কেলেঙ্কারিতে সমাপ্ত 'করোনার সুপার স্প্রেডার' ট্রাম্পের প্রচারণা, উজ্জীবিত বাইডেন

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন


ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে একদিন। তারপর ৩ নভেম্বর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভোটের শেষ বেলায় ট্রাম্পের কপালে অভিযোগ-মিশ্রিত খেতাব জুটলো করোনার 'সুপার স্প্রেডার'! কেলেঙ্কারিতে সমাপ্ত হলো ট্রাম্পের প্রচারণা।

অভিযোগটি গোঁড়ায় রাজনৈতিক হলেও পরে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাম্প সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি একটি নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ভিত্তিতে অভিযোগের কাঠগড়ায় জায়গা পেলেন। প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে এমনই এক কেলেঙ্কারির কালিমা মুখে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল আরেক রিপাবলিকান প্রার্থী নিক্সনের।

নিক্সনের বিরুদ্ধে ছিল 'ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারি'র অভিযোগ। আর ট্রাম্পের ক্ষেত্রে 'করোনা কেলেঙ্কারি'র দুর্নাম, যার নির্বাচনী জনসভার কারণে ৩০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন সাত শতাধিক মার্কিন নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের নামজাদা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পরিচালিত একটি নিরপেক্ষ সমীক্ষার ফলাফলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগটি উত্থাপিত হয়েছে।

গবেষকদের দাবি, যে সব জায়গায় ট্রাম্প জনসভা বা র‌্যালি করেছেন, সেখানে জীবনের বিনিময়ে মূল্য চোকাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যে সমীক্ষা করেছেন তার শিরেনাম ‘দ্য এফেক্টস অব লার্জ গ্রুপ মিটিংস অন দ্য স্প্রেড অব কোভিড-১৯: দ্য কেস অব ট্রাম্প র‌্যালিজ’।

দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছে ফ্লোরিডা রাজ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার সভার। বিতর্কও তৈরি হয়েছে। দূরত্ববিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সভায় জনস্রোত নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

অথচ পরিস্থিতি এমন যে, গোটা ইউরোপ এবং আমেরিকাতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান বাড়ছে। তার মধ্যে আমেরিকায় নির্বাচন হচ্ছে আর ট্রাম্পের নির্বাচনী সভায় অনিয়ন্ত্রিত ও বিধি-অমান্যমূলক ভিড় দেখে সংক্রমণ সুনামির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। আর ট্রাম্পকে বলছেন 'করোনার সুপার স্প্রেডার'।

যদিও প্রত্যেক সভায় করোনা মহামারি মোকাবেলা নিয়ে সাফল্যের দাবি করছেন ট্রাম্প। সবাইকে বলছেন, সংক্রমিত হলে চিন্তা নেই, প্রত্যেকে ঠিক হয়ে যাবেন। যেমনটা তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যদিও বড় জমায়েত সর্বত্র অনুমোদিত নয়, তবুও ট্রাম্প বড় জনসভা করেই যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিয়ম ভাঙছেন। অনেকেরই মুখে মাস্ক, শারীরিক দূরত্ববিধির বালাই দেখা যাচ্ছে না। যেজন্য গবেষকরা পর্যন্ত দোষারোপ করেছেন ট্রাম্পকে।

সর্বশেষ স্বাস্থ্য বুলেটিনের তথ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৯০ লাখ। মারা গেছেন প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিষয়টিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুরুত্বই দেননি। তার অভিযোগ তার বিরোধীরা এই ইস্যুকে তার পিছনে ব্যবহার করছে। তিনি সতর্ক করছেন এই বলে যে, যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বাইডেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে আবারো লকডাউনে পড়তে হবে। কিন্তু আরেকটি লকডাউন সহ্য করার সক্ষমতা নেই যুক্তরাষ্ট্রের।

ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনও ট্রাম্পের সভাগুলোকে 'সুপার স্প্রেডার' বলে কটাক্ষ করেছেন, যা পরে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। তবে তিনি নিজে কম জনসভা করেছেন, ভার্চুয়াল সভা এবং ড্রাইভ-ইন কর্মসূচির উপর জোর দিয়েছেন বেশি। যেখানে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে হর্ন বাজিয়ে জনতা নিজেদের সমর্থন জাহির করছেন।

এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শেষলগ্নে রাজ্যভিত্তিক নির্বাচনগুলোতে দেখা গিয়েছে, বাইডেন ট্রাম্পের থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। রিপাবলিকানদের সমর্থনকারী রাজ্যগুলোতেও ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বাইডেনের। কোথাও কোথাও আবার খুব কম মার্জিনেও এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন।

জনমত জরিপে বাইডেন কাছাকাছি থাকায় ট্রাম্প হতাশা প্রকাশ করেছেন। কারণ, বাইডেনকে তিনি অনেক দুর্বল প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে থাকেন। ট্রাম্প বলেছেন, 'এটা কি আমার ক্ষেত্রে ঘটবে? কিভাবে আমাদের দু’জনের টাই হতে পারে?'

