ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কি প্রভাব ফেলবে ‘হিজাব আইন’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইরানের পতাকা

ইরানের পতাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মৃত্যুর পর ইরানে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো শুক্রবার (২৮ জুন)। এবারের নির্বাচনে দুজন কট্টরপন্থী রক্ষণশীল প্রার্থী হলেন ইরানের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতাকারী জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইদ জালিলি ও পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ। তাদের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির আলোচনায় ইরানকে আবার ফেরাতে চান।

রোববার (৩০ জুন) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। রক্ষণশীল এবং সংস্কারবাদীর এই লড়াইয়ে কোর পক্ষ জিতবে তার উপর দেশটিতে বিদ্যমান ‘শরীয়তভিত্তিক হিজাব আইন’ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

ভারতের দিল্লির যোগাযোগ ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ অনিতা আনন্দ বলেছেন, বেশকিছু কারণে এবারের নির্বাচনে সংস্কারবাদী মাসুদ পেজেশকিয়ান সুযোগ পেতে পারেন। অর্থনৈতিক বিভিন্ন ঝুঁকি এড়ানোসহ ব্যক্তিজীবনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা তার মধ্যে অন্যতম।

তবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের প্রেসিডেন্টের ভূমিকা বড় করে দেখা হলেও দেশের প্রকৃত ক্ষমতা থাকে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার হাতে। ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ কেউ এই নির্বাচনে জয় পাবেন।

নির্বাচনের আগের প্রচারাভিযানে, ‘বাধ্যতামূলক হিজাব’ কথাটি একটি প্রধান বিষয় ছিল। সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান একজন বাধ্যতামূলক হিজাব বিরোধী এবং পশ্চিমাদের সাথে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা নেতা। তিনি বাধ্যতামূলক হিজাব এবং নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে সবচেয়ে জোরালো কণ্ঠস্বর এবং একমাত্র প্রার্থী যিনি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, কাউকে কীভাবে পোশাক পরতে হবে তা বলার অধিকার তার নেই।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের অর্থনীতি সংকটময় সংগ্রামে ডুবে আছে। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির অবনতির পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং দেশটির করণিক ও সামরিক শাসকদের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার ফলে এমন নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইরানীরা তাদের ব্যক্তিগত জীবনে বিধিনিষেধ নিয়েও বিরক্ত। বিশেষ করে নারীদের হিজাব পরার বিষয়ে, যা ২০২২ সালে ব্যাপক বিক্ষোভেও রূপ নিয়েছিল।

ইরানের ৬১ মিলিয়ন যোগ্য ভোটারের প্রায় অর্ধেক নারী। যদিও সরকার নির্বাচনে সমালোচক ভোটারদের উদাসীনতা বেশি, তবুও এ নির্বাচন তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। হিজাব আইনের বিরোধিতা এবং নৈতিকতা পুলিশে অত্যাচার লিঙ্গ, ধর্মীয় এবং শ্রেণীগত রেখাকে ছাড়িয়ে গেছে। উচ্চতর ধর্মীয় ব্যক্তিদের নিয়েও অভিযোগ তুলেছে তারা। 

১৯৭৯  সালে ইসলামি বিপ্লবের পরে ইরানের এই দণ্ডবিধি কার্যকর হয়েছিল। এ আইন অনুযায়ী, ‘শরিয়া হিজাব’ ছাড়া জনসম্মুখে নারীদের উপস্থিতি অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছিল। এই অপরাধের শাস্তি ছিল জরিমানা, বা ১০ দিন থেকে দুই মাসের কারাদণ্ড।

নতুন প্রশাসনের অধীনে হিজাব আইনের কী হবে তা নিশ্চিত নয়। বিভিন্ন প্রশাসন হিজাবের ব্যাপারে শিথিল বা কঠোর পন্থা অবলম্বন করেছে। বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির অধীনে, ইরানের পার্লামেন্ট আইন অমান্যকারী নারীদের উপর শাস্তিমূলক ক্ষতি আরোপ করা হত। তাদের সামাজিক সেবা প্রত্যাহার করা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং বিচার বিভাগ থেকে তহবিল উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার বিষয়েও জটিলতা হত। 

তবে, কয়েক বছর ধরে মেয়েরা রাস্তায় হাঁটছেন, রেস্তোরাঁয় খাচ্ছেন, কাজে যাচ্ছেন এবং হিজাববিহীন পোশাক, ক্রপ টপ এবং স্কার্ট পরে গণপরিবহনে চড়ছেন এবং চুল খোলা রেখে চলেছেন। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়ম লঙ্ঘন করা নারীদের গ্রেফতার করার জন্য রাস্তার মোড়ে লুকিয়ে থাকে নৈতিকতা পুলিশ।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, ট্রাফিক নজরদারি ক্যামেরা এবং ড্রোন উভয় ক্ষেত্রেই ফেসিয়াল রিকগনিশন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। হিজাব আইনের অপরাধীদের শনাক্ত করতেই এমন ব্যবস্থা। শনাক্তকৃতদের পরে ফোন টেক্সটের মাধ্যমে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করা হয়।

এই নির্বাচনের প্রচারাভিযানে নারী হিজাব প্রাধান্য পেয়েছিল। দেশের বিভিন্ন শহরে নারী ভোটার এবং সমাবেশকে লক্ষ্য করে প্রচারাভিযানের ভিডিওতেও বিষয়টি উঠে এসেছে।

মাসুদ পেজেশকিয়ানের জন্য একটি সমাবেশে, ১৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে আসেন তার কাঁধের চারপাশে লম্বা কালো চুল উন্মুক্ত করে দিয়ে।  প্রথমবারের মতো ভোটার হওয়া মেয়েটি প্রশ্ন তুলেন, ‘আপনার কি নৈতিকতা পুলিশ, হিজাব মনিটর এবং স্বায়ত্তশাসিত নিরাপত্তা বাহিনীর মোকাবিলা করার ক্ষমতা আছেন।’

১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরে যখন বাধ্যতামূলক হিজাব ঘোষণা করা হয়েছিল, ইরানি নারীদের উপর বিধিনিষেধের ফলে কর্মী এবং জনসাধারণ বাধ্যতামূলক হিজাবকে চ্যালেঞ্জ করে নারীদের জন্য আরও স্বাধীনতা এবং অধিকারের জন্য বিভিন্ন আন্দোলনের জন্ম দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে, নারী এবং তাদের আন্দোলন আরও কৌশলগত হয়েছে।

‘নারী, জীবন ও স্বাধীনতা’ আন্দোলন নারীর অধিকারের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও সম্ভাবনাকে সংগঠিতকরণ ও পরিবর্তনের একটি স্তর হিসেবে প্রদর্শন করেছে। ৪৫ বছর ধরে, নারী অধিকারের সমর্থকরা বাধ্যতামূলক হিজাব আরোপের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে।

এই নির্বাচনের ফলাফল কি ভিন্ন হবে, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।

ভূমিকম্পে কাঁপল ইকুয়েডর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাজধানী কিতোর বিভিন্ন দেয়ালে ফাঁটল

রাজধানী কিতোর বিভিন্ন দেয়ালে ফাঁটল

  • Font increase
  • Font Decrease

ইকুয়েডরের রাজধানী কিতোতে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে ভূমিকম্পের আঘাতে তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

রাজধানীর বাসিন্দারা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় এবং বেশকিছু এলাকার দেয়ালে ফাঁটল দেখা গেছে। 

সোমবার (১ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূতাত্ত্বিক সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে জানিয়েছে, সোমবার আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূমি থেকে ৫.৬ কিলোমিটার গভীরে এবং রাজধানী কিতো থেকে এর দূরত্ব ছিল ৮.৪৯ কিলোমিটার।  

ইকুয়েডর জরুরি সেবা বিভাগ প্রকাশিত ভূমিকম্পের ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর বাসিন্দারা ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। 

কিতোর মেয়র পাবেল মনোজ এক্স পোস্টে জানান, ভূমিকম্প আঘাত হানার পরপরই বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় রাজধানী কিতোর কিছু এলাকার বাসিন্দারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হন। তবে, এয়ারপোর্ট, মেট্রো, ল্যান্ডফল এবং পানি উৎপাদনের প্ল্যাটের কোনো ক্ষতি হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চে ইকুয়েডরে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানলে এতে ১৫ জন মানুষ নিহত হয়।

;

কর্মী ধর্মঘটে কানাডায় ৮ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল-জাজিরা

ছবি: আল-জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কর্মী ধর্মঘটের কারণে কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা ওয়েস্টজেট ৮০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে কানাডা দিবসের লম্বা ছুটিতে হাজার হাজার মানুষ তাদের সফর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

সোমবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতন এবং শ্রমিকদের কাজের অবস্থার বিষয়ে

ক্যালগারিভিত্তিক এয়ারলাইন এয়ারপ্লেন মেকানিক্স ফ্রাটারনাল অ্যাসোসিয়েশন (এএমএফএ) শ্রমিকদের কাজের অবস্থা এবং বেতনের চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় ৬৮০ জন শ্রমিক গত শুক্রবার থেকে ধর্মঘট পালন করছেন।

বিমান সংস্থা ওয়েস্টজেটের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও ডিডেরিক পেন রোববার অপ্রয়োজনীয়ভাবে কাজ বন্ধ রাখায় ভ্রমণকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

পেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের কর্মীদের প্রতিকূলতার ঊর্ধ্বে উঠে এগিয়ে যাওয়ার এবং নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার কাজে আমি উৎসাহিত হয়েছি।

তিনি বলেন, বর্তমান ধর্মঘট আমাদের এয়ারলাইন এবং দেশের সর্বাধিক ক্ষতি করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য পূরণ করে না।

ওয়েসজেট গত বৃহস্পতিবার থেকে ৮৩২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে, যার অর্ধেকেরও বেশি রোববারের জন্য নির্ধারিত ছিল।

এয়ারলাইনটি বলেছে, রোববার পর্যন্ত তাদের ১৮০টি বিমান বহরের মধ্যে ৩২টি সক্রিয় রয়েছে।

ওয়েস্টজেট এবং এএমএফএ একে অপরের বিরুদ্ধে সরল বিশ্বাসে আলোচনা না করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।

এএমএফএ যুক্তি দিয়েছে, তাদের চাওয়া-পাওয়া মজুরি বৃদ্ধির জন্য ওয়েস্টজেটকে ৮ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের কম খরচ হবে, যা কোম্পানি তাদের চুক্তির প্রথম বছরের জন্য প্রস্তাব করেছে।

ওয়েস্টজেট বলেছে, চুক্তির প্রথম বছরে তারা ১২.৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে এবং বাকি সাড়ে পাঁচ বছরের মেয়াদে ২৩.৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে।

এ কর্মবিরতির কারণে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ভ্রমণকারীর পরিকল্পনাকে ব্যাহত করেছে। বৃহস্পতিবার কানাডার শ্রম মন্ত্রী সিমাস দুই পক্ষের এ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বাধ্যতামূলক বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।

;

গাজায় আন্তর্জাতিক প্রশাসন মানবে না ফিলিস্তিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিদেশি উপস্থিতির বৈধতা দেবে না ফিলিস্তিন

বিদেশি উপস্থিতির বৈধতা দেবে না ফিলিস্তিন

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক বাহিনী দ্বারা গঠিত প্রশাসনের ইসরায়েলি প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট প্রশাসন। 

রোববার (৩০ জুন) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসন জানিয়েছে, তারা গাজায় কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রশাসন মেনে নেবে না। 

তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ তথ্য দিয়েছে।

প্রেসিডেন্টের সরকারি মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইন বলেছেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে কোনো বিদেশি উপস্থিতির বৈধতা নেই। শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন সরকার তাদেরকে শাসন করবে এবং কারা তাদের রাজনৈতিক বিষয়গুলো পরিচালনা করবে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় থাকবে যতক্ষণ না সেখানে আন্তর্জাতিক বাহিনী গাজা শাসনের ভার নেবে। মূলত ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই গাজার শাসন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের ওই মুখপাত্র।

উপনিবেশ অবৈধ হলেও ইসরায়েল তা গাজায় বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আবু রুদেইন।

তিনি বলেন, ‘তারা সাধারণ জনগণকে বাস্তুচ্যুত এবং হত্যা করে সেখানে (গাজায়) দখলদারি স্থায়ীত্বের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরা কোনোভাবেই আমাদের ভূখণ্ড বিদেশি শক্তির হাতে ছেড়ে দেব না, সেটা পশ্চিম তীর হোক বা গাজা হোক। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়া না দেওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, এটি সমগ্র আরবের একটি বিষয় বলে মনে করেন ফিলিস্তিনি ওই মুখপাত্র।’  

গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

;

দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উ.কোরিয়া, একটি ব্যর্থ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল-জাজিরা

ছবি: আল-জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এরমধ্যে একটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলেও আরেকটি ব্যর্থ হয়ে বিস্ফোরিত হতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

সোমবার (১ জুলাই) উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের যৌথ সামরিক মহড়ার পর, আক্রমণাত্মক এবং অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একদিন পর এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রে পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব জাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০০ কিলোমিটার (৩৭০ মাইল) এবং দ্বিতীয়টি ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) উড়েছিল, তবে তারা কোথায় অবতরণ করেছে তা জানায়নি। উত্তর কোরিয়া সাধারণত তার পূর্ব জলসীমার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে।

জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের মুখপাত্র লি সুং-জুন ব্রিফিংয়ে বলেন, দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটিতে সমস্যা ছিল এবং এটি বিস্ফোরিত হলে এর ধ্বংসাবশেষ মাটিতে ছড়িয়ে পড়বে।

সোমবারের লঞ্চগুলি পাঁচ দিনের মধ্যে উত্তর কোরিয়া থেকে প্রথম ছিল এবং

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের যৌথ মহড়ার পর উত্তর কোরিয়া থেকে এটিই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।

পিয়ংইয়ং সাধারণত এই ধরনের কার্যক্রমকে আগ্রাসন বা অন্যদেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে মহড়া হিসেবে বিবেচনা করে।

সিউলের ইওয়া ওমেনস ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক গবেষণার অধ্যাপক লেইফ-এরিক ইজলি তার ইমেলে করা এক মন্তব্যে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া যখন জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতিরক্ষা মহড়া চালাচ্ছে, তখন পিয়ংইয়ং নিজেকে দুর্বল না দেখাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

গত বুধবার অত্যাধুনিক একাধিক ওয়ারহেডবাহী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের এ দাবি মিথ্যা বলে অভিযোগ করেছে।

;