন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। খসড়াটিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাধর দেশের পাশাপাশি সব রাষ্ট্রকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

খসড়ায় ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি সমর্থনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মহাকাশে কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন না করতে সম্মত হয়েছিল এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন পদক্ষেপকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, সহজবোধ্য প্রস্তাবটি এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করত। তবুও এতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই মস্কোর।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের ভেটো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি কি এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন না, যা সে নিয়মগুলো মেনে চলাকেই নিশ্চিত করে? আপনি কী লুকাতে চান?’ অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, প্রস্তাবটির পেছনে ‘গোপন ও নিষ্ঠুর’ উদ্দেশ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন, মহাকাশভিত্তিক একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। পরে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করে, ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির প্রতি তারা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে মস্কোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক নজরদারি, মার্কিন সামরিক অভিযান থেকে শুরু করে জিপিএস সিস্টেম, আর্থিক লেনদেনের মতো বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের স্যাটেলাইটগুলোকে টার্গেট করা হলে রীতিমতো অচল হয়ে পড়বে দেশটি।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;