জাতীয় পর্যায়ের সর্বশেষ জরিপেও জো বাইডেন বেশ ভালভাবে এগিয়ে আছেন ট্রাম্পের চেয়ে। কিন্তু সুইংস্টেটগুলোতে তারা কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, যদি ট্রাম্প আবার বিজয়ী হতে চান তাহলে তাকে ২০১৬ সালের মতো ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, আইওয়া এবং অ্যারিজোনার মতো রাজ্যগুলোতে জিতে আসতে হবে। তাকে জিততে হবে কমপক্ষে পেনসিলভ্যানিয়া, মিশিগান অথবা উইসকনসিনের মতো রাজ্যে। তিনি যে বিজয়ী হবেন এ বিষয়ে কিছু রিপাবলিকান আশাবাদী। তবে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, যে ৯ কোটি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন তারা হয়তো ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন।

এরপরেও বিস্ময়কর বিজয় আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নাটকীয়তায় ভরপুর নির্বাচনে রোববার (১ নভেম্বর) দু’দিনের ঝটিকা প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। চষে বেড়াচ্ছেন ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলোতে। দৃশ্যত পুনরায় তার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসছে বলে প্রায় সব জরিপে মনে করা হলেও তিনি সব হিসাব নিকাশকে 'নস্যাৎ' করে ফিরতে চান হোয়াইট হাউজে। জয়ী হলে আবার চার বছর হোয়াইট হাউজের দখল পাবেন তিনি। না হলে, জর্জ এইচডব্লিউ বুশের সময় থেকে এ পর্যন্ত তিনিই হবেন প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ব্যর্থ হয়েছেন।

প্রচার মাধ্যমের খবরে প্রকাশ, রোববার ও সোমবার, নির্বাচনের প্রচারণার শেষ বেলায় ১০টি র‌্যালিতে অংশ নিচ্ছেন ট্রাম্প। দিনে তিনি পাঁচটি র‌্যালিতে অংশ নিচ্ছেন। আগামী মঙ্গলবার নির্বাচন। সেদিন সমর্থকদের ঘর থেকে বের করে আনতে যতটা সম্ভব প্রভাবিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। রোববার তার র‌্যালি করার কথা মিশিগান, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও ফ্লোরিডায়। সোমবার প্রচারণা চালানোর কথা নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভ্যানিয়া, উইসকনসিন এবং মিশিগানে। সোমবার রাতের শেষ ভাগে মিশিগানে গ্র্যান্ড র‌্যাপিডসে তার প্রচারণা শেষ হওয়ার কথা। এখানেই তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন। চার বছর আগে অসম্ভাব্য বিজয়ে তিনি মিশিগান, পেনসিলভ্যানিয়া, উইসকনসিন রাজ্যে জয় পেয়েছিলেন। এই তিনটি রাজ্য কয়েক দশক ধরে ছিল ডেমোক্রেটদের ঘাঁটি।

মোটেও বসে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনও। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় মরণপণ লড়ছেন তিনি। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ট্রাম্পের ব্যর্থতাকে নির্বাচনে মূল ইস্যু বানিয়ে চূড়ান্ত প্রচারণায় ব্যস্ত ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। তিনিও রোববার (১ নভেম্বর) প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। ছিলেন পেনসিলভ্যানিয়াতে। এটি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পালন করে নির্ধারকের ভূমিকা।

আর মাত্র একদিন পরেই নির্ধারণ হয়ে যাবে হোয়াইট হাউজের মসনদে কে বসবেন। বাইডেন হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট নাকি ট্রাম্পই ধরে রাখবেন আসন। জরিপ ও জনমত যদিও বাইডেনের দিবে, তবুও আশঙ্কার মেঘ কাটছে না। গত ২০১৬ সালের নির্বাচনকালে প্রচারণা ও জরিপে হিলারি ক্লিনটন এগিয়ে থেকেও হেরে যান ট্রাম্পের কাছে। এবার চিত্রটি কেমন হবে, ফলাফল প্রকাশের আগে কেউই হলফ করে বলতে পারছেন না।

