গাজায় আন্তর্জাতিক প্রশাসন মানবে না ফিলিস্তিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিদেশি উপস্থিতির বৈধতা দেবে না ফিলিস্তিন

বিদেশি উপস্থিতির বৈধতা দেবে না ফিলিস্তিন

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক বাহিনী দ্বারা গঠিত প্রশাসনের ইসরায়েলি প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট প্রশাসন। 

রোববার (৩০ জুন) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসন জানিয়েছে, তারা গাজায় কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রশাসন মেনে নেবে না। 

তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ তথ্য দিয়েছে।

প্রেসিডেন্টের সরকারি মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইন বলেছেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে কোনো বিদেশি উপস্থিতির বৈধতা নেই। শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন সরকার তাদেরকে শাসন করবে এবং কারা তাদের রাজনৈতিক বিষয়গুলো পরিচালনা করবে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় থাকবে যতক্ষণ না সেখানে আন্তর্জাতিক বাহিনী গাজা শাসনের ভার নেবে। মূলত ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই গাজার শাসন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের ওই মুখপাত্র।

উপনিবেশ অবৈধ হলেও ইসরায়েল তা গাজায় বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আবু রুদেইন।

তিনি বলেন, ‘তারা সাধারণ জনগণকে বাস্তুচ্যুত এবং হত্যা করে সেখানে (গাজায়) দখলদারি স্থায়ীত্বের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরা কোনোভাবেই আমাদের ভূখণ্ড বিদেশি শক্তির হাতে ছেড়ে দেব না, সেটা পশ্চিম তীর হোক বা গাজা হোক। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়া না দেওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, এটি সমগ্র আরবের একটি বিষয় বলে মনে করেন ফিলিস্তিনি ওই মুখপাত্র।’  

গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

মালিতে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীদের হামলা, নিহত ৪০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মালিতে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীদের হামলা/ছবি: রয়টার্স

মালিতে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীদের হামলা/ছবি: রয়টার্স

  • Font increase
  • Font Decrease

আফ্রিকার দেশ মালির একটি গ্রামে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীদের হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছে।

বুধবার (০৩ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রায়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (০১ জুলাই) আফ্রিকার মোপ্তি অঞ্চলের ডিজিগুইবোম্বো গ্রামে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা হামলার চালায়। এটি অত্যন্ত ভয়াবহ ছিল, অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে এবং লোকজনকে গুলি করতে থাকে। এতে প্রায় ৪০ জন নিহত হয়। তাদের বেশিরভাগই পুরুষ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে মালির উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত জিহাদি গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় রয়েছে।

যখন থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী পশ্চিম আফ্রিকার মধ্য সাহেল অঞ্চলে শিকড় গড়েছে, তখন থেকেই মালিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে প্রতিবেশী বুর্কিনা ফাসো এবং নাইজারেও বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে এসব অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছ আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ।

;

‘গাজা নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে ঝুঁকিতে ফেলেছে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ধ্বংসস্তূপের ওপর বসে আছে ফিলিস্তিনি শিশু/ছবি: সংগৃহীত

ধ্বংসস্তূপের ওপর বসে আছে ফিলিস্তিনি শিশু/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় নয় মাস ধরে গাজায় চলছে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক নির্বিচার হামলা। আর এই সংঘাতে ইসরায়েলের প্রতি নীতিগত অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জো বাইডেন প্রশাসন। এতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা বাইডেন প্রশাসনের সাবেক ১২ জন কর্মকর্তা যৌথ এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তারা বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে মার্কিন সরকারের পদক্ষেপগুলো দেশটির জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন নীতিগুলো এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করেছে এবং আমেরিকাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

বাইডেন প্রশাসনের সাবেক ১২ কর্মকর্তার মধ্যে একজন মঙ্গলবার (২ জুলাই) মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে পদত্যাগ করেছেন।

