পেরুতে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
আন্তর্জাতিক
উপকূলের কাছাকাছি পেরুর জনবহুল শহর আরেকুইপাতে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার (২৮ জুন) আঘাত হানা ভূমিকম্পে এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দেশটির সরকার জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন এবং গৃহীত পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করতে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্প থেকে সুনামির হুমকি রয়েছে। পেরুর উপকূলের কিছু অংশে জোয়ারের পানির উচ্চতা ১-৩ মিটার/ ৯.৪৮ ফুট) রেকর্ড করা হয়েছে। তবে পেরুর প্রধানমন্ত্রী গুস্তাভো আদ্রিয়ানজেন অবশ্যই বলেছেন, আরেকুইপা উপকূলে সুনামির সতর্কতা বাতিল করা হয়েছে।
আরেকুইপার আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা কার্লোস জানাব্রিয়া স্থানীয় রেডিও স্টেশন আরপিপিকে জানিয়েছেন, কিছু জেলায় বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে এবং বাসিন্দারা ভয়ে তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে, কিন্তু তিনি মৃত্যু বা আঘাতের কোনো খবর শুনেননি।
আরেকুইপা প্রদেশের ক্যারাভেলির ইয়াউকা জেলার মেয়র ফ্লাভিও আরাঙ্গুরেন আরপিপিকে জানিয়েছেন, জেলার কিছু বাড়ির দেয়াল ধসে পড়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছে ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাসের রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, তারা একটি সমাধানের পৌঁছানোর লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর ও কাতারের সাথে যোগাযোগ অব্যহত রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস যুদ্ধের অবসান চায় এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পূর্ণ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে আসছে। তবে ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধ বিরতি দিলেও হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ করবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি তিন ধাপের পরিকল্পনায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য জোর দিচ্ছে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি যুদ্ধবিরতির যে রূপরেখা দিয়েছেন তা ইসরায়েলের প্রস্তাবের চেয়েও স্পষ্ট। প্রথম পর্যায়ে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে এববং গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলের আইডিএফ বাহিনী প্রত্যাহার করে নিতে হবে। একই সঙ্গে দুইদেশে বন্দিদের জিম্মি বিনিময় করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে শত্রুতার চিরস্থায়ী অবসান ঘটাতে হবে। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা এবং মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষের প্রত্যাবর্তন সম্পন্ন করতে হবে।
বুধবার রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের জিম্মি চুক্তির রূপরেখা তাদেরকে (ইসরায়েল) জানিয়েছেন। ইসরায়েল বিষয়টি মূ্ল্যায়ন করে দেখছেন। মূল্যায়ন শেষে তারা মধ্যস্থতাকারীদেকে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ইসরায়েল গাজার দক্ষিণ সীমান্ত এলাকা ও গাজা-মিশরের মধ্যবর্তী রাফাহ ক্রসিং থেকে সৈন্য তুলে না নেওয়ার হামাস সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির শর্ত বর্জন করেছে।
মধ্যস্থতাকারীদের সূত্র বিবিসিকে বলেন, ‘হামাস মধ্যস্থতাকারীদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। আমরা শিগগিরই সমঝোতার জন্য নতুন আলোচনা শুরু করবো।’
এদিকে হামাসকে যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘যেখানে পুরো বিশ্ব যুদ্ধ বিরতির কথা বলছে, সেখানে হামাস ব্যতিক্রম। হামাস এমন একটি প্রস্তাবে ‘না’ বলছে যেখানে ইসরায়েলও ‘হ্যাঁ’ বলছে।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায়। ইসরায়েলের দাবি, এ সময় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এ ছাড়াও প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নারকীয় তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, এ হামলায় উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
কলকাতায় স্টোরি বাই আইটিসি হোটেলস দেবসম রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্টোরি বাই আইটিসি হোটেলস দেবসম রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা।
