সাহিত্যে ‘পেন পিন্টার’ পুরস্কার পেরেন অরুন্ধতী রায়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায়/ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায়/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাহিত্যে অসাধারণ প্রতিভা ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের জন্য এ বছর ‘পেন পিন্টার’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায়। নোবেল জয়ী নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই পুরস্কার দেওয়া হয় ইংলিশ পেনের পক্ষ থেকে। ২০০৯ সাল থেকে বার্ষিকভাবে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।

অরুন্ধতী রায়ের হাতে এই পুরস্কার আগামী ১০ অক্টোবর তুলে দেওয়া হবে। ব্রিটিশ লাইব্রেরির পক্ষ থেকে যুগ্মভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এদিন তিনি একটু বিশেষ স্পিচও দেবেন।

প্রতিবার এই পেন পিন্টার প্রাইজ এমন একজনকে দেওয়া হয়ে থাকে যার লেখার মাধ্যমে সমাজের বাস্তব এবং সত্য উঠে আসে। এবারের এই পেন পিন্টার প্রাইজের জুরি সদস্য হিসেবে ছিলেন ইংলিশ পেন চেয়ার রুথ বর্থউইক, অভিনেতা খালিদ আবদাল্লা, লেখক রজার রবিনসন।

এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন মাইকেল রসেন, মার্গারেট অ্যাটউড, ম্যালোরি ব্ল্যাকম্যান, সালমান রুশদি, টম স্টপপার্ড, ক্যারল অ্যান ডাফি।

অরুন্ধতী রায়ের নাম ঘোষণা করে এবার জুরি সদস্যদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অরুন্ধতী রায়কে আমরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবারের ২০২৪ এর পেন পিন্টার প্রাইজ পাওয়ার জন্য। তিনি নিয়মিতভাবে অন্যায় অবিচারের গল্প বলেন বুদ্ধি এবং সৌন্দর্যের সঙ্গে। তার ভাবনা আন্তর্জাতিক মানের। তার কণ্ঠকে কখনও রোধ করা যাবে না।


৬২ বছর বয়সী অরুন্ধতী রায় একজন স্পষ্টভাষী লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি প্রায়ই তার বক্তৃতা এবং লেখার জন্য ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলির কাছে হেনস্তার শিকার হন। ভারতের মানবাধিকারের বিষয়গুলোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ এবং পুঁজিবাদ সম্পর্কে নিয়মিত লিখছেন বুকার পুরস্কার বিজয়ী এ লেখক।

ভারতের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের নতুন সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। দেশটির ৩০তম সেনাপ্রধান হলেন তিনি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, রবিবার (৩০ জুন) সেনাপ্রধান হিসাবে মনোজ পাণ্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার পরেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপেন্দ্র। তিনি এত দিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান পদে ছিলেন।

জানা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং চীন সীমান্ত সামলানোর বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে উপেন্দ্রের। সেনাবাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে যুক্ত তিনি।

একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে টীন সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা সামলেছেন উপেন্দ্র। চীনের সঙ্গে সমঝোতার আলোচনায়ও অন্যতম ছিলেন তিনি।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর উপপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন উপেন্দ্র। তার আগে তিনি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নর্দার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ ছিলেন।

বর্তমানে সেনাপ্রধান হিসাবে তাকে নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে হবে।

মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার স্কুলের ছাত্র ছিলেন উপেন্দ্র। ১৯৮৪ সালে তিনি ১৮ জম্মু-কাশ্মীর রাইফেলসে যোগ দেন।

ভারতের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর দীর্ঘ ৪০ বছরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। নর্দার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার হিসাবে দীর্ঘ দিন কাশ্মীরে কাজ করেছেন উপেন্দ্র। সেখানে একাধিক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের পরিকল্পনা করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন।

চীনের ক্ষেত্রেও বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে উপেন্দ্রের। চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষ এবং টানাপড়েন চলাকালীন সমঝোতার জন্য যারা আলোচনা করেছিলেন, তাদের মধ্যে উপেন্দ্র ছিলেন অন্যতম।

;

ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৩ হিজবুল্লাহ সদস্য নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের দক্ষিণ-পূর্ব গ্রামে হাউলাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় রবিবার (৩০ জুন) ৩ হিজবুল্লাহ সদস্য নিহত হয়েছে।

লেবাননের সামরিক সূত্র সিনহুয়াকে জানিয়েছে, হাউলায় একটি দোতলা ভবনে ইসরায়েলি ড্রোন থেকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে ওই তিন হিজবুল্লাহ সদস্য নিহত হয়।

সিনহুয়া জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় ওই দোতলা ভবনের প্রতিবেশী বাড়িগুলোর মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননের তাইবেহ, রাব এল থালাথিন এবং হাউলা গ্রামে পাঁচবার বিমান হামলা চালিয়েছে এবং পূর্ব ও মধ্য অঞ্চলের আটটি শহর ও গ্রামে প্রায় ৪০টি গোলা নিক্ষেপ করেছে।