তবে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর গাজায় বেসামরিক হতাহতের সমালোচনা এবং মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করে এই ধরনের দাবি অস্বীকার করেছে।

যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকার কূটনৈতিক নিরবতা এবং ইসরায়েলে অস্ত্রের ক্রমাগত প্রবাহ গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর হত্যায় আমাদের জড়িত থাকা নিশ্চিত করেছে।

সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের এই ধরনের বিবৃতি এটিই প্রথম নয়। তবে এটির গুরুত্ব বেশি হওয়ার কারণ মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ সহকারী মরিয়ম হাসানাইনের পদত্যাগের পরপরই আসায়। কারণ তিনিও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

সাবেক এই কর্মকর্তারা মার্কিন সরকারকে একটি ‘ব্যর্থ নীতি’ আঁকড়ে থাকার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। যা কেবল ফিলিস্তিনি জনগণের জন্যই ধ্বংসাত্মক নয় বরং ইসরায়েলিদের বিপন্ন করেছে, বাকস্বাধীনতাকে রুদ্ধ করেছে এবং একটি নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি প্রতিশ্রুতিতে মার্কিন বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুন্ন করেছে।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও চলমান অস্ত্র হস্তান্তর মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে এবং আমেরিকাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মার্কিন বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্বব্যাপী গভীরভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে এমন সময়ে যখন আমাদের এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- জোশ পল, যিনি অস্ত্র স্থানান্তরের বিষয়ে কংগ্রেসের সম্পর্ক তত্ত্বাবধান করতেন। অক্টোবরে তিনি পদত্যাগ করেন।হোয়াইট হাউসের একজন সাবেক কর্মকর্তা, দুইজন সাবেক বিমানবাহিনী বিভাগের কর্মী এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তাও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

সাতজন বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার পর ইসরায়েলের প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চাপ পর্যাপ্ত হয়নি। যা গাজায় মানবিক সংকট রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত বছরের ৭ অক্টোবর নজিরবিহীন হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ইতোমধ্যেই প্রায় ৩৮ হাজারে পৌঁছেছে। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে মানবিক সংকট গ্রাস করেছে। এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং অন্যান্য সমালোচকরা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য এবং ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের পক্ষাবলম্বনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করছেন।

;

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ১২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা।

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে অন্তত ১২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (০৩ জুলাই) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একই পরিবারের নয় সদস্য রয়েছে। তারা পূর্ব খান ইউনিস ছেড়ে একটি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে হামলার শিকার হন তারা।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের সামরিক আদেশের কারণে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এলাকা ছেড়েছে। এ নিয়ে গাজায় মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৯ লাখে পৌঁছেছে বলে অনুমান করা হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলার ভয়ে খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতাল থেকে শত শত আহত মানুষ পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন ইসরায়েলকে হাসপাতালটিতে হামলা না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ০৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এসময় আহত হয়েছেন ৮৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক। অপরদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ১৩৯ জন বলে অনুমান করা হয়েছে।

;

আসামে বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ, নিহত ৩৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ব্রহ্মপুত্রসহ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এতে করে প্লাবিত হয়েছে রাজ্যটির বেশ কিছু জেলা। চলতি এই বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের একজন কর্মকর্তা।

বুধবার (৩ জুলাই) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের আসামের প্রধান নদীগুলো তাদের স্বাভাবিক স্তরের অনেক উপরে প্রবাহিত হচ্ছে । এতে করে রাজ্যের মোট ৩৫টি জেলার মধ্যে প্রায় ১৯টি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। এ ছাড়া অরুণাচলের সীমান্ত এলাকার দিকে ভূমিধসের ফলে দুই রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তার এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।

এছাড়া দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বেশ কয়েকটি এলাকাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যারর সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে এখানকার কয়েকটি প্রধান সড়ক যান চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) গুজরাটের কিছু জেলার জন্য রেড এলার্ট জারি করেছে এবং আগামী দুই দিনের মধ্যে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

;