আন্তর্জাতিক
পশ্চিমবঙ্গে যাত্রা শুরু করেছে 'স্টোরি বাই আইটিসি হোটেলস দেবসম রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা'। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গ উদযাপনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে কলকাতায় ৩ একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত রিসোর্টটি।
রিসোর্টটির অবস্থান সাউথ সিটি রিট্রিট ডিসট্রিক্টে। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন (ইএম) বাইপাস থেকে ২০ মিনিটের কম দূরত্বে। শহরের কোলাহল থেকে বেশ দূরে এ রিসোর্টের অবস্থান। ফলে স্থানীয় সাংস্কৃতিক উপাদানের সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়ার পাশাপাশি এর পরিবেশ অতিথিদের চমৎকার রিফ্রেশমেন্টের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
স্টোরি বাই আইটিসি হোটেলস দেবসম রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা।
আইটিসি হোটেলের চিফ এক্সিকিউটিভ অনিল চাড্ডা বলেন, ব্র্যান্ড স্টোরি এসেছে আনন্দ-শহর কলকাতায়। এই শহরে স্টোরি দেবসম স্পা ও রিসোর্ট উদ্বোধন এই অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। আমাদের স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড, বিবিধ আয়োজন অতিথিদের বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা উপহার দেবে।
উদ্বোধন বিষয়ে সাউথ সিটি গ্রুপের ডিরেক্টর রবি টোডি বলেন, আমাদের বিলাসবহুল স্পা রিসোর্টটি শহরের কাছাকাছি হয়েও দূরে অবস্থিত। এখানে এসে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্যের সঙ্গে চমৎকার সুবিধা উপভোগ করুন। শান্ত পরিবেশে সুস্বাদু রন্ধনপ্রণালীর স্বাদ গ্রহণ করুন। অতিথিসেবায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য আমরা আইটিসি হোটেলসকে এই স্পা পরিচালনার জন্য বেছে নিয়েছি।
স্টোরি বাই আইটিসি হোটেলস দেবসম রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা।
রিসোর্টটিতে রয়েছে বিস্তৃত রুম, স্যুইট এবং ভিলার মিশ্রণ। প্রতিটি রুম থেকে সবুজ পরিবেশের চমৎকার দৃশ্য পাওয়া যায়।
অতিথিরা যখন স্টোরি দেবসম রিসোর্ট ও স্পায় প্রবেশ করেন, তখন প্রশান্তি ও সামগ্রিক সুস্থতার আশ্রয়ে প্রবেশ করেন। “কে বাই কায়াকাল্প”- আইটিসি হোটেলের ইনহাউস ওয়েলনেস ব্র্যান্ডটি স্টোরি কলকাতার স্পা রিসোর্টের সাথে একীভূত হয়েছে। প্রাচীন ভারতীয় ব্যবস্থা, সবুজ পরিবেশের মধ্যে শান্তি প্রকৃতিতে হাঁটা, প্রশান্তি থেরাপি বা আধুনিক কৌশল যা-ই হোক, প্রতিটি স্পা সুস্থতা বাড়ানোর জন্য সাবধানে ডিজাইন করা হয়েছে।
কে বাই কায়াকাল্প একটি শান্তিপূর্ণ ওয়েসিস, যেখানে শান্ত জল উপাদান, ব্যক্তিগত সুস্থতার পরিকল্পনা এবং ব্যক্তিগত যত্নসহ একটি সম্পূর্ণ পুনরুজ্জীবনের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। প্রকৃতির উপাদান যেমন সূর্যের আলো এবং জল মিলিত করে, এই স্পাতে একটি ইতিবাচক আবহ তৈরি করে।
১২টি বিস্তৃত থেরাপি কক্ষ, একটি বিশেষ 'যোগশালা', নিবেদিত ধ্যানস্থান, সুইমিং পুল, ফিটনেস সেন্টার এবং অবসরের জন্য নানা সুবিধা সন্নিবেশিত হয়েছে এই রিসোর্টটিতে।
স্টোরি কলকাতায় রন্ধনসম্পর্কীয় ভোজের মূল আকর্ষণ হলো বহুল প্রিয় ব্রেকফাস্ট এটিএম (যেকোনো সময়), যা অতিথিদের তাদের সুবিধামত সমস্ত দিনের ব্রেকফাস্ট করার সুযোগ দেয়। রিসোর্টের রেস্তোরাঁটি তাজা, স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে মাস্টার শেফদের বিভিন্ন রকম মুখরোচক খাবার পরিবেশন করে থাকে।
এছাড়াও ব্র্যান্ড স্টোরির কেটলি অ্যান্ড কাহানি আপনাকে স্থানীয় স্ন্যাকস এবং পানীয়, গরম চা এবং কফির একটি দুরন্ত অভিজ্ঞতা গ্রহণে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
যারা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান বা বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে চান তাদের জন্য, স্টোরি কলকাতা চমৎকার আড়ম্বরপূর্ণ ব্যাঙ্কয়েট স্পেস অফার করছে। চমৎকার পরিবেশে জন্মদিন উদযাপন, কর্পোরেট রিট্রিট আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণে উদ্বুব্ধ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মধ্য এশিয়ার একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন, যেটি পশ্চিমা বিরোধী দেশগুলোকে একত্রিত করবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, পুতিন এবং শি নিয়মিতভাবে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) জোটের তত্ত্বাবধানে মিলিত হন, যার সর্বশেষ অধিবেশন কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই ব্লকের সঙ্গে একটি ‘সংলাপ অংশীদার’ হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মূল অধিবেশনের প্রাক্কালে বুধবার (৩ জুলাই) এরদোয়ান এবং শি’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন পুতিন।
চীনা নেতাকে পুতিন বলেছেন, সাংহাই জোট একটি ন্যায্য বহুমুখী বিশ্ব ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসাবে তার ভূমিকা শক্তিশালী করছে।
এই সম্মেলনে বিশ্বমঞ্চে মার্কিন নেতৃত্বকে ‘আধিপত্যবাদ’ বলে অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাশিয়া ও চীন।
মস্কোর প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থনের জন্য পশ্চিমে সমালোচিত শি বুধবার পুতিনকে বলেছেন, তিনি তার পুরনো বন্ধুকে আবার দেখতে পেরে আনন্দিত।
এরদোয়ানও বুধবার পুতিনের সাথে সাক্ষাত করেন। এরদোয়ান, পুতিনকে তুরস্কে আমন্ত্রণ জানান এবং ইউক্রেনে উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পারে এমন ন্যায্যতার ভিত্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
এদিকে, এসসিও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, এসসিও ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি সক্রিয় হয়েছে। এর নয়টি পূর্ণ সদস্য দেশ হলো-চীন, ভারত, ইরান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তান।
নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির উপর ফোকাসসহ পশ্চিমের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সহযোগিতার একটি প্লাটফর্ম হওয়ার উদ্দেশ্যে এই জোট গঠিত হয়েছে।
পশ্চিমা-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান এ বছর পূর্ণ সদস্য হিসাবে সম্মেলনে যোগ দেয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থন দেওয়া বেলারুশও বৃহস্পতিবার সংস্থার দশম পূর্ণ সদস্য হবে।
কাজাখ মিডিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে এই জোটের প্রশংসা করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।
বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে পালানোর অভিযোগে পঁচিশ জন সেনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গোর একটি সামরিক আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের আইনজীবী এবং সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের সূত্রে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
উল্লেখ্য, কঙ্গোর সেনাবাহিনী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। পাশাপাশি অন্যান্য মিলিশিয়া সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
এই লড়াইয়ে দেশটির উত্তর কিভু প্রদেশের প্রায় ২.৭ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য কিভু প্রদেশের কেসেগে এবং মাতেম্বে গ্রামে তাদের অবস্থান ত্যাগ করলে বিদ্রোহীরা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অগ্রসর হয়।
এরপরই অবস্থান ত্যাগ তথা পালানোর অভিযোগে ২৭ জন সেনাকে আটক করে দেশটির সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিগান এমবুয়ি কালনজি বলেছেন, ‘পলাতকদের নিকটবর্তী আলিম্বোংগো গ্রামের দোকান থেকে জিনিসপত্র চুরি করতে দেখা গেছে।’
তাদের বিচার করার জন্য গত বুধবার আলিমবোঙ্গোতে একটি সামরিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়। এই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২৫ জনকে চুরি, পালিয়ে যাওয়া এবং আদেশ লঙ্ঘনের জন্য অন্যান্য অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন।
একজন সেনাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অন্য এক সেনাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২৫ জনের মধ্যে একজনকে বাদ দিয়ে সকলেই তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
তাদের আইনজীবী জুলেস মুভওয়েকো বলেছেন, তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ বিভাজন, অপর্যাপ্ত সম্পদ, দুর্বল রসদ এবং দুর্নীতির কারণেচরমভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে কঙ্গোর সামরিক বাহিনী।
দেশটিতে এর আগে কাপুরুষতা এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য গত মে মাসে আট সেনা অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।