   

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে গৃহহীনদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত একটি গেস্টহাউসে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের খবর রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুন নেভাতে পাঁচটি ট্রাক এবং কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রেরণ করেছে।’

তিনি আর লিখেছেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাব। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’

ব্রাজিলের মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা ভবনটি আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং য়ায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।

মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আহতদের সংখ্যা ১১ জন বলে জানানো হয়েছে।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

ছয় বছরে বিজেপির গুগলে বিজ্ঞাপন খরচ ১০০ কোটি রুপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুগল এবং ইউটিউবে ১০০ কোটি রুপির বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এত টাকার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিল।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) মোট যত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তারচেয়ে বেশি টাকার বিজ্ঞাপন একাই দিয়েছে বিজেপি। সেটি ১০১ কোটি রুপিও বেশি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যত খরচ করা হয়েছে, তার ২৬ শতাংশই করেছে বিজেপি। ছয় বছরে মোট ৩৯০ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে।

গুগলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বলতে শুধু রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনকেই বোঝায় না। এই তালিকায় রয়েছে সংবাদ মাধ্যম, সরকারের প্রচার বিভাগ, এমনকি রাজনীতিক, অভিনেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনও।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, ছয় বছরে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজারটি বিজেপির।

এর মধ্যে আবার দলের সব থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে। কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশে গুগলে প্রকাশ করা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ রুপির বিজ্ঞাপন। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও দিল্লি। এমনিতে গুগলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে। তারপরে রয়েছে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ।

গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির পর রয়েছে কংগ্রেস। ছয় বছরে ৪৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। এই সময়ে মোট ৫,৯৯২টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই ৯.৬ কোটি রুপি করে খরচ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬.৩ কোটি রুপি খরচ করেছে।

কংগ্রেসের পর রয়েছে ডিএমকে। গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে তারা তৃতীয় স্থানে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৪২ লাখ রুপি খরচ করেছে তারা। তার মধ্যে ১৬.৬ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা।

তামিলনাড়ুর বাইরে কর্নটকে ১৪ কোটি রুপি এবং কেরলে ১৩ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল। ভারত রাষ্ট্রসমিতি (বিআরএস) ২০১৩ সালের নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১২ কোটি রুপি খরচ করেছে। আইপ্যাক তৃণমূলের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে গুগলে ৪.৮ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, তা জানলে বিস্মিত হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস গুগলে ৫.৭ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর বিজেপি দিয়েছে ৫.৩ কোটি রুপির।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য: অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তবে, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে দেশটির শিক্ষার্থীদের নীরবতার সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কখনও কখনও রাসায়নিক টেজার ব্যবহার করছে। ফলে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

বিক্ষোভকে স্তব্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

চীনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই ধরনের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যেকোনো সময় তাদের মতামত, উদ্বেগ এবং ক্রোধ প্রকাশ করতে পারে, যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের বিক্ষোভ একটি দেশের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদকারীরা হামাসের নিন্দা করেনি, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব হামলা চালিয়েছিল।’

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যুদ্ধ গতকাল শেষ হতে পারতো, এটি আগামীকালও শেষ হতে পারে। যদি হামাস তার অস্ত্র নামিয়ে বেসামরিকদের পেছনে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবেই শান্তি ফিরবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে হামাস সেটি না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।’

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি দেশই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো দেয় রাশিয়া। অপর দেশ চীন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। খসড়াটিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাধর দেশের পাশাপাশি সব রাষ্ট্রকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

খসড়ায় ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি সমর্থনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মহাকাশে কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন না করতে সম্মত হয়েছিল এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন পদক্ষেপকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, সহজবোধ্য প্রস্তাবটি এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করত। তবুও এতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই মস্কোর।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের ভেটো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি কি এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন না, যা সে নিয়মগুলো মেনে চলাকেই নিশ্চিত করে? আপনি কী লুকাতে চান?’ অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, প্রস্তাবটির পেছনে ‘গোপন ও নিষ্ঠুর’ উদ্দেশ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন, মহাকাশভিত্তিক একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। পরে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করে, ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির প্রতি তারা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে মস্কোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক নজরদারি, মার্কিন সামরিক অভিযান থেকে শুরু করে জিপিএস সিস্টেম, আর্থিক লেনদেনের মতো বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের স্যাটেলাইটগুলোকে টার্গেট করা হলে রীতিমতো অচল হয়ে পড়বে দেশটি।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;