'করোনা বিস্তার রোধে অনেক সুযোগ রয়েছে'
করোনা ভাইরাসনতুন করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে অনেক সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ডব্লিউএইচও এর বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান।
ডব্লিউএইচও এর বিশেষজ্ঞরা জানান, চীন কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা করোনা সংক্রামণ রোধের সুযোগ করে দিয়েছে।
ডব্লিউএইচও থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে তা চীন থেকে আগত নয়। এছাড়া জাপানে ইয়োকোহামা বন্দরে আটকে থাকা ব্রিটিশ জাহাজে যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের কাছেও ভাইরাসটি চীন থেকে আসেনি।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪৯০ জন। আক্রান্তের পরিমাণ সাড়ে চব্বিশ হাজার ছাড়িয়েছে। এদিকে চীন বাদেও পৃথিবীর ২৫টি দেশে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা গেছে। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে দুজন মারা গেছে।
এদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে কয়েকটি শহরে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীনা সরকার। শহরগুলোর সমস্ত লোকজনকে তাদের গৃহে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া গণপরিবহন ও জনসমাগম এলাকা এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি দেশ চীনে ভ্রমণ ও বিমান চলাচল স্থগিত করেছে। এদিকে ২০টি দেশে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করার পর ডব্লিউএইচও বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
চীনের এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রস।
তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত ৯৯ শতাংশই চীনে রয়েছে। আর বাকি বিশ্বে মাত্র ১৭৬ জন আক্রান্ত রয়েছে। এর মানে এই নয় যে এটি খারাপ দিকে যাবে না। তবে আমি নিশ্চিত এটি আমাদের রোধ করার রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে।
করোনা পৃথিবীতে মহামারী আকার ধারণ করেনি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে ধনী দেশগুলো ভাইরাসজনিত মামলার তথ্যাদি গোপন করায় বিভিন্ন সরকারের সমালোচনা করেছেন টেড্রস। তিনি জানান, চীনের বাইরে শুধুমাত্র ৩৮ শতাংশ আক্রান্তের তথ্য তাদের জানানো হয়েছে।