ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনে চমক দেখাতে পারে ‘ইন্ডিয়া’

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের লোকসভার ডেপুটি স্পিকার পদে কবে নির্বাচন হবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি। এনডিটিভি জানিয়েছে, বিষয়টি এখন স্পিকার এবং সরকারের হাতে।

কিন্তু, এই নির্বাচনকে ঘিরে বড় রাজনৈতিক চমক দেখাতে পারে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া।’

বিজ্ঞাপন

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সমাজবাদী পার্টির (এসপি) নেতা অখিলেশ যাদবের এখনো পর্যন্ত পরিকল্পনা, ওই পদে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের প্রার্থী করা হতে পারে ফৈজাবাদের সাংসদ অবধেশ প্রসাদকে।

তৃণমূল সূত্রের দাবি, এই নামটির পরামর্শ এসেছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিকভাবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেরলের কে সুরেশের নাম ভাবা হচ্ছিল, যিনি লোকসভার স্পিকারের পদেও ইন্ডিয়া’র প্রার্থী ছিলেন।

বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্টের বক্তৃতার ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আলোচনা চলার সময়েই বিরোধী বেঞ্চে অবধেশের নাম প্রস্তাব হিসেবে আসে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

তৃণমূল, কংগ্রেস সাংসদ এবং অখিলেশের মধ্যে চিরকুটে এই নামটি চালাচালি হয়। অখিলেশ ও রাহুলও আপাতত মেনে নিয়েছেন এই প্রস্তাব। ফৈজাবাদের দুইবারের সাংসদ বিজেপির লাল্লু সিংকে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছেন অবধেশ।

বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির রামমন্দিরকে সামনে রেখে হিন্দুত্বের জোয়ারকে উত্তর প্রদেশের আটবারের বিধায়ক অবধেশ রুদ্ধ করে দিয়েছেন বলেই মনে করে রাজনৈতিকমহল।

অযোধ্যা যে লোকসভার অন্তর্গত, সেই ফৈজ়াবাদ কেন্দ্রেই সমাজবাদী পার্টির এই দলিত প্রার্থীর কাছে পরাজয় প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। আর সেই অস্বস্তিকেই খুঁচিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা।

এক্ষেত্রে বিরোধী শিবিরের বক্তব্য হলো, ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী যাকেই করা হোক, লোকসভায় সংখ্যার হিসাবে পরাজয় অনিবার্য। কিন্তু, সেটা এখানে বিবেচ্য নয়। অবধেশকে দাঁড় করিয়ে একটি জোরালো বার্তা দেওয়ার কথাই ভাবছেন বিরোধীরা।

প্রথমত, অবধেশকে কেন্দ্র করে অযোধ্যায় বিজেপির লজ্জাজনক পরাজয়ের ভাষ্যকে জনমানসে আবার তুলে নিয়ে আসার সুযোগ পাওয়া যাবে। বারবার বিষয়টি নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে সরব হবেন কংগ্রেস, এসপি, তৃণমূলসহ বিরোধী দলগুলির নেতারা।

পাশাপাশি ৭৭ বছর বয়সি দলিতদের মধ্যে পাসি সম্প্রদায়ভুক্ত (যারা এক সময় ছিলেন অচ্ছুৎ এবং তাড়ি প্রস্তুকারক গোষ্ঠী) অবধেশকে দাঁড় করিয়ে সমাজের এই অত্যন্ত পিছিয়ে থাকা অংশের প্রতিও বিশেষ বার্তা দিতে চাইছেন বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, অবধেশের রাজনীতিতে হাতেখড়ি উত্তর প্রদেশের কৃষকনেতা তথা প্রধানমন্ত্রী চৌধরী চরণ সিংয়ের হাত ধরে।

গত লোকসভা নির্বাচনে এই ফৈজাবাদ কেন্দ্রে বিজেপির কাছে প্রায় ৬৫ হাজার ভোটে হেরেছিলেন এসপি প্রার্থী। সেই কেন্দ্রে কোন মন্ত্রে এবার জয় এল?

জয়ী হওয়া প্রসঙ্গে অবধেশ বলেন, ‘আমি দলিত ভাই-বোনদের থেকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছি। দলিত সম্প্রদায় গতবার বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। তাছাড়া ওবিসি এবং সংখ্যালঘু ভোটও আমরা পেয়েছি।’

ফলে তাকে দাঁড় করিয়ে এই সম্প্রদায়গুলোর প্রতি নির্দিষ্ট সদর্থক বার্তা দিতে পারবে বলে মনে করছেন ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা।