লড়াইয়ে ট্রাম্প-বাইডেন, জেনে নিন তাদের সম্পর্কে

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লড়াইয়ে ট্রাম্প-বাইডেন, জেনে নিন তাদের সম্পর্কে

লড়াইয়ে ট্রাম্প-বাইডেন, জেনে নিন তাদের সম্পর্কে

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। দুই প্রার্থী তাদের প্রচারণাও শেষ করেছেন। করোনায় নানামুখী সংকটে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে এবারের নির্বাচন হবে অন্যান্য নির্বাচন থেকে একবারে আলাদা এবং চ্যালেঞ্জিং। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার এ লড়াইয়ে এবার মুখোমুখি রিপাবলিকান প্রার্থী ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।

এখন পর্যন্ত ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত দেশটির নয় কোটিরও বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছে। দেশটিতে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। জনমত জরিপগুলো বলছে- জো বাইডেন এগিয়ে থাকলেও চার বছর আগের নির্বাচনে বিশ্লেষকদের নিশ্চিত রায় ভুল হওয়ায় নির্দ্বিধায় কোন ধরনের পূর্বাভাস বা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন না বিশ্লেষকরা।

তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যেই হোক না কেন? চলুন জেনে নেই এই দুই প্রধান প্রার্থী সম্পর্কে-


টেলিভিশন সেলিব্রেটি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট- ডোনাল্ড ট্রাম্প


আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও টেলিভিশন সেলিব্রেটি হিসেবে হিসেবে আলোচিত ছিলেন।

১৯৪৬ সালে নিউ ইয়র্কের বিত্তশালী ফ্রেড ট্রাম্পের ঘরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্ম। পাঁচ সন্তানের মধ্যে ট্রাম্প চতুর্থ। তার মা ম্যারী অ্যানী স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা ছিলেন। ১৩ বছর বয়সে ট্রাম্পকে সামরিক স্কুলে দেওয়া হয়।

সামরিক একাডেমিতে থাকাকালীন সম েট্রাম্প

ট্রাম্প ১৯৬৮ সালে পেনসিলভানিয়া হোয়ার্টন বিজনেস স্কুল থেকে অর্থনীতির উপর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

এক ইন্টারভিউতে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন- পিতার কাছ থেকে ১০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ নিয়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেন। পরে অবশ্য বাবার কোম্পানিতে যোগ দিয়ে ব্যবসার বিপুল প্রসার করেন। ১৯৭১ সালে বাবার কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে  ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’ রাখেন।

রিয়েল এস্টেটের ব্যবসার পাশাপাশি ট্রাম্প বিনোদন জগতের ব্যবসায়ও সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। ১৯৯৬ সালে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মিস ইউনির্ভাসসহ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতার সফল আয়োজক ছিলেন ট্রাম্প। দ্য অ্যাপ্রেন্টিস নামে জনপ্রিয় একটি রিয়েলিটি টিভি শো উপস্থাপনা করতেন তিনি।

দ্য অ্যাপ্রেন্টিস নামে জনপ্রিয় একটি রিয়েলিটি টিভি শো উপস্থাপনা করতেন ট্রাম্প

আমেরিকার ধনকুবের ট্রাম্প ১৯৮৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগাইন’ স্লোগানে আনুষ্ঠনিকভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পত্তি ৩৭০ কোটি ডলার। যদিও ট্রাম্প দাবি করেন তার সম্পত্তির পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার।

বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া নস

ট্রাম্প জীবনে তিনবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তার ব্যক্তিগত জীবনও বেশ আলোচিত। তিনি ১৯৭৭ সালে মডেল ইভানা জেলনিকোভাকে বিয়ে করেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। ইভানা ‘দ্য ট্রাম্প’ নামে ট্রাম্পকে সম্বোধন করতেন এরপর থেকেই এই নামটি ব্যাপকভাবে প্রচার হয়। ইভানার সাথে থাকাকালীন ট্রাম্প অভিনেত্রী মার্লা ম্যাপলসের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯১ সালে ইভানা আর ট্রাম্পের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। ট্রাম্প আর অভিনেত্রী মার্লা ম্যাপলস্‌ ১৯৯৩ সালে একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন। ওই বছরেই তারা দুইজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯৯ সালের জুন মাসে তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে।

