দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উ.কোরিয়া, একটি ব্যর্থ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল-জাজিরা

ছবি: আল-জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এরমধ্যে একটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলেও আরেকটি ব্যর্থ হয়ে বিস্ফোরিত হতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

সোমবার (১ জুলাই) উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের যৌথ সামরিক মহড়ার পর, আক্রমণাত্মক এবং অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একদিন পর এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রে পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব জাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০০ কিলোমিটার (৩৭০ মাইল) এবং দ্বিতীয়টি ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) উড়েছিল, তবে তারা কোথায় অবতরণ করেছে তা জানায়নি। উত্তর কোরিয়া সাধারণত তার পূর্ব জলসীমার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে।

জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের মুখপাত্র লি সুং-জুন ব্রিফিংয়ে বলেন, দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটিতে সমস্যা ছিল এবং এটি বিস্ফোরিত হলে এর ধ্বংসাবশেষ মাটিতে ছড়িয়ে পড়বে।

সোমবারের লঞ্চগুলি পাঁচ দিনের মধ্যে উত্তর কোরিয়া থেকে প্রথম ছিল এবং

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের যৌথ মহড়ার পর উত্তর কোরিয়া থেকে এটিই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।

পিয়ংইয়ং সাধারণত এই ধরনের কার্যক্রমকে আগ্রাসন বা অন্যদেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে মহড়া হিসেবে বিবেচনা করে।

সিউলের ইওয়া ওমেনস ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক গবেষণার অধ্যাপক লেইফ-এরিক ইজলি তার ইমেলে করা এক মন্তব্যে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া যখন জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতিরক্ষা মহড়া চালাচ্ছে, তখন পিয়ংইয়ং নিজেকে দুর্বল না দেখাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

গত বুধবার অত্যাধুনিক একাধিক ওয়ারহেডবাহী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের এ দাবি মিথ্যা বলে অভিযোগ করেছে।

‘গাজা নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে ঝুঁকিতে ফেলেছে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ধ্বংসস্তূপের ওপর বসে আছে ফিলিস্তিনি শিশু/ছবি: সংগৃহীত

ধ্বংসস্তূপের ওপর বসে আছে ফিলিস্তিনি শিশু/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় নয় মাস ধরে গাজায় চলছে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক নির্বিচার হামলা। আর এই সংঘাতে ইসরায়েলের প্রতি নীতিগত অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জো বাইডেন প্রশাসন। এতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা বাইডেন প্রশাসনের সাবেক ১২ জন কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে মার্কিন সরকারের পদক্ষেপগুলো দেশটির জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছে।

যৌথ এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, মার্কিন নীতিগুলো এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করেছে এবং আমেরিকাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

বাইডেন প্রশাসনের সাবেক ১২ কর্মকর্তার মধ্যে একজন মঙ্গলবার (২ জুলাই) মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর গাজায় বেসামরিক হতাহতের সমালোচনা এবং মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করে এই ধরনের দাবি অস্বীকার করেছে।

যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকার কূটনৈতিক নিরবতা এবং ইসরায়েলে অস্ত্রের ক্রমাগত প্রবাহ গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর হত্যায় আমাদের জড়িত থাকা নিশ্চিত করেছে।

সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের এই ধরনের বিবৃতি এটিই প্রথম নয়। তবে এটির গুরুত্ব বেশি হওয়ার কারণ মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ সহকারী মরিয়ম হাসানাইনের পদত্যাগের পরপরই আসায়। কারণ তিনিও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

সাবেক এই কর্মকর্তারা মার্কিন সরকারকে একটি ‘ব্যর্থ নীতি’ আঁকড়ে থাকার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। যা কেবল ফিলিস্তিনি জনগণের জন্যই ধ্বংসাত্মক নয় বরং ইসরায়েলিদের বিপন্ন করেছে, বাকস্বাধীনতাকে রুদ্ধ করেছে এবং একটি নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি প্রতিশ্রুতিতে মার্কিন বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুন্ন করেছে।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও চলমান অস্ত্র হস্তান্তর মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে এবং আমেরিকাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মার্কিন বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্বব্যাপী গভীরভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে এমন সময়ে যখন আমাদের এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- জোশ পল, যিনি অস্ত্র স্থানান্তরের বিষয়ে কংগ্রেসের সম্পর্ক তত্ত্বাবধান করতেন। অক্টোবরে তিনি পদত্যাগ করেন।
হোয়াইট হাউসের একজন সাবেক কর্মকর্তা, দুইজন সাবেক বিমানবাহিনী বিভাগের কর্মী এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তাও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

সাতজন বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার পর ইসরায়েলের প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চাপ পর্যাপ্ত হয়নি। যা গাজায় মানবিক সংকট রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত বছরের ৭ অক্টোবর নজিরবিহীন হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ইতোমধ্যেই প্রায় ৩৮ হাজারে পৌঁছেছে। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে মানবিক সংকট গ্রাস করেছে। এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং অন্যান্য সমালোচকরা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য এবং ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের পক্ষাবলম্বনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করছেন।

;

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ১২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা।

