করোনা ভাইরাস: চীনে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে যেসব এয়ারলাইন্স

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: এনডিটিভি

ছবি: এনডিটিভি

নতুন করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা চীন। মহামারী আকারে দেখা দিচ্ছে ভাইরাসটি। নিহত ও আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে চীন তার নাগরিকদের বিদেশে ভ্রমণ স্থগিত এবং বিদেশে গ্রুপ ভ্রমণ বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া জনসমাগম এলাকা ও গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এই মহামারী ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণ এড়াতে অনুরোধ করেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বিশ্বব্যাপী অনেক এয়ারলাইন্স চীনে তাদের ফ্লাইট বাতিল ও ফ্লাইট কমানোর কথা বলছে। বিমান সংস্থাগুলো হল,

এয়ার ফ্রান্স: ফ্রান্সের বিমান সংস্থা এয়ার ফ্রান্স করোনার উৎপত্তিস্থল উহানে সপ্তাহে তিনটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করত। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে বেইজিং ও সাংহাইয়ে চলাচলকারী সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করেছে বলে জানায় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

এয়ার ইন্ডিয়া: গত বুধবার ভারতের বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, মুম্বাই-নয়াদিল্লি-সাংহাই রুটে সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করছে তারা। আর ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।

এয়ার ইন্ডিয়া আরও জানায়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি-হংকংয়ের ফ্লাইটের পরিমাণ হ্রাস করা হবে।

এয়ার কেবিজেড: মিয়ানমারভিত্তিক এয়ারলাইন্স কেবিজেড নিশ্চিত করেছে যে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দক্ষিণ চীনা শহর গুয়াংজুতে বিমান চলাচল বন্ধ করবে তারা।

আমেরিকান এয়ারলাইন্স: আমেরিকান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখ থেকে মার্চের ২৭ তারিখ পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলস থেকে বেইজিং ও সাংহাইয়ের সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত থাকবে।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ: বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতির মাধ্যমে চীনের মূল ভূখণ্ডে সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করেছে। বিবৃতিতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানায়, চীনের সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হল। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চাইছি। গ্রাহক এবং ক্রুদের নিরাপত্তা সর্বদা আমাদের অগ্রাধিকারের প্রথম দিকে থাকে।

কাথি প্যাসিফিক: হংকং ভিত্তিক কাথি প্যাসিফিক জানিয়েছে তারা বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে মার্চের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ফ্লাইট কমিয়ে দিবে।

ডেল্টা এয়ারলাইন্স: গ্রাহক চাহিদা কমে যাওয়ায় ডেল্টা এয়ারলাইন্স ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, আগে প্রতি সপ্তাহে ৪২টি ফ্লাইট পরিচালিত হলেও এখন মাত্র ২১টি ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

ফিন্নএয়ার: ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে অফার দেয়া ফিন্নএয়ার জানিয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত অনেকগুলো ফ্লাইট স্থগিত করেছে। স্থগিত করার আগে বেইজিং এবং সাংহাইয়ে প্রতিদিন দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করত এয়ারলাইন্সটি।

এসব এয়ারলাইন্স বাদেও লিবেরিয়া এয়ারলাইন্স, কাজাকাস্তান এয়ারলাইন্স, কেএলএম এয়ারলাইন্স, লায়ন এয়ার, লুফথানসা, মিয়ানমার এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল, মিয়ানমার ন্যাশনাল এয়ারওয়েজ, স্কাইআপ এয়ারলাইন্স, ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, উরালস এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট বন্ধ ও কমিয়ে এনেছে।