পরিবারের সাথে ট্রাম্প

ট্রাম্প ১৯৯৮ সালে স্লোভেনিয়ান-বংশোদ্ভুত মডেল মেলানিয়া নসের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৫ সালে তারা বিয়ে করেন। ২০০৬ সালে এই দম্পতি ঘরে ব্যারন উইলিয়াম ট্রাম্প নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।

২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের পর ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৫ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও টেলিভিশন সেলিব্রেটি হিসেবে হিসেবে আলোচিত ছিলেন

ব্যক্তি জীবনের মতো রাজনীতিক জীবনেও ট্রাম্প নানা বিতর্ক সৃষ্টি করেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ, মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন না দিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া, ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা, ইরাক-আফগানিস্থান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করা, জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা- এমন নানা ইস্যু নিয়ে ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন ট্রাম্প। এমনকি তাকে ইম্পিচমেন্টের (অভিশংসন) মুখোমুখি হতে হয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন ক্ষমতার চার বছর মেয়াদ তিনি পূরণ করতে পারবেন না। কিন্তু সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী তিনি।


৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দৌড়ে-জো বাইডেন


জো বাইডেনের রাজনীতিতে পথ চলা ৫০ বছর! ২০০৯-১৭ পর্যন্ত আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন তিনি। ৩৬ বছর ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের সিনেটর ছিলেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।

৪৬ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন

পেনসিলভানিয়া ১৯৪২ সালে ক্যাথলিক পরিবারে জন্ম জো বাইডেনের। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো ধনাঢ্য পরিবারে সন্তান ছিলেন না বাইডেন। অভাব-অনটনের কারণে তার পরিবারকে ডেলাওয়্যারে আসতে হয়। ছোট বেলায় তেতলামির জন্য নানা কটুক্তি শুনতে হয়েছে তাকে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেই সমস্যা তিনি কাটিয়ে ওঠেন। পড়াশুনা করেছেন আইন, ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। সেরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক অর্জনের আগে ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে পড়েন তিনি। কৈশোর থেকে জো বাইডেনের মধ্যে নেতৃত্বগুণ ছিল।

ব্যক্তিজীবনে নানা ট্র্যাজেডির মুখোমুখী হয়েছেন জো বাইডেন। সড়ক দুর্ঘটনা, অকালে সন্তান হারানোর মতো ঘটনা ছিল তার পারিবারিক জীবনে। ১৯৬৬ সালে সহপাঠী নেইলা হানটারকে বিয়ে করেন। তাদের তিন সন্তান ছিল। ১৯৭২ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনা স্ত্রী নেইলাসহ একমাত্র কন্যা নাওমিকে হারান বাইডেন।

প্রথম স্ত্রী নেইলা হান্টার ও সন্তানদের সাথে জো বাইডেন

দীর্ঘ পাঁচ বছর নিঃসঙ্গ জীবন যাপনের পর ১৯৭৭ সালে তার শিক্ষিকা জিল ট্রেসি জ্যাকবসকে বিয়ে করেন।  ২০১৫ সালে মস্তিস্ক কানসারে তার বড় ছেলে বো বাইডেন মৃত্যুবরণ করেন।

শুরুতে জো বাইডেন আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও পরে নগর পরিষদের একটি আসনে জয়ের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৭২ সালে সিনেটে বিজয় আসে তার। মাত্র ৩০ বছর বয়সে শক্তিশালী সিনেট নেতাকে হারিয়ে ডেমোক্র্যাট দলের এক সম্ভাবনাময় তরুণ নেতাতে পরিণত হন। ১৯৮৮ ও ২০০৮ সালে হোয়াইট হাউসের যাওয়ার লড়াইয়ে অংশ নিলেও সুবিধা করতে পারেননি।

৩৬ বছর ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের সিনেটর ছিলেন জো বাইডেন

২০০৮ সালে জো বাইডেনকে রানিংমেট হিসেবে বেছে নেন ওবামা। ওই সময় ওবামা বলেন, বাইডেন পররাষ্ট্র বিষয়ে ঝানু রাজনীতিবিদ। আমেরিকার পররাষ্ট্র সম্পর্কিত সিনেট কমিটির সভাপতি ছিলেন জো বাইডেন। ২০০২ সালে ইরাকে যুদ্ধে যাওয়ার বিষয়ে তিনি অনুমোদন দেন। তবে এর আগে এর জর্জ ডব্লিউ বুশের সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিরোধিতা করায় তোপের মুখে পড়েন তিনি।