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে অন্তত ১২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (০৩ জুলাই) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একই পরিবারের নয় সদস্য রয়েছে। তারা পূর্ব খান ইউনিস ছেড়ে একটি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে হামলার শিকার হন তারা।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের সামরিক আদেশের কারণে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এলাকা ছেড়েছে। এ নিয়ে গাজায় মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৯ লাখে পৌঁছেছে বলে অনুমান করা হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলার ভয়ে খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতাল থেকে শত শত আহত মানুষ পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন ইসরায়েলকে হাসপাতালটিতে হামলা না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ০৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এসময় আহত হয়েছেন ৮৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক। অপরদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ১৩৯ জন বলে অনুমান করা হয়েছে।

;

আসামে বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ, নিহত ৩৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ব্রহ্মপুত্রসহ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এতে করে প্লাবিত হয়েছে রাজ্যটির বেশ কিছু জেলা। চলতি এই বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের একজন কর্মকর্তা।

বুধবার (৩ জুলাই) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের আসামের প্রধান নদীগুলো তাদের স্বাভাবিক স্তরের অনেক উপরে প্রবাহিত হচ্ছে । এতে করে রাজ্যের মোট ৩৫টি জেলার মধ্যে প্রায় ১৯টি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। এ ছাড়া অরুণাচলের সীমান্ত এলাকার দিকে ভূমিধসের ফলে দুই রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তার এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।

এছাড়া দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বেশ কয়েকটি এলাকাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যারর সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে এখানকার কয়েকটি প্রধান সড়ক যান চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) গুজরাটের কিছু জেলার জন্য রেড এলার্ট জারি করেছে এবং আগামী দুই দিনের মধ্যে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

;

ক্যারিবীয় অঞ্চলে বেরিলের আঘাত, নিহত ৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ক্যারিবীয় অঞ্চলে বেরিলের আঘাত/ছবি: সংগৃহীত

ক্যারিবীয় অঞ্চলে বেরিলের আঘাত/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট প্রবল শক্তিশালী হারিকেন বেরিলের আঘাতে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহেতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বেরিলের আঘাতে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়েছে।

বুধবার (০৩ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-ক্যারিবীয় অঞ্চলের উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানার পর হারিকেন বেরিল আরও শক্তিশালী হয়ে ক্যাটাগরি-পাঁচ মাত্রার ঝড়ে রুপ নিয়েছে। বেরিলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।

হারিকেন বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানার পর আরও শক্তিশালী হয়ে জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে আসছে, বেরিলের আঘাতে এই অঞ্চলে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে এবং গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপে প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়েছে।

বেরিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তীব্রতা হারাতে শুরু করবে বলে আশা করা হয়েছিল৷ তবে স্থানীয় পূর্বাভাসকারীরা বলেছেন, এটি এখনও অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এটি বুধবার জ্যামাইকার কাছাকাছি বা তার ওপর দিয়ে এবং বৃহস্পতিবার কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি চলে যাবে।

ক্যারিবীয় অঞ্চলে বেরিলের আঘাত/ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞানীরা ঝড়ের দ্রুত শক্তিশালী হওয়ার কারণ হিসেবে মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনকে উল্লেখ করেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) বলেছে, বেরিল এখন সরাসরি জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে আসছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং ব্যাপক ঝড়ের ফলে দেশটিতে প্রাণহানীর আশঙ্কা রয়েছে।

এনএইচসির পরিচালক মাইকেল ব্রেনান এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আমরা জ্যামাইকা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। কেননা, হারিকেন এখন এই দ্বীপের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এটি অল্প সময়ের মধ্যে জ্যামাইকার ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে।

এর আগে সোমবার (০১ জুলাই) পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে হারিকেন বেরিল। বাতাসের তীব্র বেগে সেখানকার বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো ভেঙে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অসংখ্য মানুষ। এছাড়া অনেক ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে সেখানকার বিমানবন্দরগুলোতে।

শক্তিশালী এই হারিকেনটি আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে এবং ওই অঞ্চলে আগেই প্রাণঘাতী বাতাস ও বিপজ্জনক ঝড়বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)-এর সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, হারিকেনটির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ মাইল বা ২৪১ কিলোমিটার। এ পরিস্থিতে সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রেনাডাইনস এবং গ্রেনাডার জন্য হারিকেন সতর্কতা জারি করা হয়েছিল এবং জ্যামাইকার জন্য একটি হারিকেন ওয়াচ জারি করা হয়েছে। এছাড়া কাছাকাছি অঞ্চল টোবাগোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সোমবার থেকে স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অল টোবাগো ফিশারফোক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কার্টিস ডগলাস বলেন, 'দ্বীপের পূর্ব দিকের অংশ সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং সাগরগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। উপকূলে জেলেদের বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে এবং তারা তাদের নৌকাগুলোকে পানি থেকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।'

এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গ্রেনাডাও বেশ কিছু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে, যা দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে এবং এই আবহাওয়া ও অন্যান্য সতর্কতা সংক্রান্ত সরকারি আপডেট পাওয়ার ক্ষেত্রেও মানুষকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

এদিকে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে গ্রেনাডার প্রধানমন্ত্রী ডিকন মিচেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, 'আমরা এখনও বিপদমুক্ত হইনি।'

;