নবান্ন-এর কাছে আন্দোলনকারীরা: পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি কার্যালয়সহ পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় হিসেবে পরিচিত ‘নবান্ন’-এর কাছাকাছি আসেন বলে জানা যায়।

নবান্ন-এর কাছাকাছি আসার পর পুলিশ তারা যে অবস্থানে আছেন, সেখানেই থাকতে বলে।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকারীরা যাতে ‘নবান্ন’-এ ঢুকতে না পারেন, সে ‘নবান্ন’ অভিমুখী রাস্তাগুলোত কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। ক্রেন দিয়ে কন্টেইনার নামিয়ে রাস্তা ব্লক করে রাখে পুলিশ। এছাড়া রাস্তায় গ্রিজ লাগিয়ে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরের পর কলকাতার ভেতরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।

ছাত্র সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ এবং বিক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা ঘোষণা করে। এরই অংশ হিসেবে তারা মঙ্গলবার ‘নবান্ন অভিযান’-এর ডাক দেয়।

ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালের দিকে কলকাতার প্রবেশমুখ হাওড়া ও সাঁতরাগাছিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ জলকামান ব্যবহার করে।

সাঁতরাগাছিতে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে গিয়ে পুলিশের দিকে তারা ইটপাটকেল ছোড়ে।

জানা যায়, দুপুরের পর কলকাতার ভেতরে বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কলকাতা সিটি কর্পোরেশনের তৈরি করা পার্কেও ভাঙচুর করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটে চণ্ডীতলার একজন সার্কেল ইন্সপেক্টরের মাথা ফেটে যায়। র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (র‍্যাফ) এক সদস্যও আহত হয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা ধর্মতলা, এমজি রোডসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ঘটে। এসমসয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান-কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জও করে।

কলকাতার নিউজপোর্টাল কলকাতা২৪ জানিয়েছে, কোথাও কোথাও পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা এগিয়ে গেলে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সময় পুলিশ মাইকে ‘জমায়েত বেআইনি’ বলে ঘোষণা করতে থাকে।

জানা যায়, আন্দোলনকারীদের কয়েক জন ‘নবান্ন’-এর উত্তর গেটের কাছাকাছি চলে আসেন। তারপর তারা নবান্ন চত্বরে অবস্থান নেন। এসময় তারা ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে স্লোগান দিতে থাকেন- ‘এক দফা, এক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। এরপর পুলিশ এসে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

তবে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকেই ‘নবান্ন’-এ চলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি বুধবার (২৮ আগস্ট) ‘বাংলা বন্ধ’-এর ডাক দিয়েছে।