পরবর্তীতে তিনি বলকান গৃহ যুদ্ধ, ইরাকে বোমা হামলা, আফগানিস্তান দখলদারিত্বে সমর্থন দেন। ফলে নিজ দল ডেমোক্র্যাটে সমালোচিত হন। জো বাইডেন ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

বর্তমান স্ত্রী জিল ট্রেসি জ্যাকবস

এবার প্রেসিডেন্ট নির্বোচনের লড়াইয়ের ঘোষণা দেওয়া পর ইরানের সাথে আলোচনা, প্যারিস চুক্তি সমর্থন করেন তিনি। এছাড়াও আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সৌদ আরবকে সমর্থন না করার আহ্বান জানান। 

জো বাইডেনের ৫০ বছরের রাজনীতিক ক্যারিয়ারে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার এটাই শেষ লড়াই। এখন দেখা যাক- আমেরিকার জনগণ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবার সুযোগ দেন, নাকি ঝানু রাজনীতিবিদ অমায়িক জো বাইডেনের দিকে জয়ের পাল্লা ভারী করেন।৩ নভেম্বরের পর এই অপেক্ষার উত্তর মিলবে ব্যালট বক্সে।

   

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংকট-কবলিত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) জাপান পুনরায় অর্থায়ন শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংস্থাটি গাজাকে প্রায় সমস্ত সাহায্যের সমন্বয় করে। সরকার এ কথা জানিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ’র ১৩ হাজার গাজা কর্মচারীর মধ্যে ১২ জন ৭ অক্টোবর হামাসের মারাত্মক হামলায় জড়িত ছিল বলে ইসরায়েলের অভিযোগের পর সংস্থার ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থায়নকারী জাপান এক ডজনেরও বেশি দেশের সাথে তাদের তহবিল স্থগিত করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া প্রশাসন ও স্বচ্ছতা জোরদার করার জন্য সংস্থার গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) টোকিওতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনির সাথে দেখা করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাপান এবং ইউএনআরডব্লিউএ নিশ্চিত করেছে, তারা জাপানের অবদান পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টার বিষয়ে চূড়ান্ত সমন্বয় এগিয়ে নেবে।

জাপানি মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে স্থগিত হওয়া তহবিল পুনরায় চালু করা হবে। এপ্রিলের প্রথমার্ধে সহায়তা সংস্থায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তহবিল আকস্মিকভাবে স্থগিত হওয়ায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর গাজায় মরিয়া প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদানের প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। যেখানে জাতিসংঘ আসন্ন দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে সতর্ক করেছে।

এই মাসে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন এবং অন্যান্যরা বলেছে, তারা সাহায্য সরবরাহ আবার শুরু করছে।

লাজারিনি মঙ্গলবার বলেছেন, সংস্থাটির অন্তত মে মাসের শেষ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট তহবিল রয়েছে।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' এ তথ্য জানিয়েছে।

যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে "লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লাহর রকেট ডিপোর কাছাকাছি একটি এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হামলায় ৩৬ সিরীয় সৈন্য" নিহত হয়েছে"।

সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে চালানো সিরিয়ায় বিমান হামলায় হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন।

গত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

রাশিয়ার ২৬ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।

জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন, রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ব্ল্যাক সি’য়ের ওপর থেকে রাশিয়ান বিমানের নিক্ষেপ করা ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের যুদ্ধক্ষমতা হারিয়েছে।

ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপার বলেছেন, পরবর্তীতে রাশিয়া সকালে আরও একবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই হামলায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

গাজায় দুর্ভিক্ষ বন্ধে ইসরায়েলকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছে, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, এই রায়টি যথেষ্ট নয়। দুর্ভোগ বন্ধ করতে ইসরায়েলকে অবশ্যই সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গাজায়, বিশেষ করে উত্তর গাজা উপত্যকায় মানবিক ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানোর জন্য যেকোনও নতুন দাবিকে আমরা স্বাগত জানাই, তবে আমরা আশা করি যে গাজায় আমাদের লোকেরা যে সমস্ত দুর্দশার মধ্য দিয়ে বসবাস করছে তার সমাধান হিসেবে আদালত যুদ্ধবিরতির আদেশ দেবেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ভোট দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভোট থেকে বিরত ছিল, কিন্তু ভেটো দেয়নি।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;