এদিকে হিজবুল্লাহ ঘোষণা করেছে যে, তারা ইসরায়েলের মিসকাভ আম, আল-মোতেল্লা এবং আল-আলম অবস্থানগুলোতে আক্রমণ চালিয়েছে।

লেবাননের হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩৫৬ হিজবুল্লাহ সদস্য এবং ১০০ জন বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ৫৫৩ জন নিহত হয়েছে।

;

আমি জানি কীভাবে সত্য বলতে হয় : বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সামনে রেখে অনুষ্ঠিত বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন জো বাইডেন। ট্রাম্পের সামনে তার এই বিপর্যয়ের কারণে অনেক ডেমোক্রেটিক সমর্থকের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

তবে রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেন নিজে এখনো যথেষ্ট আশাবাদী। শনিবার (২৯ জুন) একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে আগামী নভেম্বরে নিজের জয়ের ব্যাপারে বড় অর্থদাতাদের আশ্বস্ত করেছেন বাইডেন।

নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে ওই তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন তার সঙ্গে ছিলেন। অনুষ্ঠানে জিল দৃঢ়ভাবে ৮১ বছর বয়সী স্বামীর পক্ষে কথা বলেছেন। এদিন এক সমাবেশে জিল বলেন, ‘জো এই কাজের জন্য শুধু সঠিক ব্যক্তিই নন। তিনি এ দায়িত্বের জন্য একমাত্র ব্যক্তি।’

গত বৃহস্পতিবার রাতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে ওই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারের বিতর্কে বাইডেন বার বার কথার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন। ট্রাম্পের সামনে তার কথা আটকেও যাচ্ছিল। ওই বিতর্কের পর থেকে বাইডেনের বয়স এবং তাঁর মানসিক সক্ষমতা নিয়ে থাকা সংশয় ও গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।

ওই বিতর্কের পর বাইডেনের নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত কি না, বা ডেমোক্রেটিক পার্টি তাঁর বিকল্প প্রার্থী খুঁজবে কি না সে বিষয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় বোর্ডসহ অনেক রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার ওই বিতর্কের পর বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন।

তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচিত কোনো শীর্ষ পর্যায়ের ডেমোক্রেটিক নেতা বাইডেনকে এমন কথা বলেননি। বরং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং বিল ক্লিনটন শুক্রবার প্রকাশ্যে বাইডেনের প্রতি তাঁদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সেদিন নর্থ ক্যারোলিনায় বাইডেন নিজেও জ্বালাময়ী এক বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি আগের মতো সহজে হাঁটতে পারছি না। আমি আগের মত সাবলীলভাবে কথা বলতে পারছি না। আমি আগের মত বিতর্কেও ভালো করতে পারছি না। কিন্তু, আমি জানি কীভাবে সত্য বলতে হয়। আমি জানি কীভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

পড়ে গেলও পুনরায় উঠে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। শনিবার এক সমাবেশে বাইডেন আরও বলেন, ‘ওই রাতটা আমার জন্য দারুণ কিছু ছিল না, ট্রাম্পের জন্যও না। আমি আপনাদের বলছি, এই নির্বাচনে আমরাই জিততে চলেছি।’

;

জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করলো মিয়ানমার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের সামরিক সরকার এখনো অভ্যুত্থানবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য অর্থ এবং অস্ত্রের লেনদেন করছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকটির তত্ত্বাবধানে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে।

রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার (২৯ জুন) জান্তা সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদকের প্রতিবেদনে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদন মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের স্বার্থ এবং মিয়ানমার ও অন্যান্য দেশের সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি করেছে।’

মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক রিপোর্টার টম অ্যান্ড্রুস গত বুধবার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, জান্তাকে বিচ্ছিন্ন করার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষমতাকে ক্ষুন্ন করেছে বলে মনে হচ্ছে। তবুও তারা গত এক বছরে ২৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র, প্রযুক্তি, উৎপাদন সরঞ্জাম এবং অন্যান্য অস্ত্র আমদানি করেছে।

এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মিয়ানমারের এসব সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের পেছনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী থাইল্যান্ডসহ আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সহায়তা রয়েছে।

২০২১ সালে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পর থেকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একাধিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে এবং একটি বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য লড়াই করছে।

পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসার ওপর একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, দেশটির সঙ্গে লেনদেনে নিয়োজিত স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো সমস্ত ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং লেনদেনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সিঙ্গাপুর থেকে রপ্তানি ২০২২ সালে ১১০ মিলিয়ন ডলার থেকে মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তবে থাইল্যান্ডের কোম্পানিগুলো আংশিকভাবে সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছে। দেশটি ২০২৩ সালে মিয়ানমারের কাছে ১২০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও উপকরণ স্থানান্তর করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।

এদিকে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশটির ব্যাংকিং এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্য বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো প্রোটোকল অনুসরণ করে এবং তারা জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি খতিয়ে দেখবে।

;